বেরিয়ে এলাম, বেশ্যা হলাম
কুল করলাম ক্ষয়
এখন কি না ভাতার শালা
ধমকে কথা কয় !
কথা গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে যখন মুক্তা আমায় বলছিল , আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম !
ভার্সিটিতে একই হলে থাকার সুবাদে জানতাম ওর প্রেমের কথা।
মাস্টার্স-এর পরীক্ষা যখন শেষের দিকে ওকে আটকানোর জন্যে বাড়ি থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়, যেনো পরীক্ষার পর ও বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়।
বাড়ির মানুষজন কানাডা প্রবাসী ছেলে ঠিক করে রেখেছে বিয়ে দিতে।
মুক্তার মাথায় তখন বিয়ে নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। ওদের প্রেমেও এমন কোন জটিলতা ছিল না যে, সেই সময় বিয়ে করাটা জরুরী ছিল।
কিন্তু বড় বোনকেও একই কায়দায় বিয়ে দেওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠে মুক্তা !
জীবনে যাকে বিশ্বাস করে হাতটা ধরেছিল, সেই সুমিতকে অনুরোধ করেছিল একটা সাবলেট বাসা খুজেঁ দিতে...
নারীবাদী সুমিত নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলেও মুক্তাকে নিজের ঘরে আটকাতে চেয়েছিল।
মায়ের অমতে বাবার সাথে বিয়ের পরিকল্পনা করে সুমিত মুক্তাকে জানায়। মুক্তা তখন কোনভাবেই বিয়ে করবে না...
কিন্তু একান্ত ভরসার মানুষ সুমিত যখন জানায় এই সময় বিয়ে না করলে আগামী একবছরের মধ্যে আর বিয়ে করতে পারবে না, তখন মুক্তা নিরুপায় হয়ে বিয়ে করে সুমিতকে।
খান্ডারনী শ্বাশুড়ীর অত্যাচারে দাঁতে দাঁত চেপে মুক্তা সুমিতের সাথে জীবন পার করতে থাকে।
শ্বাশুড়ী ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, মুক্তা একটা বেশ্যা, তার আর বেশ্যা বলেই সে (মুক্তা) তার ছেলেকে কব্জা করেছে।
শ্বাশুড়ির এহেন কথাবার্তায় মুক্তা নিজেকে ইদানিং বেশ্যা ভাবতে শুরু করেছে !
মুক্তার কথা হচ্ছে সে তার স্বামী সুমিতের সাথে আছে একজন পতিতা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে নয়। যে আসলেই পতিত। যে এখন আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগা একজন বেশ্যা।
আর যেই সুমিতকে ভরসা করতে বাধ্য হয়েছিল, সেই সুমিত প্রতিনিয়ত অফিস থেকে বাসায় ফিরে মুক্তার নামে শ্বাশুড়ির কান পড়া শুনতে শুনতে এখন মুক্তাকেও যথেষ্ট পরিমাণেই চাপের মধ্যে রাখতে শুরু করেছে...
মাঝে মাঝে জানালার গ্রীল ধরে মুক্তা ভাবে...বিয়েটাকে খুব জরুরী মনে না করেও কেন সে বিয়েতে রাজি হয়েছিল !?
Facebook comments for blogger brought to you by AllBlogTools.com
1 মন্তব্য(গুলি):
নেট ব্যাবহার করেন কিন্তু ইন্টারনেট হতে কোনো আ্য় নেই? অন্তত ইন্টারনেট আর মোবাইল খরচটা নিজেই আয় করুন খুব সহজে http://affaritrack-administrator.blogspot.com
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন