ম্যুভি রিভিউ- "দ্য স্পীড"

অনেকদিন পর বলাকায় গেলাম বাঙলা সিনেমা অনন্ত জলীল অভিনিত ম্যুভি "দ্য স্পীড" দেখতে। সিনেমা শুরুর আগে পর্দা সরে গেল সিনেমা হলের এবং স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংগীত মিউজিকে পরিবেশন । কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় ৩০% দর্শক সে সময় বসা থেকে উঠার নাম পর্যন্ত করেনি এই কয়েক মিনিট দাড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে। সিনেমার শুরুই হলো বেশ দারুন সাউন্ডের ইফেক্ট দিয়ে। "দ্য স্পীড" নামটিকে সার্থক করতেই হয়তো।

১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসের কোন একদিন

মানুষের জীবনে বোধ সঞ্চারের এক নির্ভেজাল উপাদানের নাম কবিতা। কবিতা কখনো মানুষের মনকে রাঙিয়ে দেয়, কখনো বদনার কালো রঙ ঢেলে উপলব্ধিগুলোকে সতেজ করে তোলে; জীবন দর্শনের পথকে করে প্রশস্ত।

নারী-পুরুষ নিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলি

'জেন্ডার' শব্দটি মুলত নারী ও পুরুষ উভয়কেই বোঝায়, বোঝায় নারী-পুরুষকে নিয়ে বৈষম্যহীণ সমাজের, রাষ্ট্রের কথা। সংস্কৃতি ও সমাজ নারী ও পুরুষ সম্পর্কে যে সব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গড়ে তোলে, ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে শেখায়, কিংবা ভুমিকা পালন করতে বলে, সেসবই হচ্ছে জেন্ডার।

সৌদি নারী...অতঃপর রোকেয়া

যদি আজ থেকে প্রায় একশ বছর পেছনে তাকাই বেগম রোকেয়ার (রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন১৮৮০-১৯৩২) জীবনে যিনি সৌদি নারীদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাননি কিন্তু তার দেখানো আলোতে এখনও আমরা পথ দেখি।

নারী....আর কতোকাল রবে শুধুই অর্কিড হয়ে!

প্রচলিত ধ্যান-ধারণা হচ্ছে নারী হবে নরম-কোমল, সর্বংসহা (মাতা), মনোরঞ্জনকারিনী (বধূ)। তারা থাকবে অন্দরমহলে। আর তাই প্রবাদে শোনা যায়... 'ঝি নষ্ট হয় হাঁটে, বউ নষ্ট হয় ঘাটে'।....অর্থাৎ ঝি কে হাঁটে-বাজারে-মার্কেটে পাঠানো যাবে না আর বউকে পুকুর ঘাটে পাঠানো যাবে না (যদিও গ্রাম এলাকায় পরিবারের পানির যোগান দাতা সাধারণত নারীই)।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

অনুগল্প : বিবর্ণ সময়


তথাকথিত বড়লোকদের রান্না ঘরের চেয়েও ছোট রুনুর ঘরটা । দরজা নেই, রাতে ঘুমুতে যাবার আগে সেই জায়গায় একটা চেয়ার টেনে দিতে হয় যেন তাদের স্বামী-স্ত্রীর চিরাচরিত আদিম মধুর সময়টির সময় হুট করে কেউ ঢুকে যেতে না পারে ।
ওর স্বামী কখনো কোন রাতে রাগ করে পাশ ফিরে শুলেও ওদের দু'হাত চওড়া বিছানা ঠিকই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারতো না । গায়ের সাথে গা লাগতোই । রুনু ব্যাপারটাতে বেশ আনন্দ পেতো ।
স্বামী উপার্জনের ঘাটতি থাকায়ই তারা বড় কোন ঘরে যেতে পারছিল না । এমনকি বাচ্চাও নিতে পারছিল না ।
স্বামীর উপার্জন বাড়ল, একটা বাচ্চা নিতে যেয়ে পর পর দু'টো বাচ্চার ধকল নিতে হলো । কিন্তু সে সুখিই ।
আস্তে আস্তে তাদের ঘরের সংখ্যা বাড়ল, রুনুরও একটা স্কুলে পড়ানোর চাকুরী জুটে গেল । স্বামী অফিস থেকে বেশ বড় অংকের বেতন পায়, স্বাচ্ছন্দ্য এখন উপচে পড়ে রুনুর ঘরে । বাচ্চারা বেশিটাকা খরচের নামী স্কুলে পড়ছে । রুনুর পোশাকেও বেশ রঙ লেগেছে ।
কিন্তু রাত গুলো এখন রুনুর দীর্ঘশ্বাসেই কাটে ।
পাশের ঘরে স্বামী সারারাত ল্যাপটপে কিসের কাজ করে জানে না...এখন আর তার সময়, ইচ্ছে কোনটাই হয় না রুনুর পাশে এসে ঘুমোবার ।
রুনু শীতের দীর্ঘরাত গুলোতে ভারী কম্বলের আড়ালেও উষ্ণতা খুঁজে ফেরে...মানব শরীরের একটু উষ্ণতার জন্যে ওর প্রাণ আকুলি বিকুলি করে । এমন সম্পর্ককে দূরে নিয়ে যাওয়া সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যই কি রুনু চেয়েছিল ? সামনে একটা বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন এসে নতুন আরেক বিবর্ণ ভোরের উপস্থিতি জানান দেয় ।

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩

পদ্য: বন্ধু

১.
পেছনের একজন...
নিরবতার আড়ালে থাকা একজন
প্রতিনিয়ত নিরব থেকেই আমায় বলছে,
এগিয়ে যাও বন্ধু...
পাশেই আমাকে পাবে ।
আমি রক্তাক্ত রাজপথ পাড়ি দেবার ভয়ে থমকে দাড়াই !
ভয়ার্ত দৃষ্টিতে পাশে তাকিয়ে দেখি
আস্বস্তের কোমল হাতটা এগিয়ে দিয়েছে
ভরসায় শক্ত করে বলছে,
বন্ধু, পাশেই আছি... এগিয়ে যাও ।
কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে ইতস্তত আমি
ভাবনায় পড়ে যাই, পিছলে যাব তো !
পাশেই দেখি ভরসার হাসি মুখ, নিরবে দাঁড়িয়ে
আমি এগিয়ে যাই,
জানি আড়ালে থেকেও
নিরব থেকেও ভরসার হাতটি বাড়িয়ে আছে ।
পাশেই আছে 'সে' ।।


২.

শুধু একবার চেয়ে দেখো,
আমি ঠিক আকাশের বুক চিড়ে ওই সূর্যটাকে এনে দিতে পারবো তোমার হাতের মুঠোয়,
ওই পাড়ে থাকা তোমার জন্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিতে এতোটুকু দ্বিধা করবো না ।
পুলিশের রিমান্ড পেরিয়ে ঠিক আমি সারাদিন তোমার সাথে চষে বেড়াতে পারবো নগর থেকে বন্দরে
আমার সেই ক্ষমতা আছে,
আমার সেই মনের জোর আছে...
চাইতেও জোর থাকা চাই যে ... ।
তোমার শুধু চাইবার জোরটাই নেই যে !



সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

বই প্রকাশ


লেখাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারাতো বটেই লেখা যাদের নেশা তারাও হয়তো কখনো চান তাদের লেখাটিকে প্রিন্টেড আকারে কাগজের পাতায় মুদ্রিত দেখতে । নিজের একটি প্রকাশিত বই একজন লেখকের কাছে তার সন্তানের মতোই আপন ।

বর্তমান সময়গুলোতে ফেসবুক, গুগল প্লাস, নিজস্ব ব্লগ সাইট সহ কমিউনিটি ব্লগগুলোর কল্যাণে মানুষ আগের ডায়েরির পাতায় লেখার বদলে এখন এসব ডিজিটাল ডায়েরি ব্যবহার করে থাকেন নিজেদের লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে । তাতে লেখকের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে কাগুজে বই প্রকাশিত কমই হচ্ছে । প্রকাশকরা লগ্নিকৃত অর্থের লোকসানের ভয়ে সাধারণত নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করতে ভরসা পাননা খুব একটা । কিন্তু তারপরও নিজের একটি বই... এতো দরদ দিয়ে লেখাগুলি বইয়ের পাতায় ছাপানো দেখতে, সেই কাগজের গন্ধ নেবার আনন্দই আলাদা । যাদের বই প্রকাশিত হয়েছে তারা এটা ভালো বুঝবেন ।

কিন্তু বর্তমান সময়ে বই প্রকাশের খরচের কথা ভেবে অনেক প্রকাশকই নতুন লেখকদের লেখা ছাপানোর রিস্ক নিতে চাননা । কিন্তু লেখক যদি নিজ অর্থে বই প্রকাশ করতে চান সেক্ষেত্রে প্রকাশকরা নবীন লেখকদের বই প্রকাশ করে থাকেন ।
সেই ভাবনা থেকেই সামনের জাতীয় গ্রন্থমেলার কথা মাথায় রেখে বই প্রকাশের কিছু তথ্য সহব্লগারদের সামনে হাজির করবার চেষ্টা করলাম । যারা বই প্রকাশে আগ্রহী তাদের যদি কোন কাজে লাগে তবে কৃতার্থ হবো ।

ISBN (International Standard Book Number):
বই প্রকাশের সাথে লেখকের বইটির একটি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড বই নম্বর দেবার কাজটি লেখক নিজে দায়িত্ব নিয়ে করাতে পারেন বা প্রকাশকও করিয়ে নিতে পারেন ।

ISBN এর জন্যে বর্তমানে পান্ডুলিপির এক কপি সহ আবেদন পত্র জমা দিতে হবে আগারগাঁও এ অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগার ভবনের নিচতলার অফিসে অফিসচলাকালীন সময়ে ।

ISBNএর নিজস্ব ওয়েবসাইট
http://www.isbn.org/

উইকিপিডিয়ায় ISBN


© কপি রাইট

একটি বই প্রকাশ করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না । বইটির লেখার স্বত্ত্ব যেন লেখক বা লেখকের অনুমতিক্রমে প্রকাশকের থাকে সেজন্যে কপিরাইট আইনের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করা উচিত যেন কেউ লেখা চুরি করে পার পেয়ে যেতে না পারে ।

নির্ধারিত সময়ে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের জন্যে :
●আবেদন পত্র – ৩কপি (নির্ধারিত)- অনলাইন অথবা অফিসে জমা দিতে হবে ।
●ট্রেজারি চালান (টাকা জমা)ফি – ১০০০/= প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে
●অঙ্গীকারনামা-৩০০ টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (মৌলিক কর্মের ঘোষণাপত্র)
●পান্ডুলিপি, সাহিত্যকর্ম, সিডি, ক্যাসেট ইত্যাদি…কর্মের ২ কপি করে জমা দিতে হবে
●ট্রেজারি চালান কোড নং ১-৩৪৩৭-০০০০-১৮৪১
●চারুকর্মের ক্ষেত্রে কর্মের ৩ কপি জমা
●কর্ম হস্তান্তর হলে হস্তান্তরের দলিল ৩০০/= ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প
●শিল্পকর্ম জমা দিতে হবে –দেলোয়ার জামিল
●সাহিত্য, সফটওয়্যার, নাটক, সিনেমা, পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে –খালেদ হোসেন চৌধুরী



বইয়ের খরচাপাতি

জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন-এর পুরোধা জনাব মোরশেদ আলম-এর মতে-
১০ ফর্মার একটি বই প্রকাশের আনুমানিক খরচ :
●কভার পেপার (দুই রকম আর্টপেপার
অফসেট-১২০ গ্রাম বা ১০০গ্রাম হতে পারে)- ২৫০০/=
●কভার ডিজাইন পজেটিভ সহ চার কালার -৩০০০/=
●কভার প্লেট ৪টি – ৮০০/=
●কভার ছাপা - ২০০০/=
●কভার লেমিনেশন – ৭৫০০/=
●বইয়ের কাগজ – ১১০০০/=
●বইয়ের ছাপা – ১০*৪০০=৪০০০/=
●মূল বইয়ের প্লেট একপোজ সহ ১০টা
(একপোজ= ট্রেসিং প্লেট) -৪৪০০/=
● বই বাঁধাই – ১০,০০০/=
● বই কম্পোজ ১০ ফর্মা
(ট্রেসিং সহ) – ১০*৬০০=৬০০০/=
●প্রুফ রিডিং – ৩০০০/=
১০ ফর্মায় প্রতিবারে প্রুফ রিডিং ১০০০/= করে তিনবারে ৩০০০/=টাকা

জলছবি বাতায়ন প্রকাশনার সঞ্চালক জহিরুল ইসলামের বর্ণনা মতে :
১.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১ (৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ২১,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

২.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১ (৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ১৬,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

৩.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ২ (১৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৩১,৫০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

৪.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ২ (১৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : স্ট্যাপলার
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ২৩,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

৫.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৩ (২৪ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৪৭,৫০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

৬.
সাইজ : ৭.২৫×৯.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৪ (৩২ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : চার কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে
সংখ্যা : ৫০০ কপি
মোট খরচ : ৫৭,০০০ টাকা
যে ধরনের বই হতে পারে : ছোটদের গল্প/ছড়া।

৭.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৩ (৪৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ১৯,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ২৫,৫০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা।

৮.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৪ (৬৪ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২২,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ২৮,৫০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

৯.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৫ (৮০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২৫,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩১,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১০.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৬ (৯৬ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ২৮,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩৪,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১১.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৭ (১১২ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩০,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ৩৭,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১২.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ৮ (১২৮ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৩,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪০,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১৩.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১০ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৬,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪৩,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১৪.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি (পেপারব্যাক)
ফর্মা সংখ্যা : ১০ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : পেপারব্যাক। তবে ফ্ল্যাপ থাকবে।
কভার পেপার : ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওয়ান সাইড গ্লোসি বোর্ড/আর্ট কার্ড
অলঙ্করণ : কয়েকটি স্কেচ হবে
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৩৬,০০০ টাকা। ৫০০ কপি ৪৩,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : প্রবন্ধ/উপন্যাস।

১৫.
সাইজ : ৫.৫×৮.৫ ইঞ্চি
ফর্মা সংখ্যা : ১৫ (১৬০ পৃষ্ঠা)
ভেতরের কাগজ : ৮০ গ্রাম দেশী
ভেতরের ছাপা : এক কালার
বাঁধাই : বোর্ড বাঁধাই
কভার পেপার : ১২০ গ্রাম আর্ট পেপার।
অলঙ্করণ : হবে না
মোট খরচ : ৩০০ কপি ৪৮,৫০০ টাকা। ৫০০ কপি ৫৬,০০০ টাকা।
যে ধরনের বই হতে পারে : কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/উপন্যাস।




কৃতজ্ঞতা:
জনাব নাসির আহমেদ কাবুল
জনাব মোরশেদ আলম
জনাব খালিদ হোসেন চৌধুরী


বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩

প্রকৃতির কোলে এক দুপুর
















শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

বিরহী স্মৃতি...

সেতো অতীতের পানে না চাহিয়া
ভুলেছে অতীতেরে...

আমি কেমনে ভুলি,
অতীতের স্মৃতি বিরহী ব্যাথায়
লোনা জলে হাহাকারে !

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিবেকের সামনে দাঁড়াও !




বাইরে ঝুম বৃষ্টি !
দু'হাত ছড়িয়ে বৃষ্টি বিলাসের
আনন্দটাকে গলাটিপে ধরতে হলো ।

তোমার পুরুষতান্ত্রিক রক্তচোখের কথা ভেবে !
তোমাদের কামাতুর তৃষ্ণাভরা চোখের ভয়ে !

ওই যে মেরুন রংয়ের
সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়েটা
তার শিশুটিকে বর্ষাতি পরিয়ে...
নিজে ভিজে ভিজে পথ চলছে !
আশপাশ থেকে
তোমাদের চোখগুলো যেন
ওর বৃষ্টিভেজা পোষাক
ভেদ করে
শরীরটাকেই দেখছে !

এই যাহ !
রন'র বোনটা !
এতো বৃষ্টিতে ভিজে কোথায় যাচ্ছে !?
একটু আগেই তো রনকে দেখলাম
বাচ্চাটার ছবি তোলার ছলে
সেই ভেজা শরীরের
মায়ের ফটোটাই তুলতে !

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩

হারিয়ে যাওয়া কেউ !

এনালগ,

উৎসব মুখর সেই দিনে,
হঠাৎ করেই তোমাকে দেখলাম !
এতো জোরে ডাকলাম, শুনতে পাও নি ! ?
দ্বিতীয়বার ডাকতে বড্ড সংকোচ হচ্ছিল !
তাই আর ডাকা হয় নি ।

তোমার ঠিকানায় একটা চিঠি লিখেছিলাম ।
ডাকপিয়ন পৌঁছায়নি সম্ভবত ।
অথবা বাসার লেটার বক্সটি অনেকদিন চেক করো না !


ডিজিটাল,

ঈদের দিন ,
তোমার নাম্বারটা এতোদিন পর খোলা পেলাম
সংকোচ, অসংকোচে ফোন করেই ফেললাম,
মিস কলটি বুঝি তোমার চোখ এড়িয়ে গেছে !
কলব্যাক করলে না যে !

মেইল যদি চেকই না করো
তবে আমায় মেইল এড্রেস দিয়েছিলে কেন বলতো !
তোমার মেইলে একটা লেখা পাঠিয়েছি ।
 পাওনি বুঝি ? !
অথবা মেইল অনেকদিন চেকই করো না !

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

বানান সতর্কতাঃ "হ্রস্ব ইকার এবং দীর্ঘ ঈকার"

সাম্প্রতিক সময়ে  আবিষ্কার করলাম বানানে বড্ড ভুল করছি । এর কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ভাবতে যেয়ে প্রথমেই যে বিষয়গুলো মনে এলো

১. মাতৃভাষা হওয়াতে "পারিই তো " এই ধরণের মনোভাব,

২. তাড়াহুড়ো  করে কি-বোর্ড চালানোঃ এতে অন্যের ব্লগে মন্তব্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর আর তা শুদ্ধ করার কোন ব্যবস্থা না থাকা,

৩. শুদ্ধভাষায় মন্তব্য করার চেয়ে কৌতুক করে মন্তব্য করার সংখ্যা বেশি পরিমাণে হলে তখন শুদ্ধভাষার চর্চা তুলনামুলকভাবে কমে যায়, ফলে বানান ভুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে ।

৪. নিয়মিত শুদ্ধভাবে লিখতে চেষ্টা না করা ।
আরো কারণ থাকতে পারে ।

 হ্রস্ব ইকার নিয়ে কিছু  কথা ...

অভ্র কি-বোর্ড
একবার ফনেটিকে লেখার সময় বানান নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম । কিছুতেই সব বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারছিলাম না ! যদিও অনেকেই হয়তো পারেন । কিন্তু আমি পারছিলাম না । সে সময়টাতে  নাফিস ইফতেখার-এর সহযোগিতা ভুলিনি । আমার মতো যারা ফনেটিকে লিখতে বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন , তারা অভ্র-এর পুরাতন ভার্সন ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
অভ্র ৪.৫.১ ভার্সন-
http://www.mediafire.com/?5v435wp0ccklijy 


ইউনিকোড
আমি নিজে ইউনিকোড ব্যবহার করি না, কিন্তু বানান সার্চ দিতে যেয়ে যা পেলাম ভাবলাম সহব্লগারদের কাজে লাগত্ওে পারে ।
ইউনিকোডে হ্রস্ব ইকার র্বণের পরে দিতে হয়। যেমন : ইউনিকোড লিখতে ই+উ+ন+ি+ক+ে+া+ড।

'আমি' লিখতে হলে এভাবে লিখুন gfmd এখানে আ-কার, ই-কার, ঈ--কার, উ-কার, ঊ-কার, ঋ-কার, এ-কার, ঐ-কার, ও-কার এবং ঔ-কার সবই ব্যঞ্জন বর্ণের পরে হবে।


বিদেশী শব্দে সবসময় হ্রস্ব-ই হবে
দীর্ঘ ঈ উচ্চারণের দীর্ঘত্বের নির্দেশক নয়, বরঞ্চ শব্দটির উৎস ভাষা যে সংস্কৃত  -তার নির্দেশক

কাজেই তৎসম না এমন সব শব্দে হ্রস্ব ইকার দিয়ে হবে ।
আর তাই বিদেশী কোন শব্দে দীর্ঘ-ইকার স্বাভাবিক নিয়মেই বসবে না ।
Bangla Academy নিয়ম করেছে যে, বিদেশী শব্দে  ঈ-কার হবে না এবং a-এর বাঁকা উচ্চারণে 'অ্যা' হবে যেমন: অ্যাকাডেমি ।

বিদেশী যেসব শব্দের উচ্চারণে ই-টা দীর্ঘ ভাবে হয়, তাদের ক্ষেত্রে কোনটা ব্যবহার করতে হবে, ই নাকি ঈ? যেমন নিউজীল্যান্ড, নাকি নিউজিল্যান্ড? অ্যাশলি নাকি অ্যাশলী?
এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমির বর্তমান নিয়ম হল হ্রস্ব ই ।

অ্যাশলী/অ্যাশলি-র ক্ষেত্রে অ্যাশ্‌লি হতে এমনিতেও কোন বাধা নেই, কারণ লি-টা (ley) ইংরেজিতে দীর্ঘ করে উচ্চারিত হয় না। প্রসঙ্গত, এই -ley টা অন্য ভাবেও ঝামেলা বাধাতে পারে; অনেকে এটাকে "লে" আকারে লেখেন, যেমন - অ্যাশলে। সেটাও উচ্চারণ অনুযায়ী ভুল। Berkley, Ashley, Wembley - এগুলো সবসময় বার্ক্‌লি, অ্যাশ্‌লি, ওয়েম্ব্‌লি - এভাবে লেখা উচিত।
 -ey তে (এবং কখনো কখনো -ay তে) শেষ হয় এরকম সব ইংরেজি নামের ক্ষেত্রেই হ্রস্ব-ইকার ব্যবহার করা উচিত। Surrey - সারি, Murray - মারি, ইত্যাদি।
আর শেষ কথা হচ্ছে বিদেশী ভাষার ক্ষেত্রে হ্রস্ব ইকার হবে ।
নিউ ইয়র্ক, নিউ ক্যাসেল, নিউ মার্কেট, নিউ দিল্লি, নিউজিল্যান্ড,
ইস্টার্ন, স্ট্রিট, স্টিল, গ্রিল, স্টিমার



একই/কাছাকাছি উচ্চারণে ভিন্ন অর্থ

১.
কি:
যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেয়া যায়, সেসব প্রশ্নে 'কি' ব্যবহৃত হবে। যেমন :
তোমার নাম কি জামান?
তুমি কি আজ যাবে?
তুমি কি কেবলই ছবি?
আমি কি আর কারেও ডরাই?
কে জানে, আমি বাঁচব কি না।
কিছু ফেলে গেলেন কি?
একটা ফোন করা যাবে কি?
আমার ছোট তরি, বলো যাবে কি?

কী:
যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেয়া যায় না, সেসব প্রশ্নে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণ হিশেবে বিস্ময়সূচক বাক্যে 'কী' ব্যবহৃত হবে। যেমন :
তোমার নাম কী?
কী খেতে চাও?
কী দিয়ে খেতে চাও?
কীভাবে বুঝলে?
তুমি কীজন্যে যাবে?
পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!
এ কী!
সে কী!
কী রে? কী খবর?
কী যে ভালো লাগল!
কী নিষ্ঠুর লোকটা!
কী করি আজ ভেবে না পাই!
সে কী না কী মনে করেছে, কে জানে।
গাড়িটা কী দ্রুত চলে গেল!

২.
স্বীকার-মেনে নেয়া, প্রকাশ (কৃতজ্ঞতা স্বীকার), গ্রহণ (নিমন্ত্রণ স্বীকার), সম্মতিদান, অঙ্গিকার (দিতে স্বীকার বা পাওয়া), বরণ, সহ্য করা (দুঃখ স্বীকার)

শিকার-হত্যা, লুন্ঠন প্রভৃতি দুষ্কর্মের লক্ষ্য

৩.
বেশী/বেশিনী = বেশধারণকারী (ছদ্মবেশী, ভদ্রবেশী)
বেশি = আধিক্য

৪.
কালি = লেখার বা ছাপার রঞ্জিত তরল বিশেষ, অন্ধকার, কলঙ্ক
কালী = কালিকা দেবী, চন্ডিকার রূপ বিশেষ



[sb]কিছু শব্দের শুদ্ধ বানান :[/sb]
পড়ার সুবিধার্থে রঙ বদলে দেয়া হলো ।

আশীষ (আশিস এর রূপভেদ),
ভুল : স্নেহাশীষ । 
শুদ্ধ : স্নেহাশিস ।


[sb]উভয় বানানই হতে পারে[/sb]
কুমির/কুমীর, বাড়ি/বাড়ী, গাড়ি/গাড়ী, পাখি/পাখী-শুদ্ধ বানান


[sb]দীর্ঘ-ঈ কার হবে[/sb]
সমীচীন, পরীক্ষিত, অণুবীক্ষণ, দূরবীক্ষণ,
গীতাঞ্জলী, পুস্পাঞ্জলী, নীরব


যেহেতু বানানের ব্যাপারে আমি অভিজ্ঞ নই তাই লেখাটিতে যে কোন ধরণের ভুল ধরিয়ে দেবার জন্যে অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং আরো তথ্যসমৃদ্ধ করতে পাঠকের মতামত আশা করছি ।

কৃতজ্ঞতা :
১. [link|www.somewhereinblog.net/blog/Nafis_Iftekhar|নাফিস ইফতখার]
২. [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/khalilmahmud_1968/28962910|খলিল মাহমুদ] 
৩. রাগিব (উইকিপিডিয়া)
৪. [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/juliansiddiqi/29863130|জুলিয়ান সিদ্দিকী]
৫. অল্ওয়েজ ড্রিম

তথ্যপঞ্জি:
৫. আখতারুজ্জামান আজাদ-এর পেজ-
https://www.facebook.com/pages/আখতারুজ্জামান-আজাদের-বাংলা-ক্লাস/113268322107642

৬.বাংলা বানান-
http://www.somewhereinblog.net/blog/bbnet/29728993

৭.মাসুম2025-
http://www.somewhereinblog.net/blog/masum2025/29445188

৮. [link|http://shorob.com/tag/বানান-বিভ্রাট/ |সরব]
৯. উইকিপিডিয়া
১০. সংসদ বাংলা অভিধান, আগস্ট ২০১১

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

বন্ধু

বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকাবস্থায় গলায় গলায় ভাব, খুব ভরসার, বিশ্বস্ত এক বান্ধবী ছিল...
আমি বুঝতাম ও আমায় অনেক পছন্দ করতো আর যে কোন বান্ধবীর চেয়ে...
আমি কাজে কর্মে বিশেষ করে রান্নায় একটু ফাঁকিবাজ ছিলাম বলে ওর উপর দিয়েই সব ঝামেলা যেত ।
কিন্তু কারণে অকারণে বড্ড অপমান করতো, কষ্ট দিয়ে কথা বলতো ।
একটা সময় আমার রুম বদলের সুযোগ এলো...

ডায়েরি থেকে



২০ এপ্রিল ১১.৩৯ সকাল
গত দুইদিনে দুই জেলার দুই কবরস্থানে যেয়ে মৃতের কবর সংরক্ষণের প্রতি (কবর বাঁধাই) আগ্রহ দেখে আমাকে আমারই এক আত্নীয়া প্রশ্ন করলো,

কবর সংরক্ষণ করাটাকি একধরণের পূঁজার মধ্যে পড়ছে না?! ...এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করা হলে বললো শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধর্মান্ধরা শহিদ মিনারে পুঁজা হচ্ছে বলে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে বিভিন্ন সময়।
সাথে এও বললো শহিদ মিনারে যদি পূঁজা হয়, তবে কি কবর সংরক্ষণ করাটা পূজা হচ্ছে না? কারণ মৃতের জন্যে দোয়া যে কোন স্থান থেকেই করা যায়। আর আমরা কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্যেও দোয়া করি তার কবরের সামনে না যেয়েই। আর নবী করিম (সাঃ) কবরের কোন চিহ্ন রাখারও অনুমতি নেই।

কথাটা ভেবে দেখার মতো... আর এতো কবর বাঁধাই করা দেখে আমার মাথায়ও একটা প্রশ্ন এলো...

জমি সীমিত কিন্তু মানুষ মরছেই। এ অবস্থায় টাকা দিয়ে যদি এভাবে কবর সংরক্ষণের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে তবে এক সময় কবরস্থানগুলিতে জায়গার সংকুলানতো হবে না। এমতাবস্থায় মৃতদের কবর দেয়ার জন্যে কি আবাদী জমিগুলিকে ব্যবহার করা হবে?

এপ্রিল ১৩, ৪.১৯ মিনিট বিকেল
২টা ফুল প্লেট ভাত, ২টা হাফ প্লেট ভাত, ১টা শুটকি মাছের ভর্তা, ১টা টাকি মাছের ভর্তা, ১ বাটি করল্লা ভর্তা, ১ বাটি পুঁইশাক, ১টা বেগুন ভাজা, ১ বাটি (ও পরে আবার দিসে) গরুর গোশত, ১ টা বিশাল সাইজের ইলিশ পিস সহ তরকারী মাত্র ২০০ টাকা (কেডা কয় ইলিশের এতো দাম?!) ......জয়তু আজিজ সুপার মার্কেট

এপ্রিল ১৩, ১০.১৭ মিনিট সকাল
গ্রামীন ফোনের নেট নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কানে ধরছি যে আর গ্রামীন ফোনের নেট চালাবো না। কিন্তু আজকে হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমি কথার কথা বলছি এতোদিন। যদি আসলেই নিজের কান টেনে বলতাম যে "কানে ধরসি, গ্রামীন নেট আর চালাবো না", তবে হয়তো ঠিকই মনে থাকতো

এপ্রিল ৯,  দুপুর ১২.৫২মিনিট
আমাদের এক বৌদ্ধ প্রতিবেশীর মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। ওদের ধর্মে মেয়েদের উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই! স্বামীর সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই!(ওদের ভাষ্যমতে) বাবা বা স্বামী ইচ্ছে হলে যদি কিছু দেয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ার অপরাধে যদি কোন বৌদ্ধ পিতা তার কন্যাদের স্বনির্ভর করতে সাহায্য, সহযোগিতা না করে তবে এই মেয়েরা কি এভাবেই বংশপরম্পরায় অবহেলিত থেকে যাবে?!!

বি.দ্র: ইহা কোন ধর্মকে আঘাত করামুলক কোন স্ট্যাটাস নহে।সীমাবদ্ধ জ্ঞানের একজন মানুষের শুধুই জানতে চাওয়া...




এপ্রিল ৪, ৩.৫ মিনিট বিকেল

আমার সহব্লগাররা গ্রেফতার হইছে, তাতে আমি খুশি হইসি না ব্যজার হইসি তা কিন্তু আমি জনে জনে বইলা বেড়াই নাই। কাজেই আমার মনে কি আছে তা যদি আপনে নিজে থেইক্কা আবিষ্কার করেন, প্লিজ তা নিজের কাছেই রাখেন আমারে এইসব নিয়া ত্যাক্ত করতে আইসেন না।আপনেরে সময় দেওয়ার চেয়ে আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সময় দেয়াটা আমার কাছে বেশি জরুরী। আমি হাত জোর করতাছি, দয়া কইরা নিজেরা যা ইচ্ছা করেন, আমারে হুদাই টানাটানি কইরেন না।



ফেব্রুয়ারী ১৫
জামাত-শিবিরের নামে যেন কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হেনস্থা না হয়, অনুরোধ রইল সকলের প্রতি।তরুণ প্রজন্মের শাহবাগ আন্দোলন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের লেবাস পরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতাদের বিরুদ্ধেই।


জানুয়ারী ২০ ২০১৩

ধানমন্ডি লেকের পার দিয়ে এমনিতেই মুরুব্বী বা বুঝদার শিশুদের নিয়ে স্বস্তি নিয়ে হাঁটা যায় না। হংসমিথুনদের কলকাকলীতে মুখর থাকে নিয়মিতই। তবুও সমস্যা থাকে না, আজকে যখন সকাল বেলা বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে হাঁটছিলাম লেকের পার ধরেই, তখন আমাদের সাথেরই আরেকজন নিতান্তই কমবয়সী অভিভাবক ফোন দিল-
"পনি আপা, আপনি কৈ?" (বেচারীর কন্ঠ কাপছিল, কান্না কান্না স্বর)
কোনপাশে আছি তাকে সেটা বললাম-
"একটু আসতে পারবেন, একটা সমস্যা হইছে..."
ওকে শর্টকাট রাস্তার নির্দেশনা দিয়ে দাড়াতে বলে জোরে হাঁটা দিলাম, কি হয়েছে দেখতে।
যখন ওর কাছে পৌছলাম তখন ও কাঁদছে!
এক লোক নাকি লেকের পাশে নির্জন রাস্তা পেয়ে ওর পাশাপাশি হেঁটেছে আর বলেছে তার ধারণ ক্ষমতা ৪৫ মিনিটের চেয়ে কম নয় , সাইজ যা বললো (তা সেন্সর যোগ্য) আরো এমন সব কথাবার্তা!
সেই মেয়ে যতো জোরে হাঁটে , সেই লোকও নাকি পাল্লা দিয়ে ততজোরে হাঁটে, শেষে সেই মেয়ে আমাকে ফোন দেবার পর সেই লোক থেমে গেছে।

এখন কথা হচ্ছে, এ ধরণের ইভটিজিং, যা পুরোপুরিই যৌন হয়রানী....আর কতোদিন চলবে?!
আইন করে তো এই ধরনের টিজিং বন্ধ করা সম্ভব না, এর জন্যে সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা কাম্য জরুরী ভাবেই ।

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

আকুলতা !

??
!!


আমার কোন কিছুতেই কি তোমার কিছুই আসে যায় না ?!
কিভাবে পারো এতো উপেক্ষা করতে !?
এই ?!
এইই ?!
আররে !
বেশি বললেই তো আবার ধমক লাগাবা ! !

তাহলে শুরুতেই একটু হু, হা করো !
আমার বুঝি তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে না ! !
...................................................
কতো দিন তুমি অফিস থেকেই কাজে ভীড়ে আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করেছো !
তোমার সাথে কথা বলতে যেয়ে কতোবার ভাত নরম করে ফেলেছি !
কতোরাত তুমি আমার আমার পাশে বসে কথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে স্বপ্নময় করে রাখতে আমার স্বাপ্নিক রাতগুলোকে ! !
আজ তুমি আমায় একটুও মিস করো না ?!
তাকাওতো আমার দিকে...
কি হলো ! তাকাও !
চোখ গরম করছে যে বড্ড !
এ জন্যেই তো তোমার সাথে বেশি কথা বলতেও এখন ভয় লাগে !
যদি ক্ষেকিয়ে উঠো !
তুমি বোঝ কতোটা কষ্ট হয় আমার !?
তোমার কথা, তোমার ভাষা, তোমার কন্ঠ শোনার আকুলতা...
তুমি কি একটুও বুঝতে পারো না !
তোমার সাথে কথা বলতে না পেরে আমার যে কি প্রচন্ড কষ্ট হয় তুমি বোঝ !
জানো যখন তোমার সাথে কথা বলার জন্যে অস্থির হয়ে যাই...
তখন আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় !
বিশ্বাস করো, আমার কিন্তু শ্বাসকষ্টের রোগ নেই !
শুনে থাকি, মানুষ নাকি কথা বলতে না পেরে অস্থির হয়ে যায় !
কী যে বলে মানুষজন !
আমিতো কথা শুনবো বলে পাগল হয়ে যাই !
আমি তোমার মতো বক্তার খুব ভালো শ্রোতা হতে চাই ।।

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্ন ভাঙার দিন, সব হারানোর দিন ।

সময়গুলো বড্ড অসময় হয়ে যায়...
খুব তারাতারিই !

১৩ তারিখকে আমি আনলাকি মানিনি কখনো,
আমার জীবনের আঙ্গুলে গোনা একাধিক প্রিয় মানুষের জন্ম কোন কোন মাসের ১৩ তারিখ ।

কিন্তু আগস্টের ১৩ তারিখকে কিভাবে বিশেষায়িত করবো ?!
বরং বলতে হবে ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া একটা স্বপ্নের দিন !

মধ্যবিত্ত বাঙালীদের সুস্থধারার সিনেমা দেখাতে হলমুখি করেছিলেন যে মানুষটা , সেই প্রিয়, শ্রদ্ধেয় তারেক মাসুদ যে স্বপ্ন ভাঙ্গা ঝড়ের তান্ডবে হারিয়ে গেল সাথে আরেক প্রিয় মুখ মিশুক মুনীরকে নিয়ে ...এই ক্ষতি আদৌ পূরণ হবার নয় ।

আমি সিনেমাখোর বলতে যা বোঝায় তা নই , সেই সময় বা সুযোগও আমার হয় না । তারপরও চাই বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে সুস্থধারার সিনেমার জয়গান গাইতে ।
স্বপ্ন দেখি সেই সুসময়ের ...

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই এই অসাধারণ মেধাবী প্রিয় মানুষ দু'জনের জন্যে ।।

অনুভবে

"এমন জানলে বিয়ে করলে কেন ?"
কাউন্সেলর-এর এই কথার কোন জবাব দিতে পারে নি মেয়েটি ।

কি জবাব দিবে ! ও তো ভাবতেই পারে না, ছেলেটিকে ছেড়ে থাকার কথা !

ছেলেটি ডিভোর্স করতে চায় নি কখনো । কিন্তু সবসময়ই মেয়েটিকে দূরে ঠেলে রেখেছে ।
সুযোগ পেলেই, একটু কথা কাটাকাটি হলেই বলে দিয়েছে বেড়িয়ে যাও !

কিছু হলেই বলেছে, বাপের বাড়িতে যেয়ে কয়দিন থেকে আস ।

মেয়েটি ছেলেটির এই আচরণে কষ্টে বোবা হয়ে যায় মাঝে মাঝে !

কিন্তু কখনো কখনো মরা গাঙ্গে বান ডাকার মতো করেই ছেলেটির ভালবাসা মেয়েটিকে সব ভুলিয়ে দেয় !


মেয়েটি চেষ্টা করেও ওর ভালোবাসাকে সরিয়ে নিতে পারে না ছেলেটির উপর থেকে ।
যখন কষ্টে নীল হয়ে যায়, তখন একরাশ থুথু ছিটিয়ে দেয় ছেলেটির মুখে ।
ওর ঘৃণার সর্ব্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ !

মেয়েটি নিজেও জানে না, ছেলেটি ওর উপর সবসময়ই আড়াল থেকে নজর রাখে ।

কিন্তু সামনাসামনি ছেলেটির অবজ্ঞা যেন মেয়েটিকে ছেলেটির প্রতি আরো বেশি আকর্ষণের জেদ তৈরী করে দেয় ......... মনে মনে ও ওর জেদ থেকে সরে আসতে পারে না, বরং বিরবির করে বলতে থাকে...
"তোমাকে কতোটা ভালোবাসলে মনে হবে আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি ?!"

এর বেশি ভালবাসা যায় না ....!

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

অভিশাপ


নাজুর বেশ ক'দিন থেকেই জ্বর । একেবারেই খাওয়া দা্ওয়ার রুচি নেই। ভাইরাস জ্বর ভেবে মুক্তা নাপা চালাচ্ছে তিন বেলা । জ্বরের প্রকোপে নাজুর বমিও হচ্ছে ।
চারদিনের দিন জ্বর কমে গেলেও শরীর দুর্বল থাকায় প্রায়ই বমি হচ্ছে ।
নাজু ইদানিং খেতেই পাচ্ছে না ।
বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর মুক্তা বাধ্য হলো  নাজুকে ডাক্তারের কাছে নিতে।
ডাক্তার বেশ কিছু প্রশ্ন  করার ফাঁকে কিছু মেয়েলী প্রশ্ন্ও উঠে আসায় নাজুকে ইউরিন টেস্ট করতে দিল ।
রিপোর্ট পেয়ে মুক্তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো !
এই অবস্থায় কি করা উচিত কিছুই বুঝে উঠতে পাচ্ছে না । সুমিতকে ঘটনা জানানোর পর  রাসেলকে ডাকা হলো...রাসেল পুরোপুরি সব অস্বীকার করে তার কাঁধে অপবাদ দেয়া হয়েছে ব্লেইম করে চাকুরী থেকে ইস্তফা চাইল।

নাজুকে পুরো পরিস্থিতিটা বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে মুক্তার তবে শেষ পর্যন্ত সে ক্লিনিকে যেতে রাজি হয়েছে।

কিন্তু স্বপ্ন দেখা নাজু বুঝতেও পারে নি-এতো ভালোবাসা, আন্তরিকতা যে তার জীবনে অভিশাপ  হয়ে আসবে !

রাসেল ক'দিন থেকেই তার বউকে অকথ্য শারীরিক অত্যাচার করছে গরীব বাবার কাছ থেকে সিএনজি কেনার টাকা এনে দিতে ! না হলে রাসেলের পক্ষে হাতি পোষা আর সম্ভব নয় বলেও হুমকি দিয়েছে ।
রাসেলের বউ বেশ ক'দিন থেকেই বাবার বাড়িতে । ছোট বাচ্চাটি জানে না তার কি অপরাধ ! কেন সে বাবাকে ছাড়া নানার বাড়িতে আছে ! এক অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এক গরীব পিতার কন্যা আর তার নাতীর জীবন !


মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

অনুগল্প: সৃজনশীলতা

শান্তার সাথে ওর স্বামী তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই ।
এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে !
দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে এসেছে ।

বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গা পাস করে এদিকেই আসছে।
মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জরিয়ে ধরলো !
যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না !

মানবজমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর মানবজমিন ধরিয়ে রিনিকে পড়তে বললো !

রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো !
খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি !

কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় !

একদিন রিনি বে-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন !
আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে !

রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে !

বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় ।

একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয়। বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল। তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই ।

এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্ত ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে !

হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো ....
জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে"

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৩

ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর "তিতলি"

হয়তো কারো বুকে মাথা রেখে
দীর্ঘশ্বাস হাসি দিয়ে ঢেকে
নিরাপত্তার উষ্ণতা নিয়ে
থাকবে যন্ত্রণায়....

এই যন্ত্রণা তখনই হয়,
যদি পরের এপিসোডটা খুব বেশি রকমের মন কাড়া না হয়।

কিন্তু যদি মানুষটা ‪#‎তিতলি‬-র বাবার মতো হয়, তবে কষ্টগুলো, হারানোর ব্যথাগুলো আর তেমন বাজে না।
আর সাথে বিশ্বস্ততাও একটা বিষয়। বিশ্বাসযোগ্য থাকার চেষ্টা করাও একটা বিষয়।

তাই দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি দু'জনের প্রতি খুবই আন্তরিক হয়, বিশ্বস্ত হয় তবে
জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে যায়।

কৈশোরের প্রেম অনেক রঙিন হলেও তাতে অনেকই ভুল থাকে।
এই সময়টাতে বাবা-মাকে খুব সাবধানী হতে হয় সন্তানের আবেগের দিকে দৃষ্টি রাখতে।
‪#‎ঋতুপর্ণ_ঘোষ‬ এর #তিতলি তে অনেকই মুগ্ধতা....

দারুণ একটা গান-
মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর
মন খারাপের দিস্তা
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়,
ব্যাকুল হলে তিস্তা।
মন খারাপের খবর আসে
মন খারাপের খবর আসে
বন পাহাড়ের দেশে
চৌকোনো সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাকসে
মন খারাপের খবর পড়ে দাড়ুন ভালবেসে।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৩

ভাবনার জগতকে নাড়িয়ে দেয়া ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমাগুলো

"দহন"
ঋতুপর্ণ ঘোষের "দহন" দেখলাম ।

 দেখছিলাম আর জ্বলছিলাম...কষ্টে কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছিলাম । জীবনের এতো কাছ থেকে নেয়া বলেই এই ধরনের সিনেমাগুলোকে মনে হয় জীবনধর্মী সিনেমা বলা হয়। যা আমাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। আমাদের মাঝে অতি আপনজনের পর হয়ে উঠা, অপরিচিত হয়ে উঠা...হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চারপাশটাকে লালে লাল হয়ে জমাট বেঁধে ফেলা...

সত্যিই প্রতিটা মেয়ের কানে কানে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে...নারী... এতো আধুনিকতা, এতো শিক্ষা, ক্ষমতায়ন...তুমি কি সত্যিই তোমার পাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছ ?!

উইকিপিডিয়ায় "দহন"

আইএমডিবি-র রেটিং ৮.১
ইউটিউবে "দহন"



"খেলা "


আমি কখনোই সেভাবে সাপোর্ট করি নি, বিদেশী সিনেমা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোনভাবে প্রভাব ফেলতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে চলুক নিয়মিত। বিশেষ করে ভারতীয় সিনেমাতো নয়ই (আর পাকিস্তানী সিনেমার প্রশ্নই উঠে না)।

কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষের দুদিন আগে দেখা "দহন" আর আজকে দেখলাম "খেলা" দেখে মনে হচ্ছে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কিছু শেখানোর জন্যে হলেও এসব সিনেমা চালানো উচিত প্রেক্ষাগৃহগুলোতে।

এতো জীবন ঘনিষ্ট ! মনে হয় নিজের জীবনের লুকিয়ে রাখা, জানালার পাশে অভিমান করে দাড়িয়ে থাকার মুহুর্তগুলো এই লোক জানলো কেমন করে?!
কেমন করে জানলো বরের সাথে কতোদিন রাগ করে ভেবেছি ...এই অপেক্ষার শেষ হোক।
নিজের অনুভবে রাখা দৃশ্য গুলো এই লোক এতো অবলীলায় কিভাবে সেলুলয়েডের ফিতায় আটকালো ....?!!!

আমার অনেক টাকা নেই। না হলে বড় পর্দায় দেখানোর দায়িত্বটা আমিই নিতাম আমাদের অবহেলিত, সিনেমা পাগল, বুভুক্ষ দর্শকদের জন্যে ।
উইকিপিডিয়ায় "খেলা"
"খেলা" আইএমডিবির রেটিং ৭.৪ 

ইউটিউবে "খেলা"

"উনিশে এপ্রিল"

ঋতুপর্ণ ঘোষের "উনিশে এপ্রিল" দেখার সময় ছোড়া প্রসেনজিৎকে দেখে চমকে উঠেছিলাম ! পরে বুঝলাম আমি নিজেই ১৭ বছর পেছনে পরে আছি।...তবুওতো পেছন থেকে উঠে আসার চেষ্টা...তাই বা কম কি !

সিনেমাটা দেখার এক পর্যায়ে মনে মনে বলে উঠেছিলাম ...কুত্তার বাচ্চা ! তুই যদি মায়ের পছন্দের লুতুপুতু মেয়েই বিয়ে করবি তাইলে প্রেম করতে গেলি ক্যান ! গররররর....

আমি বাস্তবে এভাবে গালি দেই না... দিয়ে অভ্যস্থ্য না। কিন্তু ক্রোধ চেপে রাখতে পাচ্ছিলাম না...মা, ডাক্তার মেয়ে পছন্দ করবে না, মা একটু ঘরোয়া বউ চায় এবং পরবর্তীতে মেয়ের মা-বাবার পেশা নিয়ে পরে যায় টানা হেচড়া ...এসব ইতং বিতং যে ছেলে ভাবে সে ক্যান প্রেম করে একটা মেয়ের জীবনকে এভাবে বিবর্ণ করে দেয় ?!

কিন্তু আমার দেখার ধারাবাহিকতাকে কিভাবে অদ্ভুতভাবে বদলে দিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের টানা পোড়েন থেকে ক্যারিয়ারিস্ট মা আর দিনের পর দিন মায়ের ব্যাস্ততায় সন্তানের দুরে সরে যাওয়া......
স্বামীর সাথে স্ত্রীর প্রফেশনাল (বরং ফিনানশিয়াল বলি) কনফ্লিক্ট ! স্ত্রীর বেশি খ্যাতি, টাকা কামানোকে স্বামীর মেনে নিতে না পারা...

একই ঘরের বাসিন্দা হয়েও দুই ভুবনে রয়ে যাওয়া... বড্ড কষ্ট পাচ্ছিলাম।

একটা সময় চোখের কোনে হয়তো একটু জলের আচঁ পাচ্ছিলাম...বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথা...

বোঝাপড়া গুলো ভালো থাকলে, স্বচ্ছ থাকলে...সম্পর্কের উন্নতি হতে বাধ্য । এর জন্যে চাই দুজনকে দুজনের বোঝার চেষ্টা। যা দুই পক্ষেরই উচিত।




রেইনকোট

ঋতুপর্ণ_ঘোষ‬
এর ‪‎রেইনকোট‬ দেখলাম।
এটাই প্রথমবার না। এর আগেও কয়েকবার কিছু অংশ দেখে ছেড়ে দিয়েছি। টানতে পারে নি আমায়। স্লো বলেই হয়তো... অথবা ইদানিং হিন্দি চ্যানেলের অনাগ্রহটাও হয়তো ভর করেছিল সিনেমাটা দেখার সময়।

যাই হোক, বেশ কিছুদিন/মাস ধরেই নারীদের শক্ত অবস্থানে থাকা সিনেমা খুঁজতাম মনে মনে। তা যে কোন ভাষারই হোক।

ঋতুপর্ণ ঘোষের দহন‬, ‪‎খেলা‬, উনিশে_এপ্রিল‬ দেখে আমার সেই আগ্রহ যথেষ্টই মিটেছে।

বলছিলাম "রেইনকোট" এর কথা ।

অনেক বড় ঘরণী ঘর পায় না...
অনেক বড় সুন্দরী বড় পায় না...

এককথায় এই হলো রেইনকোট.......।।

প্রথম দিকে ঝিমানো ভাব থাকলেও সিনেমাটার মাঝ বরাবর এসে নীরুর অনুপস্থিতিতে বাড়িওয়ালার আগমন এবং এরপর ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোই দর্শকদের চাঙ্গা করে তুলতে যথেষ্ট।

একটা বিষয় খুব অবাক করা ! আমার খুব পরিচিত একজন তার বিয়ের প্রথম ৩ বছর তার বাসায় জানায়ই নি যে কতোটা মানসিক অশান্তিতে আছে। বরং শ্বশুড়বাড়ির যতো পজিটিভ কথা সে সবাইকে বলে বেড়াতো হাসি মুখে ।

৩ বছর পর সেই পরিচিতার নিকটাত্নীয় ওর শ্বশুরবাড়িতে এসে ইনকোয়ারী করলে বেড়িয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর, কষ্টকর জীবনের কাহিনী।

যাই হোক...আমি নীরুর হাসি মুখে একেরপর এক বলা ভোলানো কথায় একটু সন্দেহ করছিলাম বটে ! কিন্তু তা এমন নির্মম সত্য হবে ! বুঝি নি।

আর ভালোবাসা সত্যিকারের হলে ভালোবাসার মানুষটির যে কোন ক্ষতি দেখে অন্যপক্ষ যখন সেই কষ্ট দূর করার জন্যে নিদোর্ষ চেষ্টা করে তখন সেই ভালোবাসাকেই কি স্বর্গীয় ভালোবাসা বলে ?

The_Gift_of_the_Magi যারা পড়েছেন তারা রেইনকোট-এর সার্থকতা ভালো বুঝতে পারবেন।

রেইনকোট এর ইউটিউব লিংক
উইকপিডিয়ায় রেইনকোট
আইএমডিবি রেটিং -এ " রেইনকোট " ১০-এ ৭.১


আবহমান
ঋতুপর্ণ_ঘোষ‬ এর আবহমান‬ দেখার শুরুতে আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে...

"চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলে আমার হৃদয়টাকে রক্তাক্ত করার পর যে রক্তচুম্বণটা দাও,
সেই রক্ত চুম্বনের নেশায় আমি বার বার নেশাগ্রস্থ হতে চাই................."

এটা রূপক অর্থে বলা হয়েছে... যারা আবহমান দেখেছেন তারা আমার এই কথার মর্ম বুঝবেন।

দেখার শুরুতে হেব্বি চাঙ্গা মুডে ছিলাম !
চাঙ্গা এতোটাই ছিলাম যে, রিতিমতো কাব্য সৃষ্টি করে ফেলেছিলাম !
মাঝখানে বেশ কিছু কাজ সেরে আবার দেখতে বসলাম ....!
....................................................!
আমি কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না !
#আবহমান নিয়ে কিছু আদৌ লিখতে পারবো কি না বুঝতে পাচ্ছি না !
 
 শেষ করার পর আমি "তব্দা" বলতে যা বোঝায় তাই হয়ে গেছি !
আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে !
হাউমাউ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে !
আমি আমার চোখ থেকে বেরিয়ে আসা জলের স্রোত থামাতে পাচ্ছি না !
কোন সিনেমা দেখে সিনেমা যে বানিয়েছে তাকে অনুভব করেছি এমন হয় নি !
কিন্তু আজকে করতে পাচ্ছি !
আমি অনেক দেরী করে ফেলেছি !
বড্ড বেশিই দেরী করে ফেলেছি ............!

ইসসস ! এই মানুষটা কেন আরো অনেকগুলো বছর বেঁচে থেকে আরো আরো সিনেমা বানালো না !

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

অনুগল্প : "শোধ"- শুরুর পরে/শেষের আগে

ICMAB এর সামনে দিয়ে যখন আসছিল তখন বেশ বাতাস বইছিল। নীলক্ষেত থেকে কাটাবনের দিকে যেতে আইসিএমএবির গেটের উত্তর পাশের বসা লোকটার দৃষ্টি খেয়াল করে মুক্তা দেখলো তার কামিজের কাপড়টা একটু উড়ে গিয়ে উপরে উঠে গেছে। আর হাটুর অল্প উপরে উঠে যাওয়া সালোয়ার-এর উপর দিয়ে সেই লোক কি দেখার চেষ্টা করছে তা সেই জানে !
এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় আইইআর এর ক্লাস শেষ করে মহসীন হলের মাঠের পাশ দিয়ে ছাতা মাথায় অন্ধকারে ফেরার পথে সবেগে চলা এক খালি রিক্সার চালক দ্রুততার সাথে ওর গায়ে হাত মেরেছিল ও কষ্ট পাওয়ার চেয়ে অবাক হয়েছিল !
পোশাকের শালীলতায় ওর শত্রুরাও ওকে কোন বাজে কথা শোনানোর কথা ভাবে না। তাহলে এই রিক্সাওয়ালার অন্ধকারে পোশাকে আবৃত এক নারীকে দেখেই তার আদিম প্রবৃত্তি জেগে উঠল ?!
"তবে যে ধর্ষনের কারণ হিসেবে মেয়েরা নাকি প্রভোকিং ক্যারেক্টার হিসেবে কাজ করে ?! কিভাবে সেটা?!"
মুক্তা আমায় জিজ্ঞেস করেছিল ।
আমি চুপসে যাওয়া মুখে কোন রকমে শুধু বলেছিলাম -"ওরা সব পশু রে, মুক্তা !"
অফিসের ড্রাইভার বলে ওকে বাদ দেবার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু মুক্তার রাসেলকে মাঝে মাঝে একদমই ভালো লাগে না !
প্রাইভেট কার বলে একটু আরাম করেই বসতে না পারলে কিসের প্রাইভেট কার ! তবেতো বাসই ভালো ...বিড়বিড় করে মুক্তা !
কখনো বসতে যেয়ে কামিজটা একটু হাটুর উপরে উঠে গেলেও রাসেলের হায়েনা মার্কা চোখ মিস করে না তা দেখতে ! কারের সামনে বা পাশে বা কাছাকাছি কোন নারীকে দেখলেতো মুক্তার রিতিমতো টেনশন লেগে যায় সেই নারীর দিকে তাকাতে তাকাতে রাসেল না আবার এক্সিডেন্ট করে বসে !
নাহ, রাসেল কখনোই এক্সিডেন্ট করে নি ! খুবই দক্ষতার সাথে এবং সুযোগ পেলে খুবই স্পীডে গাড়ি চালিয়েছে ।
রাসেলের কাছ থেকেই মুক্তার ভেতর এই রোগটা সম্ভবত সংকমিত হয়েছে...রাস্তায় কোন মেয়ে দেখলে মাথা থেকে পা পর্যন্ত মেয়েটির চোখে পড়ার আগেই দেখে নেয়া।
মুক্তা খুব মন খারাপ করে আমায় বলেছে..."জানিস, পনি, রাসেলের সুন্দরী বউতো বটেই একটা বাচ্চাও আছে !"
মাঝে মাঝেই রাসেল বেশ তাগাদা দিত, জোর করতো ..."ভাবী, স্যার তো সময় পাবে না, আপনি নিজে থেকেই ড্রাইভিংটা শিখে নেন । " আমি কয়েকদিন দেখিয়ে দিলেই পারবেন।
দৃষ্টির সমস্যা থাকলেও এমনিতে সব ব্যাপারে খুবই আন্তরিক রাসেলের কথায় মুক্তা সায়ও দিয়েছিল। সুমিতকে না জানিয়ে কখনো কখনো প্র্যাকটিস করেছেও রাসলের সহযোগিতা নিয়ে। নাহ, স্টিয়ারিং কট্রোলে রাসেল সচেতনভাবে হাত ছোঁয়ার চেষ্টা করে নি। কিন্তু মুক্তা যখন ড্রাইভিং সিটে বসা অবস্থায় থাকতো তখন রাসেলের দৃষ্টি ঘুরতো মুক্তার উপর ! বড্ড অস্বস্তি, বড্ড অসহ্য লাগতো সেই দৃষ্টি !
তাই আর ড্রাইভিংয়ের প্র্যাকটিসটা কন্টিনিউ করা হয় নি, আর সুমিতও পেরে আড়ালে মুক্তাকে নিষেধ করে দিয়েছিল। যদিও রাসেলের ব্যাপার সরাসরি কিছু বলে নি।
কখনো কোন লম্বা ট্রিপে গেলে ওদের সাথে ওর হোম এ্যাসিস্ট্যান্ট নাজুও থাকতো । বমি করতে যখন নাজু অস্থির হয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি থেকে নামতো তখন মুক্তা নামার আগেই "ভাবী, আপনি বসেন" বলে রাসেল দৌড়াতো নাজুকে হেল্প করতে...ওদের সখ্যতা দেখে রাসেলের বৌ-এর মুখটা মুক্তার বড্ড মনে পড়ে যেতে বারবারই ...
বিভিন্নভাবে নাজুকে রাসেল-এর সাথে কথা বলা, মেশা থেকে দুরে রাখার চেষ্টায় মুক্তার কোন কমতি ছিল না। ....
কেমন যেন অলুক্ষুণে, কুডাক মুক্তার মনে বারবারই ডেকে যেতে চায় ! মুক্তা নিজেকেই ধমক দেয় ... নিজেকেই পাপী মনের মনে করে নিজেকে প্রবোধ দেয় ...
তারপরও মুক্তার মন থেকে খচখচানি কমে না .... !

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

অনুগল্প: পরিচয়হীন



বেরিয়ে এলাম, বেশ্যা হলাম
কুল করলাম ক্ষয়
এখন কি না ভাতার শালা
ধমকে কথা কয় !

কথা গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে যখন মুক্তা আমায় বলছিল , আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম !

ভার্সিটিতে একই হলে থাকার সুবাদে জানতাম ওর প্রেমের কথা।
মাস্টার্স-এর পরীক্ষা যখন শেষের দিকে ওকে আটকানোর জন্যে বাড়ি থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়, যেনো পরীক্ষার পর ও বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়।
বাড়ির মানুষজন কানাডা প্রবাসী ছেলে ঠিক করে রেখেছে বিয়ে দিতে।

মুক্তার মাথায় তখন বিয়ে নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। ওদের প্রেমেও এমন কোন জটিলতা ছিল না যে, সেই সময় বিয়ে করাটা জরুরী ছিল।
কিন্তু বড় বোনকেও একই কায়দায় বিয়ে দেওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠে মুক্তা !

জীবনে যাকে বিশ্বাস করে হাতটা ধরেছিল, সেই সুমিতকে অনুরোধ করেছিল একটা সাবলেট বাসা খুজেঁ দিতে...
নারীবাদী সুমিত নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলেও মুক্তাকে নিজের ঘরে আটকাতে চেয়েছিল।
মায়ের অমতে বাবার সাথে বিয়ের পরিকল্পনা করে সুমিত মুক্তাকে জানায়। মুক্তা তখন কোনভাবেই বিয়ে করবে না...

কিন্তু একান্ত ভরসার মানুষ সুমিত যখন জানায় এই সময় বিয়ে না করলে আগামী একবছরের মধ্যে আর বিয়ে করতে পারবে না, তখন মুক্তা নিরুপায় হয়ে বিয়ে করে সুমিতকে।

খান্ডারনী শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে দাঁতে দাঁত চেপে মুক্তা সুমিতের সাথে জীবন পার করতে থাকে।

শ্বাশুড়ী ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, মুক্তা একটা বেশ্যা, তার
আর বেশ্যা বলেই সে (মুক্তা) তার ছেলেকে কব্জা করেছে।
শ্বাশুড়ির এহেন কথাবার্তায় মুক্তা নিজেকে ইদানিং বেশ্যা ভাবতে শুরু করেছে !
মুক্তার কথা হচ্ছে সে তার স্বামী সুমিতের সাথে আছে একজন পতিতা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে নয়। যে আসলেই পতিত। যে এখন আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা একজন বেশ্যা।
আর যেই সুমিতকে ভরসা করতে বাধ্য হয়েছিল, সেই সুমিত প্রতিনিয়ত অফিস থেকে বাসায় ফিরে মুক্তার নামে শ্বাশুড়ির কান পড়া শুনতে শুনতে এখন মুক্তাকেও যথেষ্ট পরিমাণেই চাপের মধ্যে রাখতে শুরু করেছে...

মাঝে মাঝে জানালার গ্রীল ধরে মুক্তা ভাবে...বিয়েটাকে খুব জরুরী মনে না করেও কেন সে বিয়েতে রাজি হয়েছিল !?

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

কবিতা : সম্পর্ক

তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই...
তুমি আঘাত করতে পারো
আমি নই ।
আমি সম্পর্কের সম্মান রাখতে পারি।
সম্পর্কে যদি সম্মাণই না থাকলো
তবে কিসের সম্পর্ক?!
তুমি কি এতোটাই আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠলে যে,
আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না?!
আমি তো আসলেই তোমাকে ছেড়ে যেতে পারবো না।
কি এক অমোঘ টানে, জালে আমি আটকা পড়েছি :(
কতোবার যে ছুটতে চেয়েছি :(
তোমার বাঁধার ক্ষমতা অসীম :(

অনুগল্প : চেনা-অচেনা

ফোনটা নিয়ে অনেকক্ষণ থেকেই উসখুশ করছে ...
কতোদিন রিশাদের সাথে কথা হয় না নিপার !
ভারী, অস্থির কন্ঠটা শুনতে নিপাই অস্থির হয়ে যাচ্ছে...

এমন কখনো হয় নি যে, দু'জন পুরো সময়টা ধরেই ঠান্ডা মাথায় কথা বলেছে...বরং দেখা গেছে যতক্ষণ কথা বলতো তার মধ্যে অনেক বেশি সময়ই রাশেদ খুব কঠিন কঠিন কথা শোনাতো নিপাকে...
কঠিন কথা শুনতে শুনতে একরকম মোহগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছিল !
রিশাদ ফোন করলে নিপা ফোনটা রিসিভ করে অপরপ্রান্তে চুপ করে থাকতো ।
তারপর ওই পাশ থেকে রিশাদের ধমক খেয়ে নিপার মুখ থেকে কথা বেরুতো ...
শুধু ঝারি খেতেই নিপা অনেক সময় রিশাদকে খেপাতো ....

ভাবতে ভাবতে নিপার চোখ ভরে যায় পানি তে ...

সমাজে বলার মতো আহামরি কোন সম্পর্কই নেই দু'জনের মধ্যে । শুধুই দু'জনে দু'জনার শুভাকাঙ্খি ।
কখনো কোন রকম রোমান্টিকতার নায়ে তারা চড়ে বসেনি।

কিন্তু তারপরও কেমন অদ্ভুত এক মোহগ্রস্থতা !

রিশাদের ফোন খুব কম সময়ই খোলা পেয়েছে নিপা। কিন্তু আজ যেন ভুতে পেয়েছে ওকে ...
নাম্বারটা ডায়াল করে তাকিয়ে থাকে ফোনের দিকে...
যদি ফোন খোলা পায়ও তবুও কথা বলতে পারবে না...
ওর আসলে বলার কিছুই নেই।
নাহ, ফোন বরাবরের মতোই ...

এবার টেক্সট পাঠালো ...
জানে রিশাদ ফোন বন্ধ রাখলেও ও নিজেও অস্থির চিত্তের ...কোন এক ফাঁকে ঠিকই ফোনটা চালু করবে আর তখন ওর মেসেজটা ঠিকই ডেলিভারড হবে...

আজকাল তোমাকে মেসেজ দিতেও কেমন অস্বস্তি হয় !
কতো দূরের অচেনা হয়ে গেছ ...!

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

♣ ধর্ষণ...! সামাধান কি আসলেই আছে?! ♣

একজন নারী ধর্ষিত হবার প্রথমেই তার মাথায় ধর্ষকের শাস্তির চিন্তা আসে না । হয়তো সে ধর্ষিতা হবার পরপর বার বার করে গোছল করে তার শরীর থেকে অসহ্য ঘৃণা সরিয়ে ফেলতে চায় ! সে তার সব থেকে কাছের মানুষটির/মানুষগুলোর সান্নিধ্য চায় সেই সময়ে । তারপর হয়তো সে চায় ধর্ষকের শাস্তি হোক। কিন্তু ততক্ষণে ধর্ষিতার শরীর থেকে ধর্ষনের আলামত অনেকটাই মুছে যায় । আর আলামত মুছে যাওয়ার কারণে এবং সমাজ জানাজানি, লোক কানাকানি, ধর্ষকের পক্ষ থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষনের মামলা আর আগাতে পারে না। ধর্ষক খালাস পেয়ে যায় ।

একটি উদাহরণ দেয়া যাক-
খুবই সাধারণ একজন চাকুরে মুরাদ এর বড়লোক বন্ধুটি বড়ই রসময় সব রঙ্গতামাশা করতে ওস্তাদ তার বন্ধুপত্নীর সঙ্গে এবং সেটা্ও মুরাদ এর অনুপস্থিতিতে বড্ড অসময়ে, যখন মুরাদ বাড়ির বাইরে থাকে অর্থাঁৎ অফিসে।
খুবই সাহায্যকারী মনোভাবাপন্ন বন্ধু শামীমের এই নিয়মিতই অসময়ে উপস্থিতি বন্ধু মুরাদকে দুশ্চিন্তায় না ফেললেও ভাবিয়ে তোলে কমবয়সী স্ত্রী পুস্পকে।

একসময় কোন এক দুপুরের পর পর সময়ে শামীমের উপস্থিতি এবং সন্দেজনক আচরণ এবং তারপরই পুষ্পকে একা বাড়িতে পেয়ে আক্রমণের ধকল সামলাতে না পেরেপেুষ্প অজ্ঞান হয়ে যায় ।
মুরাদের কাছে দেবতারুপী বন্ধুই হায়েনা হয়ে ঝাপিয়ে পরে অজ্ঞান পুষ্পকে ছিঁবড়ে খেতে !

আইন যুক্তি ছাড়া, প্রমাণ ছাড়া আবেগ দিয়ে এগিয়ে যায় না । থেমে যায় ধর্ষিতার নিরব যন্ত্রনাকে অন্ধকারে রেখে।
বাস্তবে অন্তত তাই হয়...

কিন্তু কখনো কখনো নাটক, সিনেমাতে দর্শককে সচেতন করতে এগিয়ে আসে কোন কোন কাহিনীকার। সেখানে যোগ হয় যখন পুরনো কেস ঘেটে দেখা যায় শামীম নামের মানুষরূপী হায়েনারা এর আগেও একই ঘটনা ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে বেঁচে যেয়ে ঘুরে বেড়ায় বুক ফুলিয়ে, তখন কোন একজন উকিলের বক্তব্যের মারপ্যাচে আর ভবিষ্যতে এই হায়েনার দ্বারা আরো নারী ধর্ষিত হতে পারে...এই আশংকা ঢুকিয়ে দেয় প্রধান বিচারকের মনেও । তখন বিচারক রায় দিয়ে সাজা দেন এই সব শামীমদের।
সমাজকে, বিবেককে সচেতন করতে তেমনই একটি সিনেমা "প্রিয়তমেষু"

ঘটনাগুলো আরো চাপা পরে যায় যখন ধর্ষক খুব পরিচিত কাছের কেউ হয়। হতে পারে তার সহোদরার স্বামী, যে কিনা ধর্ষিতার "দুলাভাই" বা তার প্রিয় খালার স্বামী "খালু" অথবা তার অনেক পছন্দের ফুফুর স্বামী "ফুফা" হয় সেক্ষেত্রে  ধর্ষিতা নিজেই হয়তো ধর্ষকের কথা ভেবে নয় বরং ধর্ষকের সাথে সম্পৃক্ত তার আপন মানুষদের হতে পারে বোন, খালা,ফুফু বা আর কেউ নিকটাত্নীয়ের অসম্মান, কষ্টের কথা ভেবে বিষাক্ত যন্ত্রণাকে পাথর চাপা দেয়।

ধর্ষক যেহেতু জানে আইন তার কিছুই করতে পারবে না, পরবর্তীতে আরো কেউ একই পন্থায় ধর্ষিতা হয় এবং আলামত মুছে যায় । এভাবেই ধর্ষকরা টিকে থাকে আর সমাজকে নোংরা দূর্গন্ধময় করে যাচ্ছে নিরবে। আমাদের নাক দূর্গন্ধ সহ্য হওয়া নাক। তাই আমাদের অসহ্য লাগে না । সাময়িক ক্রোধ প্রশমিত হয়ে যায় সহসাই।

কয়েকদিন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে, ব্লগে পোস্ট দিয়ে, শাহবাগে বা এমনি কোন রাজপথে মানববন্ধন করে তারপর ভুলে যাই।

কয়েকদিন পর নতুন আরেক ধর্ষিতার আর্তচিৎকার আমাদের কর্ণগহ্বরে প্রবেশ করলে শুরু হয়ে যায় আমাদের ক্রোধাগ্নীর আবার সেই চক্র ।
এভাবেই চলতে থাকে চক্রাকারে...সেই সাথে থেমে থাকে না ধর্ষকেরও ছিঁবড়ে খাওয়ার ভোজন পর্ব .............................. 

বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ব্লগার জালিস মাহমুদকে তার **কিছু বাংলা মুভি** পার্ট ~ ১ পোস্টটির জন্যে যা আমাকে এই পোস্টটি তৈরী করতে সাহায্য করেছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

প্রিয়তমেষু

প্রিয়তমেষু,
লাভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট বলে একটা কথা আছে না?! ওটা আমি আগে কখনো সেভাবে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু পাড়াত ছোট ভাইয়ের দেয়া ঠিকানায় যেয়ে তোমাকে দেখে প্রথমে বুঝতেই পারি নি, এ আমার কার সাথে পরিচয় হলো। দিন নেই, রাত নেই শুধুই তোমার কথা ভেবেছি। সম্পর্কটা তোমার সাথে আমার আজকে দেখলাম দুই বছর হতে চলল। অনেক ভালোবাসা যেমন পেয়েছি, অনেক সম্মানও যেমন পেয়েছি, তেমনি অনেক অবহেলা, অনেক অবজ্ঞা, অনেক অসম্মানও পেয়েছি। বিশ্বাস করো, আমার এই জীবনে এতো অসম্মান আমি এর আগে আর কোথাও থেকে পাইনি ! কতোদিন ভেবেছি এতো অসম্মানের, এতো অবজ্ঞার এই সম্পর্ক আর রাখবো না। কতোবার তোমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। সে সময়গুলোতে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম! আমি সত্যিই পারিনি তোমাকে ছেড়ে, তোমাকে ভুলে একটাদিনও থাকতে। কতো পাড়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারছি কোথায় বল। সম্পর্কে জড়িয়ে রাখার ক্ষমতা তোমার সত্যিই অদ্ভুত! কি যাদু জানো বলতো?!

আমাকে বিদ্যার জাহাজ বানাতে তুমি যেন উঠে পড়ে লেগেছ! এতো পড়ার সীমাহীন সিলেবাস তুমি আমায় ধরিয়ে দিয়েছো যে, এখন নিজের পড়া তৈরীর পাশাপাশি সেই বিশাল সিলেবাসও আমায় হজম করতে হচ্ছে ! আমার কষ্ট হয় না বুঝি!

রাত জাগলে আমার চেহারা নষ্ট হয়ে যাবে! সেই নিয়ে তোমার সে কি দুশ্চিন্তা! কতো মিষ্টি করে তুমি আমায় বোঝালে যেন তোমার সাথে কথা বলতে বলতে বেশি রাত করে না ফেলি।
জানো, কিছুদিন সত্যিই আমি তোমার কথা মেনে চলেছি। এখনও কেউ রাত জাগা নিয়ে কথা বললে তোমার কথাই প্রথম মনে হয়।

মাঝে মাঝে তোমার রূঢ় আচরণে আমার যে কি প্রচন্ড কষ্ট হয়! তুমি বুঝতে পারো না!? আমি তোমার গত কয়েক বারের দেয়া কষ্টগুলো ভুলতে পারিনি! কতোটা অভিমান করলে তুমি বুঝতে পারবে তাই ভাবছি!
আমার অভিমানগুলো কি সত্যিই বুঝতে পারো?!

আমি মনে হয়, তোমাকে ছেড়ে এই ইহজনমে আর কোথায়ও যেতে পারবো না
ইতি,
তোমারই আরজুপনি

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

কবিতা : অক্সিজেন

কোন এক শেষ বিকেলে সে আমার হাতটা ধরে বলেছিল ...
আমার সাথে থাকবা না?

হ্যাঁ, আমি কথা দেই নি।
কিন্তু কথাটা না দিয়েও রেখেছিলাম।
সেইই বরং কথা রাখতে পারে নি।
সাথেই আছি...
আমি ছেড়ে যেতে পারি নি।
সেই হারিয়ে গেছে..
হারিয়ে গিয়ে নিজেই হেরে বসে আছে !

আমি কিন্তু জিতেই গেছি !
আমি জিতেই আছি !
আজও আমার ভালোবাসার সবটা জুরে সে আছে ।

একটা সময় আবিষ্কার করেছিলাম
আমার শ্বাস কষ্টের রোগ হয়ে যাচ্ছে।
ইনহেলারের প্রয়োজনটা বড্ড বেড়ে গেছে !

হ্যাঁ, ইনহেলার সেই-ই ছিল ।
কিন্তু সে বুঝতে পারে নি,
আমি আমার শ্বাসকষ্টের রোগটা থেকে
নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারবো ।

সারিয়ে আমি নিজেকে তুলেছি ঠিকই কিন্তু ...
এখনও আমার অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায়...

অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায় যখন ভাবনায় তুমি এসে ভীড় করো ।

তুমি আমার জীবনে যে অক্সিজেন হয়েই আছো !

লাইসেন্স

বিশাল মোটা মোটা পিলারগুলোকে পাশ কাটিয়ে চার তলার উপর থেকে খুব সফলভাবেই গাড়ি নামাতে পারল রিন্তা।

সিকিউরিটি গার্ড হর্ন শুনেও গেটটা খুলতে দেরী করলো ! গেট পার হতে যেয়ে সাপের মতো ঠান্ডা চোখে একবার গার্ডটাকে দেখে নিল সে।

গেটের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো ততক্ষণে বিকেলের পড়ন্তু সূর্য কমলা আলো ছড়াচ্ছে পশ্চিমাকাশে । মিনিটখানেকের জন্যে বাম হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে তাকিয়ে থাকল লাইসেন্সটার দিকে। গতকালই পেয়েছে। সাত হাজার টাকা ঘুষও দিতে হয়েছে এর জন্যে ।

রিন্তা কতোদিন কল্পনার সাগরে ভেসেছে যে, প্রচন্ড মন খারাপ থাকা অবস্থায় ধুমধারাক্কা গাড়ি চালিয়ে কোন একটা দেয়ালে সজোরে গাড়ি লাগিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকবে। তারপর হুশ ফিরে এলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করবে বরের বাহু বন্দি অবস্থায় । ছলছল চোখে বর বলবে "কেনো এমন পাগলামি করো রিন্তা?"

ইফতারির এখনো মিনিট ত্রিশেক দেরী আছে। আজকে চাঁদ দেখলে কালকেই ঈদ । বাম ইন্ডিকেটরটা দিয়ে রওনা দিল ক্যান্টমেন্ট-এর উদ্দেশ্যে । ঠিক ক্যান্টনমেন্ট না, ওটা মানিকদির কাছেই মাটিকাটা বলে এলাকাটাকে ।

ওভারপাসটা হওয়াতে টান দিয়ে চলে যাওয়া যায় । ঢাকার রাস্তায় যেখানে রিক্সার পিছে পিছে মেজাজ খিচ মেরে গতি রাখতে হয় ১৫ কিমি, সেখানে নিশ্চিন্তে ৭০কিমি গতি উঠিয়ে চলে যাওয়া যায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ।

ইফতারির সময় ঘনিয়ে আসাতেই হোক বা এলাকাটাকে বসতি তুলনামূলকভাবে কম হওয়াতেই হোক রাস্তা দিয়ে হঠাৎ হঠাৎ করে গাড়ি চলছে।
আড়চোখে গতি দেখে নিল, ৮০ তে উঠিয়েছে ! ক্যান্টনমেন্ট থানা পার হয়ে মিরপুর থানায় গিয়ে পড়লো । রাস্তা দিয়ে একটা ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। হাতে একটা ঝোলা ব্যাগ। চারদিকে শুনশান নিরবতা।

রিন্তা গতি বাড়িয়ে ১০০ তে উঠিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে সাঁই করে একটা ধাক্কা দিয়ে পার হয়ে যেতে যেতে দেখে নিল কেউ দেখলো কি না...নাহ্ রাস্তা ফাঁকা।

ফাঁকা রাস্তা পার হয়ে খুব সহজেই ফিরে এলো বাসায়।
শাওয়ার সেরে ল্যাপটপটা নিয়ে বসলো । হোমপেজে তাকিয়ে আছে। একসময় স্ট্যাটাস দিল ...

"অনেক অপেক্ষার পর লাইসেন্সটা পেয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত..."

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৩

বইয়ের খোঁজে

অনেকেই অনেক সময় ঠিক কোথায় কোন ধরনের বই পাওয়া যাবে এটা জানা না থাকার কারণে প্রয়োজনীয় বইটি খুজেঁ পেতে অনে সময় ব্যয় করে ফেলেন। কেউ কেউ কখনো কখনো ব্লগে দুই তিন লাইনের পোস্ট দিয়ে থাকেন যে, কোথায় খুজেঁ পাবেন তার আকাঙ্খিত বইটি। এটা তেমনই একটা বইয়ের প্রাপ্তি স্থান যেখানে খুবই সুলভমূল্যে বই পাওয়া যায়। খুঁজলে আপনার কাজে লেগে যেতে পারে এমন বইও পেয়ে যেতে পারেন।
এই স্থান থেকে বই কেনার একটা সমস্যা হলো কখনো কখনো বইয়ের পাতা মিসিং থাকে। সেক্ষেত্রে বই কেনার সময় একটু সময় নিয়ে হলেও পৃষ্ঠাগুলি উল্টেপাল্টে দেখা দরকার যে তা ঠিকমতো আছে কি না।

শনিবার, ১১ মে, ২০১৩

প্রীতিলতাঃস্বদেশের জন্যে উৎসর্গীকৃত এক অনুপ্রেরণাদায়ী প্রাণ


বৃটিশ পুলিশদের থেকে রেল শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনের টাকা স্বদেশীরা যখন ছিনিয়ে নিল বড়দা মধুসূদনের কাছ থেকে সেই খবর শুনে প্রীতিলতা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। সময়টা ছিল ১৯২৪ সালের।
৫ মে ২০১৩ ইংরেজি। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের প্রথম নারী আত্মদানকারী বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের (৫মে ১৯১১ – ২৩সেপ্টেম্বর ১৯৩২) ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। প্রীতিলতার নাম নতুন করে বলার কিছু না থাকলেও খুব অল্পজনই জানে তাঁর সম্পর্কে। অন্তর্মুখী, লাজুক এবং মুখচোরা স্বভাবের এই বীরকন্যার জন্ম ১৯১১ সালে ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে। বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভা অফিসের প্রধান কেরানী। মাতা প্রতিভাদেবী ওয়াদ্দেদার ছিলেন গৃহিণী। আদর করে প্রীতিলতার মা প্রীতিলতাকে “রাণী” ডাকতেন। আর “ফুলতার” ছিলো তার ছদ্মনাম। জগবন্ধু ওয়াদেদ্দার ও প্রতিভাদেবীর পরিবারে ছয় সন্তানের জন্ম হয়। মধুসূদন, প্রীতিলতা, কনকলতা, শান্তিলতা, আশালতা ও সন্তোষ। জগবন্ধু পরিবারের আদি পদবী ছিল দাশগুপ্ত। তাদেঁর বংশের কোন পূর্বপুরুষ নবাবী আমলে "ওয়াহেদদার" উপাধি পেয়েছিলেন। সেই ওয়াহেদদার থেকে ওয়াদ্দেদার বা ওয়াদ্দার হয়।

চট্টগ্রামের ডাঃ খাস্তগীর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ছিলেন প্রীতিলতা। অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্যে বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার মেয়েকে ১ম ও ২য় শ্রেণীতে ভর্তি না করিয়ে ডা. খাস্তগীর বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রণীতে ভর্তি করান। প্রতিটি শ্রেনীতে তিনি ১ম কিংবা ২য় ছিলেন। ১৯২৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন বৃত্তি পেয়েছিলেন। ১৯২৮ সালে কয়েকটি বিষয়ে লেটার মার্কস সহ প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকার ইডেন কলেজ হতে ১৯৩০ সালে আইএ পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সবার মধ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করা এই বীরকন্যা কলকাতার বেথুন কলেজ হতে ১৯৩২ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাশ করে যোগ দেন চট্টগ্রামের অর্পণাচারণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে। তিনি সুন্দর করে বাঁশিও বাজাতে জানতেন।

ঢাকায় সে সময়ে “শ্রীসংঘ” নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন ছিল। যেটার একটা মহিলা শাখা ছিল যার নাম “দীপালী সঙ্ঘ”। সংগঠনটি নারী শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি গোপনে মেয়েদের বিপ্লবী কাজে অন্তর্ভুক্ত করার কাজও করতো। ইডেন কলেজে পড়ার সময় প্রীতিলতা সেই সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। তখন তিনি নিজেকে মাস্টারদা সূর্যসেনের একজন উপযুক্ত কমরেড হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।

১৯৩২ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ হতে বিএ পাশ করার পর মাস্টারদা সূর্যসেনের সাথে দেখা করার প্রত্যয় নিয়ে তিনি বাড়িতে ফিরেন কিন্তু বাড়িতে এসে দেখেন তার পিতার চাকরি নেই। সংসারের অর্থকষ্ট মেটানোর জন্য তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন এবং অপর্ণাচরণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (তৎকালীন নন্দনকানন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন। ডাঃ খাস্তগীর বিদ্যালয়ের এক বছরের সিনিয়র কল্পনা দত্ত ছিলেন প্রীতিলতার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। সূর্যসেনের সাথে সাক্ষাতের আগ্রহের কথা তিনি কল্পনা দত্তকে জানান। যেহেতু কল্পনা দত্ত প্রীতিলতার এক বছরের সিনিয়র সেহেতু প্রীতিলতা বিএ পাশ করার এক বছর আগে অর্থাৎ ১৯৩১ সালে কল্পনা দত্ত কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে বদলী হয়ে চট্টগ্রাম কলেজে বিএসসি’তে ভর্তি হন। সে কারণে প্রীতিলতার আগেই কল্পনা দত্তের সাথে মাষ্টারদার দেখা হয়। ১৯৩১ সালে কল্পনা দত্ত সহ আরও বেশ কয়েকজন বিপ্লবীর সাথে যখন মাস্টারদা সূর্যসেনের গোপন সাক্ষাৎ হয় তখন মাস্টারদা সেই সাক্ষাতে কল্পনা দত্তের কাছে প্রীতিলতার খোঁজ খবর জানতে চেয়েছিলেন।

অবশেষে ১৯৩২ সালের ১৩ জুন চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের প্রধান কেন্দ্র ধলঘাটের ঘাঁটিতে মাস্টারদা সূর্যসেনের সাথে দেখা করতে যান প্রীতিলতা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় প্রীতিলতা তার মাকে সীতাকুন্ডে যাওয়ার কথা বলেন। যে বাড়িতে প্রীতিলতার সাথে মাস্টারদার সাক্ষাৎ হয় সে বাড়িতে নির্মল সেনও ছিলেন। সেই বাড়িতে সূর্যসেনের অবস্থানের কথা পটিয়া পুলিশ ক্যাম্প গোপন সূত্রে জানতে পারে। এর আগে একই বছর মে মাসে ব্রিটিশ সরকার সূর্যসেন ও নির্মল সেনকে জীবিত কিংবা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষনা করে। পটিয়া পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার-ইন-চার্জ ক্যাপ্টেন ক্যামেরন খবরটি জানার পর পুরষ্কার এবং পদোন্নতির আশায় ঐ বাড়িতে অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং রাত প্রায় ৯টায় ধলঘাটের ঐ বাড়িতে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যাপারটি নির্মল সেনকে জানিয়ে সূর্যসেন ও প্রীতিলতা বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের গুলিতে নির্মল সেন নিহত হন।

ইতিমধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে প্রীতিলতার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে পরিস্থিতি খুব খারাপ দেখে মাস্টারদা সূর্যসেন প্রীতিলতাকে আত্মগোপন করার নির্দেশ দেন। ৫ জুলাই ছাত্রী পড়ানোর কথা বলে প্রীতিলতা বাড়ি ত্যাগ করেন এবং বিপ্লবী মনিলাল দত্ত ও বীরেশ্বর রায়ের সাথে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে প্রীতিলতা আত্মগোপন করেন (সে দিনের পর প্রীতিলতার সাথে তাঁর বাবা-মা’র আর দেখা হয়নি)। প্রীতিলতার বাবা অনেক খোঁজাখুজির পর ব্যর্থ হয়ে মেয়ের খোঁজে থানা-পুলিশের সরনাপর্ন হলে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তখন বুঝতে পারে যে প্রীতিলতা আত্মগোপন করেছেন। প্রীতিলতা তখন চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গায় আত্মগোপন করেছিলেন। ১৯৩২ সালের ১৩ জুলাই কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রীতিলতার আত্মগোপনের খবর প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ সরকার তখন তার সন্ধানে ব্যস্ত সময় কাটায়। প্রীতিলতাকে ধরার জন্য বেঙ্গল পুলিশের সি আই ডি ছবিসহ নোটিশ প্রকাশ করে।

১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রামে পাহাড়তলীস্থ ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমনের সিদ্ধান্ত হলে সূর্যসেন এই অভিযানের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেন প্রীতিলতাকে। তৎকালীন ইউরোপিয়ান ক্লাব ছিল ব্রিটিশদের প্রমোদকেন্দ্র। পাহাড়ঘেরা এই ক্লাবের চতুর্দিকে ছিল প্রহরী বেষ্টিত। একমাত্র শ্বেতাঙ্গরা এবং ক্লাবের কর্মচারী, বয়-বেয়ারা, দারোয়ান ছাড়া এদেশীয় কেউ ঐ ক্লাবের ধারে কাছে যেতে পারতো না। সন্ধ্যা হতেই ইংরেজরা এই ক্লাবে এসে মদ খেয়ে নাচ, গান এবং আনন্দ উল্লাস করতো। এই ক্লাবের ফটকে লেখা ছিল “Dogs and Indians not allowed”। ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমনের আগে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ কাট্টলীতে যোগেশ মজুমদার নামের ঐ ক্লাবেরই একজন বেয়ারার বাড়িতে বিপ্লবীরা আশ্রয় পান। যোগেশ মজুমদার ইউরোপিয়ান ক্লাবে আক্রমনের ব্যাপারে বিপ্লবীদের সহায়তা করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর এ আক্রমণে প্রীতিলতার পরনে ছিল মালকোঁচা দেওয়া ধুতি আর পাঞ্জাবী, চুল ঢাকার জন্য মাথায় সাদা পাগড়ি এবং পায়ে রাবার সোলের জুতা। ইউরোপিয়ান ক্লাবের পাশেই ছিল পাঞ্জাবীদের কোয়ার্টার। এর পাশ দিয়ে যেতে হবে বিধায় প্রীতিলতাকে পাঞ্জাবী ছেলেদের মত পোষাক পড়ানো হয়েছিল। সে দিনের আক্রমনে প্রীতিলতার সাথে যারা ছিলেন তারা হলেন- কালীকিংকর দে, বীরেশ্বর রায়, প্রফুল্ল দাস, শান্তি চক্রবর্তী (এদের পরনে ছিল- ধুতি আর শার্ট), মহেন্দ্র চৌধুরী, সুশীল দে এবং পান্না সেন (এদের পরনে ছিল- লুঙ্গি আর শার্ট)। বিপ্লবীদের আশ্রয়দাতা যোগেশ মজুমদার প্রথমে ক্লাবের ভিতর থেকে রাত আনুমানিক ১০টা ৪৫ এর দিকে আক্রমণের নিশানা দেখিয়ে দেন এবং এর পরেই ক্লাব আক্রমণ শুরু হয়। সেদিন ছিল শনিবার, প্রায় ৪০জন মানুষ তখন ক্লাবঘরে অবস্থান করছিল। তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বিপ্লবীরা ক্লাব আক্রমণ শুরু করেন। পূর্বদিকের গেট দিয়ে ওয়েবলি রিভলবার এবং বোমা নিয়ে আক্রমণের দায়িত্বে ছিলেন প্রীতিলতা, শান্তি চক্রবর্তী এবং কালীকিংকর দে। ওয়েবলি রিভলবার নিয়ে সুশীল দে এবং মহেন্দ্র চৌধুরী ক্লাবের দক্ষিণের দরজা দিয়ে এবং পিস্তল নিয়ে বীরেশ্বর রায়, রাইফেল আর হাতবোমা নিয়ে পান্না সেন আর প্রফুল্ল দাস ক্লাবের উত্তরের জানালা দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিলেন। প্রীতিলতা হুইসেল বাজিয়ে আক্রমণ শুরুর নির্দেশ দেবার পরেই ঘন ঘন গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ইউরোপিয়ান ক্লাব কেঁপে উঠেছিলো। ক্লাবঘরের সব বাতি নিভে যাওয়ার কারনে ক্লাবে উপস্থিত থাকা সবাই অন্ধকারে ছুটোছুটি করতে লাগল। ক্লাবে কয়েকজন ইংরেজ অফিসারের কাছে রিভলবার থাকায় তারা পাল্টা আক্রমণ করলো। একজন আর্মি অফিসারের রিভলবারের গুলিতে প্রীতিলতার দেহের বাম পাশে গুলির আঘাত লাগে। প্রীতিলতার নির্দেশে আক্রমণ শেষ হলে বিপ্লবী দলটির সাথে তিনি কিছুদূর এগিয়ে আসেন। সেই দিনের আক্রমণে মূলত অনেক ব্রিটিশ নিহত হলেও পুলিশের রিপোর্টে মাত্র ১জন নিহত ও ১১জন আহতের খবর প্রকাশ করা হয়।

পাহাড়তলীর ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ শেষে পূর্বসিদ্বান্ত অনুযায়ী প্রীতিলতা পটাসিয়াম সায়ানাইড খান। কালীকিংকর দে’র কাছে তিনি তাঁর রিভলবারটা দিয়ে আরো পটাশিয়াম সায়ানাইড চাইলে কালীকিংকর তা প্রীতিলতার মুখের মধ্যে ঢেলে দেন। তার মৃতদেহের পোশাকে নিজ হাতে লেখা বিবৃতিতে লেখা ছিল- “আমরা দেশের মুক্তির জন্য এই সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি। অদ্যকার পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি অংশ। ব্রিটিশরা জোর পূর্বক আমাদের স্বাধীনতা ছিনাইয়া লইয়াছে। ……সশস্ত্র ভারতীয় নারী সমস্ত বিপদ ও বাঁধাকে চূর্ণ করিয়া এই বিদ্রোহ ও সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনে যোগদান করিবেন এবং তাহার জন্য নিজেকে তৈয়ার করিবেন- এই আশা লইয়া আমি আজ আত্মদানে অগ্রসর হইলাম।”
ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণে অংশ নেয়া অন্য বিপ্লবীদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রীতিলতা। পটাসিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া প্রীতিলতাকে বিপ্লবীরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই স্থান ত্যাগ করেন। পরদিন পুলিশ ক্লাব থেকে ১০০ গজ দূরে মৃতদেহ দেখে পরবর্তীতে প্রীতিলতাকে সনাক্ত করেন। ময়না তদন্তের পর জানা যায় গুলির আঘাত তেমন গুরুতর ছিল না এবং পটাশিয়াম সায়ানাইড ছিল তাঁর মৃত্যুর কারণ।

প্রীতিলতার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের অবস্থা নিয়ে বিপ্লবী কল্পনা দত্ত লিখেছিলেনঃ “প্রীতির বাবা শোকে দুঃখে পাগলের মত হয়ে গেলেন। কিন্তু প্রীতির মা গর্ব করে বলতেন, ‘আমার মেয়ে দেশের কাজে প্রান দিয়েছে’। তাদের দুঃখের পরিসীমা ছিল না, তবু তিনি সে দুঃখকে দুঃখ মনে করেননি। ধাত্রীর কাজ নিয়ে তিনি (প্রীতিলতার মা) সংসার চালিয়ে নিয়েছেন। প্রীতির বাবা প্রীতির দুঃখ ভুলতে পারেননি। আমাকে দেখলেই তাঁর প্রীতির কথা মনে পড়ে যায়, দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেন”।
=========
[তার পড়াশুনা নিয়ে দুই জায়গায় দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।  
১. ১৯১৮ সালে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন তিনি। এবং ১৯২৬ সালে ৮ম শ্রেণীতে বৃত্তি পান এবং পরবর্তীতে ১৯২৮ সালে মেট্রিকে প্রথম বিভাগে পাস করেন।
২. অসাধারণ স্মৃতিশক্তির জন্যে বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার মেয়েকে ১ম ও ২য় শ্রেণীতে ভর্তি না করিয়ে ডা. খাস্তগীর বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রণীতে ভর্তি করান। পরবর্তীতে ৮ম শ্রেণীতে বৃতি পান ও ১৯২৮ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাস করেন।
==========
তথ্য সূত্র:
গুণীজন, ফেব্রুয়ারী ২০১১
চাটিকিয়াং রুমান-এর ব্লগ

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

শুভ জন্মদিন জননী। সালাম রইল তোমায়।।


ক্লাস নাইনে পড়ি তখন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগিতার ফলাফল কি হয়েছিল জানতে পারিনি বাসার বাড়াবাড়ি রকমের শৃংখলের কারণে। একদিন প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম ডাকালেন তার রুমে। আমিতো ভয়েই অস্থির। না জানি কপালে কি আছে!
যেয়ে দেখি উনার রুমে বসে আছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দের বই পড়া প্রতিযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত দু'জন সিনিয়র । প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম দেখে হেসে দিলেন, উনাদের হাত থেকে পুরষ্কার হিসেবে নিলাম অনেকগুলো অসাধারণ বই, আসমানী রঙের ফিতা দিয়ে বাঁধাই করা। সেই বইগুলোরই একটা ছিল "একাত্তরের দিনগুলি"। শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমামের সাথে আমার পরিচয় তখন থেকে। আমি ওই বইটা যে কতো বার পড়েছি হিসেবে নেই। সেই থেকে শহীদ রুমীর প্রতি আগ্রহ। প্রথমার প্রকাশিত শহীদ রুমীর চিঠি পড়ে আকুল হয়ে কেঁদেছি। এমন মানুষকে কেন আমরা হারালাম? কোনভাবেই নিজের কাছে এর জবাব পাইনি।

জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। রক্ষণশীল বাঙ্গালী মুসলিম পরিবারে জন্ম হয় তার। বাবা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা সৈয়দা হামিদা বেগম। ১৯৪২ সালে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৪৪ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ পাস করে ১৯৪৫ সালে ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্লাবোর্ন কলেজে। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড করে ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৯১ সালের ২৯ ডিসেম্বর গোলাম আযমকে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলের আমীর ঘোষণা করলে জনবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভের অংশ হিসাবে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়, তিনি হন আহবায়ক। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী প্রতিরোধ মঞ্চ, ১৪টি ছাত্র সংগঠন, প্রধান রাজনৈতিক জোট, শ্রমিক-কৃষক-নারী এবং সাংস্কৃতিক জোটসহ ৭০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি গঠন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি। আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জাহানারা ইমাম। তার নেতৃত্বেই এই কমিটি ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গোলাম আযমের ঐতিহাসিক বিচার সম্পাদন করে। ১২ জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত গণআদালতের চেয়ারম্যান শহীদ জননী জাহানারা ইমাম গোলাম আযমের ১০টি অপরাধ মৃত্যুযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। তার এই বিচারের পরে দেশব্যাপী এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তার ক্যান্সারের মাত্রা বেড়ে যায়। আমেরিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তার আন্দোলনের পথ ধরেই আজকের এই শাহবাগ গনজাগরণ। যেদিন দেখলাম জননী জাহানারা ইমামের ফটো শাহবাগে সত্যিই আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম।

বিশেষ ধন্যবাদঃ ডেভিড, যার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই লেখা।

বুধবার, ১ মে, ২০১৩

স্বীকারোক্তি


নিজেকে কখনো অত্যাচারিতের ভুমিকায় দেখতে চাইনি।
কিন্তু তাই বলে অত্যাচারির ভুমিকাও গ্রহণ করতে চাইনি কখনো।

বেশ ক'দিন থেকেই বাচ্চাটা অসুস্থ থাকায় গতদিন যখন ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরছিলাম, তখন বাচ্চার আবদার ফেলতে না পেরেই যেতে হয়েছিল ধানমন্ডির পিজ্জা হাটে। কারণ সে ওখানে পিজ্জা খাওয়ার নামে খেলবে। যখন গন্তব্যে পৌঁছে গেছি, গাড়ি থেকে নামবো, তখনই সামনে পড়লো দুই গার্মেন্টস নারী শ্রমিক। চলে গেল। থেমে গেলাম আমি। আমার ভ্রুটা কি বিরক্তিতে একমুহুর্তের জন্যে কুচকে উঠেছিল? হ্যাঁ, অসুস্থ বাচ্চার জন্যে আমি অস্থির আছি। তা ওই মেয়ে কেন সেকেন্ডের জন্যেই বা আমার গাড়ির দরজায় আসলো! মনে হলো যেন এক অদৃশ্য চপেটাঘাত খেলাম। সেই দু'জনের একজন শাহিনা, যেন পাশ দিয়েই চলে গেল, তার বাচ্চাটা বাসায় অপেক্ষা করছে, মা কখন আসবে। আমার গলার কাছে কিছু যেন আটকে গেল! আবিষ্কার করলাম চোখ ছাপিয়ে পানি আসছে! মিথ্যে বলবো না, ভেতরে ঢোকার পর বাচ্চার প্রানোচ্ছল মুখটা দেখে আমি সত্যিই কিছুক্ষণের জন্যে ভুলে গিয়েছিলাম। খেলা, খাওয়া শেষে যখন নিচে নামলাম তখন আমাকে অবাক করে দিয়ে আরো দু'জন মেয়ে (প্রায় একই বেশভুষা) আমার সামনে দিয়ে গেল। এবার আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম নিজেকে কেমন যেন অপরাধী লাগছিল। মনে হচ্ছিল এদের কাছে ধরা পরে গেলাম।

দুরে কোথাও ভ্রমনে গেলে হাইওয়েতে যখন ওরা রাস্তা পার হয়, আমি কখনো কখনো ওদের উদাসীনভাবে রাস্তা পার হওয়া নিয়ে বিরক্তিবোধ করেছি।
এখনতো আমি ওদের দিকে তাকাতেই পারছি না! 
নিজেকে পুজিঁবাদী সমাজের রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওদের রক্ত খেয়েই আমি বেঁচে আছি!
আচ্ছা, রানাদের মনে কি এই বোধ কখনোই আসে না!!!

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৩

হারানো সুর

 .....মৃত্যুটা সবচেয়ে কঠিন....
 চাইলেই মরা যায়না, কিন্তু না চাইতেই মরতে পার যখন তখন

আমি মরে যেয়ে যদি দেখতে পেতাম আমার জন্যে কে কে আসলেই কষ্ট পাচ্ছে
 শুধু দুজন মানুষ :(

 আগামীকাল রাতে কতো যত্ন করে একটা বৃষ্টি নামাতে যাচ্ছে প্রকৃতি .......তার আগেই মরে গেলে চলবে কিভাবে

শওয়ারে যদি পানির ফ্লো অনেক বেশি থাকতো তবে শওয়ার ছেড়ে ভিজতে ভিজতে চিৎকার করে কাঁদতাম কতোক্ষণ ! মাঝে মাঝে এই শবদেহকে আর টানতে পারি না :(
 এভাবে মরে যাবো কখনোই ভাবি নি।
 কিন্তু আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম
 আমার সেই চাওয়া মূল্যহীন হয়ে গেছে
 মিথ্যে এই জগত সংসার
 মিথ্যে মানুষের অনুভুতি

প্রতিটি রাতেই মরে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্বেও সকালে আবার বাঁচার স্বপন্ দেখতে হয় অনেককে...

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

জেন্ডার ...অল্প কথা

আগে সব জায়গায় লেখা হত women's affair কিন্তু এখন লেখা হয় gender issue তার কারণ হল- নারী সমস্যা বলে আলাদা ভাবে কিছু নেই। নারী সমস্যা সমাজের তৈরী। বলা ভাল- পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তৈরী। ফলে ফেমিনিজম এর চেয়ে জেন্ডার শব্দ হিসেবে বেশী গ্রহণযোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে উইমেন'স স্টাডিজ বিভাগ ছিল।
সেটার নাম পাল্টে উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ করা হয়েছে। এর কারণও তাই। ফেমিনিজম বললে মনে হয় 'নারী'ই একমাত্র আলোচনার বিষয়। আদতে তা সত্য নয়। আর সংজ্ঞা কোন স্থির বিষয় নয়। ফেমিনিজম শব্দটা ব্যবহার করে এটাতে আটকে থাকার চেয়ে জেন্ডার ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়া ভাল।কোথায়ও কোথায়ও ফেমিনিস্টদেরও এখন জেন্ডার এক্সপার্ট বলা হয়। তবে হ্যাঁ - জেন্ডার এর সংজ্ঞা আসলে বাংলা করলে দাড়ায় 'সামাজিক লিঙ্গ'। সেক্স যেমন প্রাকৃতিক লিঙ্গ।জেন্ডার বলতে বৈষম্যহীনতা বোঝালেও জেন্ডার শব্দটা এখন আর ঐ সঙগায় আটকে নেই। জেন্ডার এখন শুধুই বৈষম্যহীনতাকেই বোঝায় না বরং প্রচলিত বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ।

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩

ফটোগ্রাফি: পাচঁমিশালী





                                                  
















সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites