ম্যুভি রিভিউ- "দ্য স্পীড"

অনেকদিন পর বলাকায় গেলাম বাঙলা সিনেমা অনন্ত জলীল অভিনিত ম্যুভি "দ্য স্পীড" দেখতে। সিনেমা শুরুর আগে পর্দা সরে গেল সিনেমা হলের এবং স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংগীত মিউজিকে পরিবেশন । কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় ৩০% দর্শক সে সময় বসা থেকে উঠার নাম পর্যন্ত করেনি এই কয়েক মিনিট দাড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে। সিনেমার শুরুই হলো বেশ দারুন সাউন্ডের ইফেক্ট দিয়ে। "দ্য স্পীড" নামটিকে সার্থক করতেই হয়তো।

১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসের কোন একদিন

মানুষের জীবনে বোধ সঞ্চারের এক নির্ভেজাল উপাদানের নাম কবিতা। কবিতা কখনো মানুষের মনকে রাঙিয়ে দেয়, কখনো বদনার কালো রঙ ঢেলে উপলব্ধিগুলোকে সতেজ করে তোলে; জীবন দর্শনের পথকে করে প্রশস্ত।

নারী-পুরুষ নিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলি

'জেন্ডার' শব্দটি মুলত নারী ও পুরুষ উভয়কেই বোঝায়, বোঝায় নারী-পুরুষকে নিয়ে বৈষম্যহীণ সমাজের, রাষ্ট্রের কথা। সংস্কৃতি ও সমাজ নারী ও পুরুষ সম্পর্কে যে সব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গড়ে তোলে, ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে শেখায়, কিংবা ভুমিকা পালন করতে বলে, সেসবই হচ্ছে জেন্ডার।

সৌদি নারী...অতঃপর রোকেয়া

যদি আজ থেকে প্রায় একশ বছর পেছনে তাকাই বেগম রোকেয়ার (রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন১৮৮০-১৯৩২) জীবনে যিনি সৌদি নারীদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাননি কিন্তু তার দেখানো আলোতে এখনও আমরা পথ দেখি।

নারী....আর কতোকাল রবে শুধুই অর্কিড হয়ে!

প্রচলিত ধ্যান-ধারণা হচ্ছে নারী হবে নরম-কোমল, সর্বংসহা (মাতা), মনোরঞ্জনকারিনী (বধূ)। তারা থাকবে অন্দরমহলে। আর তাই প্রবাদে শোনা যায়... 'ঝি নষ্ট হয় হাঁটে, বউ নষ্ট হয় ঘাটে'।....অর্থাৎ ঝি কে হাঁটে-বাজারে-মার্কেটে পাঠানো যাবে না আর বউকে পুকুর ঘাটে পাঠানো যাবে না (যদিও গ্রাম এলাকায় পরিবারের পানির যোগান দাতা সাধারণত নারীই)।

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩

হারিয়ে যাওয়া কেউ !

এনালগ,

উৎসব মুখর সেই দিনে,
হঠাৎ করেই তোমাকে দেখলাম !
এতো জোরে ডাকলাম, শুনতে পাও নি ! ?
দ্বিতীয়বার ডাকতে বড্ড সংকোচ হচ্ছিল !
তাই আর ডাকা হয় নি ।

তোমার ঠিকানায় একটা চিঠি লিখেছিলাম ।
ডাকপিয়ন পৌঁছায়নি সম্ভবত ।
অথবা বাসার লেটার বক্সটি অনেকদিন চেক করো না !


ডিজিটাল,

ঈদের দিন ,
তোমার নাম্বারটা এতোদিন পর খোলা পেলাম
সংকোচ, অসংকোচে ফোন করেই ফেললাম,
মিস কলটি বুঝি তোমার চোখ এড়িয়ে গেছে !
কলব্যাক করলে না যে !

মেইল যদি চেকই না করো
তবে আমায় মেইল এড্রেস দিয়েছিলে কেন বলতো !
তোমার মেইলে একটা লেখা পাঠিয়েছি ।
 পাওনি বুঝি ? !
অথবা মেইল অনেকদিন চেকই করো না !

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

বানান সতর্কতাঃ "হ্রস্ব ইকার এবং দীর্ঘ ঈকার"

সাম্প্রতিক সময়ে  আবিষ্কার করলাম বানানে বড্ড ভুল করছি । এর কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ভাবতে যেয়ে প্রথমেই যে বিষয়গুলো মনে এলো

১. মাতৃভাষা হওয়াতে "পারিই তো " এই ধরণের মনোভাব,

২. তাড়াহুড়ো  করে কি-বোর্ড চালানোঃ এতে অন্যের ব্লগে মন্তব্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর আর তা শুদ্ধ করার কোন ব্যবস্থা না থাকা,

৩. শুদ্ধভাষায় মন্তব্য করার চেয়ে কৌতুক করে মন্তব্য করার সংখ্যা বেশি পরিমাণে হলে তখন শুদ্ধভাষার চর্চা তুলনামুলকভাবে কমে যায়, ফলে বানান ভুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে ।

৪. নিয়মিত শুদ্ধভাবে লিখতে চেষ্টা না করা ।
আরো কারণ থাকতে পারে ।

 হ্রস্ব ইকার নিয়ে কিছু  কথা ...

অভ্র কি-বোর্ড
একবার ফনেটিকে লেখার সময় বানান নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম । কিছুতেই সব বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারছিলাম না ! যদিও অনেকেই হয়তো পারেন । কিন্তু আমি পারছিলাম না । সে সময়টাতে  নাফিস ইফতেখার-এর সহযোগিতা ভুলিনি । আমার মতো যারা ফনেটিকে লিখতে বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন , তারা অভ্র-এর পুরাতন ভার্সন ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।
অভ্র ৪.৫.১ ভার্সন-
http://www.mediafire.com/?5v435wp0ccklijy 


ইউনিকোড
আমি নিজে ইউনিকোড ব্যবহার করি না, কিন্তু বানান সার্চ দিতে যেয়ে যা পেলাম ভাবলাম সহব্লগারদের কাজে লাগত্ওে পারে ।
ইউনিকোডে হ্রস্ব ইকার র্বণের পরে দিতে হয়। যেমন : ইউনিকোড লিখতে ই+উ+ন+ি+ক+ে+া+ড।

'আমি' লিখতে হলে এভাবে লিখুন gfmd এখানে আ-কার, ই-কার, ঈ--কার, উ-কার, ঊ-কার, ঋ-কার, এ-কার, ঐ-কার, ও-কার এবং ঔ-কার সবই ব্যঞ্জন বর্ণের পরে হবে।


বিদেশী শব্দে সবসময় হ্রস্ব-ই হবে
দীর্ঘ ঈ উচ্চারণের দীর্ঘত্বের নির্দেশক নয়, বরঞ্চ শব্দটির উৎস ভাষা যে সংস্কৃত  -তার নির্দেশক

কাজেই তৎসম না এমন সব শব্দে হ্রস্ব ইকার দিয়ে হবে ।
আর তাই বিদেশী কোন শব্দে দীর্ঘ-ইকার স্বাভাবিক নিয়মেই বসবে না ।
Bangla Academy নিয়ম করেছে যে, বিদেশী শব্দে  ঈ-কার হবে না এবং a-এর বাঁকা উচ্চারণে 'অ্যা' হবে যেমন: অ্যাকাডেমি ।

বিদেশী যেসব শব্দের উচ্চারণে ই-টা দীর্ঘ ভাবে হয়, তাদের ক্ষেত্রে কোনটা ব্যবহার করতে হবে, ই নাকি ঈ? যেমন নিউজীল্যান্ড, নাকি নিউজিল্যান্ড? অ্যাশলি নাকি অ্যাশলী?
এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমির বর্তমান নিয়ম হল হ্রস্ব ই ।

অ্যাশলী/অ্যাশলি-র ক্ষেত্রে অ্যাশ্‌লি হতে এমনিতেও কোন বাধা নেই, কারণ লি-টা (ley) ইংরেজিতে দীর্ঘ করে উচ্চারিত হয় না। প্রসঙ্গত, এই -ley টা অন্য ভাবেও ঝামেলা বাধাতে পারে; অনেকে এটাকে "লে" আকারে লেখেন, যেমন - অ্যাশলে। সেটাও উচ্চারণ অনুযায়ী ভুল। Berkley, Ashley, Wembley - এগুলো সবসময় বার্ক্‌লি, অ্যাশ্‌লি, ওয়েম্ব্‌লি - এভাবে লেখা উচিত।
 -ey তে (এবং কখনো কখনো -ay তে) শেষ হয় এরকম সব ইংরেজি নামের ক্ষেত্রেই হ্রস্ব-ইকার ব্যবহার করা উচিত। Surrey - সারি, Murray - মারি, ইত্যাদি।
আর শেষ কথা হচ্ছে বিদেশী ভাষার ক্ষেত্রে হ্রস্ব ইকার হবে ।
নিউ ইয়র্ক, নিউ ক্যাসেল, নিউ মার্কেট, নিউ দিল্লি, নিউজিল্যান্ড,
ইস্টার্ন, স্ট্রিট, স্টিল, গ্রিল, স্টিমার



একই/কাছাকাছি উচ্চারণে ভিন্ন অর্থ

১.
কি:
যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেয়া যায়, সেসব প্রশ্নে 'কি' ব্যবহৃত হবে। যেমন :
তোমার নাম কি জামান?
তুমি কি আজ যাবে?
তুমি কি কেবলই ছবি?
আমি কি আর কারেও ডরাই?
কে জানে, আমি বাঁচব কি না।
কিছু ফেলে গেলেন কি?
একটা ফোন করা যাবে কি?
আমার ছোট তরি, বলো যাবে কি?

কী:
যেসব প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' বা 'না' দ্বারা দেয়া যায় না, সেসব প্রশ্নে এবং বিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণ হিশেবে বিস্ময়সূচক বাক্যে 'কী' ব্যবহৃত হবে। যেমন :
তোমার নাম কী?
কী খেতে চাও?
কী দিয়ে খেতে চাও?
কীভাবে বুঝলে?
তুমি কীজন্যে যাবে?
পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!
এ কী!
সে কী!
কী রে? কী খবর?
কী যে ভালো লাগল!
কী নিষ্ঠুর লোকটা!
কী করি আজ ভেবে না পাই!
সে কী না কী মনে করেছে, কে জানে।
গাড়িটা কী দ্রুত চলে গেল!

২.
স্বীকার-মেনে নেয়া, প্রকাশ (কৃতজ্ঞতা স্বীকার), গ্রহণ (নিমন্ত্রণ স্বীকার), সম্মতিদান, অঙ্গিকার (দিতে স্বীকার বা পাওয়া), বরণ, সহ্য করা (দুঃখ স্বীকার)

শিকার-হত্যা, লুন্ঠন প্রভৃতি দুষ্কর্মের লক্ষ্য

৩.
বেশী/বেশিনী = বেশধারণকারী (ছদ্মবেশী, ভদ্রবেশী)
বেশি = আধিক্য

৪.
কালি = লেখার বা ছাপার রঞ্জিত তরল বিশেষ, অন্ধকার, কলঙ্ক
কালী = কালিকা দেবী, চন্ডিকার রূপ বিশেষ



[sb]কিছু শব্দের শুদ্ধ বানান :[/sb]
পড়ার সুবিধার্থে রঙ বদলে দেয়া হলো ।

আশীষ (আশিস এর রূপভেদ),
ভুল : স্নেহাশীষ । 
শুদ্ধ : স্নেহাশিস ।


[sb]উভয় বানানই হতে পারে[/sb]
কুমির/কুমীর, বাড়ি/বাড়ী, গাড়ি/গাড়ী, পাখি/পাখী-শুদ্ধ বানান


[sb]দীর্ঘ-ঈ কার হবে[/sb]
সমীচীন, পরীক্ষিত, অণুবীক্ষণ, দূরবীক্ষণ,
গীতাঞ্জলী, পুস্পাঞ্জলী, নীরব


যেহেতু বানানের ব্যাপারে আমি অভিজ্ঞ নই তাই লেখাটিতে যে কোন ধরণের ভুল ধরিয়ে দেবার জন্যে অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং আরো তথ্যসমৃদ্ধ করতে পাঠকের মতামত আশা করছি ।

কৃতজ্ঞতা :
১. [link|www.somewhereinblog.net/blog/Nafis_Iftekhar|নাফিস ইফতখার]
২. [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/khalilmahmud_1968/28962910|খলিল মাহমুদ] 
৩. রাগিব (উইকিপিডিয়া)
৪. [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/juliansiddiqi/29863130|জুলিয়ান সিদ্দিকী]
৫. অল্ওয়েজ ড্রিম

তথ্যপঞ্জি:
৫. আখতারুজ্জামান আজাদ-এর পেজ-
https://www.facebook.com/pages/আখতারুজ্জামান-আজাদের-বাংলা-ক্লাস/113268322107642

৬.বাংলা বানান-
http://www.somewhereinblog.net/blog/bbnet/29728993

৭.মাসুম2025-
http://www.somewhereinblog.net/blog/masum2025/29445188

৮. [link|http://shorob.com/tag/বানান-বিভ্রাট/ |সরব]
৯. উইকিপিডিয়া
১০. সংসদ বাংলা অভিধান, আগস্ট ২০১১

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

বন্ধু

বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকাবস্থায় গলায় গলায় ভাব, খুব ভরসার, বিশ্বস্ত এক বান্ধবী ছিল...
আমি বুঝতাম ও আমায় অনেক পছন্দ করতো আর যে কোন বান্ধবীর চেয়ে...
আমি কাজে কর্মে বিশেষ করে রান্নায় একটু ফাঁকিবাজ ছিলাম বলে ওর উপর দিয়েই সব ঝামেলা যেত ।
কিন্তু কারণে অকারণে বড্ড অপমান করতো, কষ্ট দিয়ে কথা বলতো ।
একটা সময় আমার রুম বদলের সুযোগ এলো...

ডায়েরি থেকে



২০ এপ্রিল ১১.৩৯ সকাল
গত দুইদিনে দুই জেলার দুই কবরস্থানে যেয়ে মৃতের কবর সংরক্ষণের প্রতি (কবর বাঁধাই) আগ্রহ দেখে আমাকে আমারই এক আত্নীয়া প্রশ্ন করলো,

কবর সংরক্ষণ করাটাকি একধরণের পূঁজার মধ্যে পড়ছে না?! ...এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করা হলে বললো শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধর্মান্ধরা শহিদ মিনারে পুঁজা হচ্ছে বলে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে বিভিন্ন সময়।
সাথে এও বললো শহিদ মিনারে যদি পূঁজা হয়, তবে কি কবর সংরক্ষণ করাটা পূজা হচ্ছে না? কারণ মৃতের জন্যে দোয়া যে কোন স্থান থেকেই করা যায়। আর আমরা কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্যেও দোয়া করি তার কবরের সামনে না যেয়েই। আর নবী করিম (সাঃ) কবরের কোন চিহ্ন রাখারও অনুমতি নেই।

কথাটা ভেবে দেখার মতো... আর এতো কবর বাঁধাই করা দেখে আমার মাথায়ও একটা প্রশ্ন এলো...

জমি সীমিত কিন্তু মানুষ মরছেই। এ অবস্থায় টাকা দিয়ে যদি এভাবে কবর সংরক্ষণের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে তবে এক সময় কবরস্থানগুলিতে জায়গার সংকুলানতো হবে না। এমতাবস্থায় মৃতদের কবর দেয়ার জন্যে কি আবাদী জমিগুলিকে ব্যবহার করা হবে?

এপ্রিল ১৩, ৪.১৯ মিনিট বিকেল
২টা ফুল প্লেট ভাত, ২টা হাফ প্লেট ভাত, ১টা শুটকি মাছের ভর্তা, ১টা টাকি মাছের ভর্তা, ১ বাটি করল্লা ভর্তা, ১ বাটি পুঁইশাক, ১টা বেগুন ভাজা, ১ বাটি (ও পরে আবার দিসে) গরুর গোশত, ১ টা বিশাল সাইজের ইলিশ পিস সহ তরকারী মাত্র ২০০ টাকা (কেডা কয় ইলিশের এতো দাম?!) ......জয়তু আজিজ সুপার মার্কেট

এপ্রিল ১৩, ১০.১৭ মিনিট সকাল
গ্রামীন ফোনের নেট নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কানে ধরছি যে আর গ্রামীন ফোনের নেট চালাবো না। কিন্তু আজকে হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমি কথার কথা বলছি এতোদিন। যদি আসলেই নিজের কান টেনে বলতাম যে "কানে ধরসি, গ্রামীন নেট আর চালাবো না", তবে হয়তো ঠিকই মনে থাকতো

এপ্রিল ৯,  দুপুর ১২.৫২মিনিট
আমাদের এক বৌদ্ধ প্রতিবেশীর মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। ওদের ধর্মে মেয়েদের উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই! স্বামীর সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই!(ওদের ভাষ্যমতে) বাবা বা স্বামী ইচ্ছে হলে যদি কিছু দেয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ার অপরাধে যদি কোন বৌদ্ধ পিতা তার কন্যাদের স্বনির্ভর করতে সাহায্য, সহযোগিতা না করে তবে এই মেয়েরা কি এভাবেই বংশপরম্পরায় অবহেলিত থেকে যাবে?!!

বি.দ্র: ইহা কোন ধর্মকে আঘাত করামুলক কোন স্ট্যাটাস নহে।সীমাবদ্ধ জ্ঞানের একজন মানুষের শুধুই জানতে চাওয়া...




এপ্রিল ৪, ৩.৫ মিনিট বিকেল

আমার সহব্লগাররা গ্রেফতার হইছে, তাতে আমি খুশি হইসি না ব্যজার হইসি তা কিন্তু আমি জনে জনে বইলা বেড়াই নাই। কাজেই আমার মনে কি আছে তা যদি আপনে নিজে থেইক্কা আবিষ্কার করেন, প্লিজ তা নিজের কাছেই রাখেন আমারে এইসব নিয়া ত্যাক্ত করতে আইসেন না।আপনেরে সময় দেওয়ার চেয়ে আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সময় দেয়াটা আমার কাছে বেশি জরুরী। আমি হাত জোর করতাছি, দয়া কইরা নিজেরা যা ইচ্ছা করেন, আমারে হুদাই টানাটানি কইরেন না।



ফেব্রুয়ারী ১৫
জামাত-শিবিরের নামে যেন কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হেনস্থা না হয়, অনুরোধ রইল সকলের প্রতি।তরুণ প্রজন্মের শাহবাগ আন্দোলন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের লেবাস পরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতাদের বিরুদ্ধেই।


জানুয়ারী ২০ ২০১৩

ধানমন্ডি লেকের পার দিয়ে এমনিতেই মুরুব্বী বা বুঝদার শিশুদের নিয়ে স্বস্তি নিয়ে হাঁটা যায় না। হংসমিথুনদের কলকাকলীতে মুখর থাকে নিয়মিতই। তবুও সমস্যা থাকে না, আজকে যখন সকাল বেলা বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে হাঁটছিলাম লেকের পার ধরেই, তখন আমাদের সাথেরই আরেকজন নিতান্তই কমবয়সী অভিভাবক ফোন দিল-
"পনি আপা, আপনি কৈ?" (বেচারীর কন্ঠ কাপছিল, কান্না কান্না স্বর)
কোনপাশে আছি তাকে সেটা বললাম-
"একটু আসতে পারবেন, একটা সমস্যা হইছে..."
ওকে শর্টকাট রাস্তার নির্দেশনা দিয়ে দাড়াতে বলে জোরে হাঁটা দিলাম, কি হয়েছে দেখতে।
যখন ওর কাছে পৌছলাম তখন ও কাঁদছে!
এক লোক নাকি লেকের পাশে নির্জন রাস্তা পেয়ে ওর পাশাপাশি হেঁটেছে আর বলেছে তার ধারণ ক্ষমতা ৪৫ মিনিটের চেয়ে কম নয় , সাইজ যা বললো (তা সেন্সর যোগ্য) আরো এমন সব কথাবার্তা!
সেই মেয়ে যতো জোরে হাঁটে , সেই লোকও নাকি পাল্লা দিয়ে ততজোরে হাঁটে, শেষে সেই মেয়ে আমাকে ফোন দেবার পর সেই লোক থেমে গেছে।

এখন কথা হচ্ছে, এ ধরণের ইভটিজিং, যা পুরোপুরিই যৌন হয়রানী....আর কতোদিন চলবে?!
আইন করে তো এই ধরনের টিজিং বন্ধ করা সম্ভব না, এর জন্যে সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা কাম্য জরুরী ভাবেই ।

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

আকুলতা !

??
!!


আমার কোন কিছুতেই কি তোমার কিছুই আসে যায় না ?!
কিভাবে পারো এতো উপেক্ষা করতে !?
এই ?!
এইই ?!
আররে !
বেশি বললেই তো আবার ধমক লাগাবা ! !

তাহলে শুরুতেই একটু হু, হা করো !
আমার বুঝি তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে না ! !
...................................................
কতো দিন তুমি অফিস থেকেই কাজে ভীড়ে আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করেছো !
তোমার সাথে কথা বলতে যেয়ে কতোবার ভাত নরম করে ফেলেছি !
কতোরাত তুমি আমার আমার পাশে বসে কথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে স্বপ্নময় করে রাখতে আমার স্বাপ্নিক রাতগুলোকে ! !
আজ তুমি আমায় একটুও মিস করো না ?!
তাকাওতো আমার দিকে...
কি হলো ! তাকাও !
চোখ গরম করছে যে বড্ড !
এ জন্যেই তো তোমার সাথে বেশি কথা বলতেও এখন ভয় লাগে !
যদি ক্ষেকিয়ে উঠো !
তুমি বোঝ কতোটা কষ্ট হয় আমার !?
তোমার কথা, তোমার ভাষা, তোমার কন্ঠ শোনার আকুলতা...
তুমি কি একটুও বুঝতে পারো না !
তোমার সাথে কথা বলতে না পেরে আমার যে কি প্রচন্ড কষ্ট হয় তুমি বোঝ !
জানো যখন তোমার সাথে কথা বলার জন্যে অস্থির হয়ে যাই...
তখন আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় !
বিশ্বাস করো, আমার কিন্তু শ্বাসকষ্টের রোগ নেই !
শুনে থাকি, মানুষ নাকি কথা বলতে না পেরে অস্থির হয়ে যায় !
কী যে বলে মানুষজন !
আমিতো কথা শুনবো বলে পাগল হয়ে যাই !
আমি তোমার মতো বক্তার খুব ভালো শ্রোতা হতে চাই ।।

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্ন ভাঙার দিন, সব হারানোর দিন ।

সময়গুলো বড্ড অসময় হয়ে যায়...
খুব তারাতারিই !

১৩ তারিখকে আমি আনলাকি মানিনি কখনো,
আমার জীবনের আঙ্গুলে গোনা একাধিক প্রিয় মানুষের জন্ম কোন কোন মাসের ১৩ তারিখ ।

কিন্তু আগস্টের ১৩ তারিখকে কিভাবে বিশেষায়িত করবো ?!
বরং বলতে হবে ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া একটা স্বপ্নের দিন !

মধ্যবিত্ত বাঙালীদের সুস্থধারার সিনেমা দেখাতে হলমুখি করেছিলেন যে মানুষটা , সেই প্রিয়, শ্রদ্ধেয় তারেক মাসুদ যে স্বপ্ন ভাঙ্গা ঝড়ের তান্ডবে হারিয়ে গেল সাথে আরেক প্রিয় মুখ মিশুক মুনীরকে নিয়ে ...এই ক্ষতি আদৌ পূরণ হবার নয় ।

আমি সিনেমাখোর বলতে যা বোঝায় তা নই , সেই সময় বা সুযোগও আমার হয় না । তারপরও চাই বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে সুস্থধারার সিনেমার জয়গান গাইতে ।
স্বপ্ন দেখি সেই সুসময়ের ...

অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই এই অসাধারণ মেধাবী প্রিয় মানুষ দু'জনের জন্যে ।।

অনুভবে

"এমন জানলে বিয়ে করলে কেন ?"
কাউন্সেলর-এর এই কথার কোন জবাব দিতে পারে নি মেয়েটি ।

কি জবাব দিবে ! ও তো ভাবতেই পারে না, ছেলেটিকে ছেড়ে থাকার কথা !

ছেলেটি ডিভোর্স করতে চায় নি কখনো । কিন্তু সবসময়ই মেয়েটিকে দূরে ঠেলে রেখেছে ।
সুযোগ পেলেই, একটু কথা কাটাকাটি হলেই বলে দিয়েছে বেড়িয়ে যাও !

কিছু হলেই বলেছে, বাপের বাড়িতে যেয়ে কয়দিন থেকে আস ।

মেয়েটি ছেলেটির এই আচরণে কষ্টে বোবা হয়ে যায় মাঝে মাঝে !

কিন্তু কখনো কখনো মরা গাঙ্গে বান ডাকার মতো করেই ছেলেটির ভালবাসা মেয়েটিকে সব ভুলিয়ে দেয় !


মেয়েটি চেষ্টা করেও ওর ভালোবাসাকে সরিয়ে নিতে পারে না ছেলেটির উপর থেকে ।
যখন কষ্টে নীল হয়ে যায়, তখন একরাশ থুথু ছিটিয়ে দেয় ছেলেটির মুখে ।
ওর ঘৃণার সর্ব্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ !

মেয়েটি নিজেও জানে না, ছেলেটি ওর উপর সবসময়ই আড়াল থেকে নজর রাখে ।

কিন্তু সামনাসামনি ছেলেটির অবজ্ঞা যেন মেয়েটিকে ছেলেটির প্রতি আরো বেশি আকর্ষণের জেদ তৈরী করে দেয় ......... মনে মনে ও ওর জেদ থেকে সরে আসতে পারে না, বরং বিরবির করে বলতে থাকে...
"তোমাকে কতোটা ভালোবাসলে মনে হবে আমি তোমাকে সত্যিই ভালবাসি ?!"

এর বেশি ভালবাসা যায় না ....!

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

অভিশাপ


নাজুর বেশ ক'দিন থেকেই জ্বর । একেবারেই খাওয়া দা্ওয়ার রুচি নেই। ভাইরাস জ্বর ভেবে মুক্তা নাপা চালাচ্ছে তিন বেলা । জ্বরের প্রকোপে নাজুর বমিও হচ্ছে ।
চারদিনের দিন জ্বর কমে গেলেও শরীর দুর্বল থাকায় প্রায়ই বমি হচ্ছে ।
নাজু ইদানিং খেতেই পাচ্ছে না ।
বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর মুক্তা বাধ্য হলো  নাজুকে ডাক্তারের কাছে নিতে।
ডাক্তার বেশ কিছু প্রশ্ন  করার ফাঁকে কিছু মেয়েলী প্রশ্ন্ও উঠে আসায় নাজুকে ইউরিন টেস্ট করতে দিল ।
রিপোর্ট পেয়ে মুক্তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো !
এই অবস্থায় কি করা উচিত কিছুই বুঝে উঠতে পাচ্ছে না । সুমিতকে ঘটনা জানানোর পর  রাসেলকে ডাকা হলো...রাসেল পুরোপুরি সব অস্বীকার করে তার কাঁধে অপবাদ দেয়া হয়েছে ব্লেইম করে চাকুরী থেকে ইস্তফা চাইল।

নাজুকে পুরো পরিস্থিতিটা বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে মুক্তার তবে শেষ পর্যন্ত সে ক্লিনিকে যেতে রাজি হয়েছে।

কিন্তু স্বপ্ন দেখা নাজু বুঝতেও পারে নি-এতো ভালোবাসা, আন্তরিকতা যে তার জীবনে অভিশাপ  হয়ে আসবে !

রাসেল ক'দিন থেকেই তার বউকে অকথ্য শারীরিক অত্যাচার করছে গরীব বাবার কাছ থেকে সিএনজি কেনার টাকা এনে দিতে ! না হলে রাসেলের পক্ষে হাতি পোষা আর সম্ভব নয় বলেও হুমকি দিয়েছে ।
রাসেলের বউ বেশ ক'দিন থেকেই বাবার বাড়িতে । ছোট বাচ্চাটি জানে না তার কি অপরাধ ! কেন সে বাবাকে ছাড়া নানার বাড়িতে আছে ! এক অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এক গরীব পিতার কন্যা আর তার নাতীর জীবন !


মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

অনুগল্প: সৃজনশীলতা

শান্তার সাথে ওর স্বামী তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই ।
এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে !
দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে এসেছে ।

বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গা পাস করে এদিকেই আসছে।
মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জরিয়ে ধরলো !
যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না !

মানবজমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর মানবজমিন ধরিয়ে রিনিকে পড়তে বললো !

রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো !
খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি !

কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় !

একদিন রিনি বে-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন !
আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে !

রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে !

বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় ।

একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয়। বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল। তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই ।

এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্ত ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে !

হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো ....
জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে"

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৩

ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর "তিতলি"

হয়তো কারো বুকে মাথা রেখে
দীর্ঘশ্বাস হাসি দিয়ে ঢেকে
নিরাপত্তার উষ্ণতা নিয়ে
থাকবে যন্ত্রণায়....

এই যন্ত্রণা তখনই হয়,
যদি পরের এপিসোডটা খুব বেশি রকমের মন কাড়া না হয়।

কিন্তু যদি মানুষটা ‪#‎তিতলি‬-র বাবার মতো হয়, তবে কষ্টগুলো, হারানোর ব্যথাগুলো আর তেমন বাজে না।
আর সাথে বিশ্বস্ততাও একটা বিষয়। বিশ্বাসযোগ্য থাকার চেষ্টা করাও একটা বিষয়।

তাই দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি দু'জনের প্রতি খুবই আন্তরিক হয়, বিশ্বস্ত হয় তবে
জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে যায়।

কৈশোরের প্রেম অনেক রঙিন হলেও তাতে অনেকই ভুল থাকে।
এই সময়টাতে বাবা-মাকে খুব সাবধানী হতে হয় সন্তানের আবেগের দিকে দৃষ্টি রাখতে।
‪#‎ঋতুপর্ণ_ঘোষ‬ এর #তিতলি তে অনেকই মুগ্ধতা....

দারুণ একটা গান-
মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর
মন খারাপের দিস্তা
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়,
ব্যাকুল হলে তিস্তা।
মন খারাপের খবর আসে
মন খারাপের খবর আসে
বন পাহাড়ের দেশে
চৌকোনো সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাকসে
মন খারাপের খবর পড়ে দাড়ুন ভালবেসে।

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites