ম্যুভি রিভিউ- "দ্য স্পীড"

অনেকদিন পর বলাকায় গেলাম বাঙলা সিনেমা অনন্ত জলীল অভিনিত ম্যুভি "দ্য স্পীড" দেখতে। সিনেমা শুরুর আগে পর্দা সরে গেল সিনেমা হলের এবং স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংগীত মিউজিকে পরিবেশন । কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় ৩০% দর্শক সে সময় বসা থেকে উঠার নাম পর্যন্ত করেনি এই কয়েক মিনিট দাড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে। সিনেমার শুরুই হলো বেশ দারুন সাউন্ডের ইফেক্ট দিয়ে। "দ্য স্পীড" নামটিকে সার্থক করতেই হয়তো।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

অনুগল্প : বিবর্ণ সময়

তথাকথিত বড়লোকদের রান্না ঘরের চেয়েও ছোট রুনুর ঘরটা । দরজা নেই, রাতে ঘুমুতে যাবার আগে সেই জায়গায় একটা চেয়ার টেনে দিতে হয় যেন তাদের স্বামী-স্ত্রীর চিরাচরিত আদিম মধুর সময়টির সময় হুট করে কেউ ঢুকে যেতে না পারে । ওর স্বামী কখনো কোন রাতে রাগ করে পাশ ফিরে শুলেও ওদের দু'হাত চওড়া বিছানা ঠিকই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারতো না । গায়ের সাথে গা লাগতোই । রুনু ব্যাপারটাতে বেশ আনন্দ পেতো । স্বামী উপার্জনের ঘাটতি থাকায়ই তারা বড় কোন ঘরে যেতে পারছিল না । এমনকি বাচ্চাও নিতে পারছিল না । স্বামীর উপার্জন বাড়ল, একটা বাচ্চা নিতে যেয়ে পর পর দু'টো বাচ্চার ধকল নিতে হলো । কিন্তু সে সুখিই । আস্তে আস্তে তাদের ঘরের সংখ্যা বাড়ল, রুনুরও একটা স্কুলে...

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩

পদ্য: বন্ধু

১. পেছনের একজন... নিরবতার আড়ালে থাকা একজন প্রতিনিয়ত নিরব থেকেই আমায় বলছে, এগিয়ে যাও বন্ধু... পাশেই আমাকে পাবে । আমি রক্তাক্ত রাজপথ পাড়ি দেবার ভয়ে থমকে দাড়াই ! ভয়ার্ত দৃষ্টিতে পাশে তাকিয়ে দেখি আস্বস্তের কোমল হাতটা এগিয়ে দিয়েছে ভরসায় শক্ত করে বলছে, বন্ধু, পাশেই আছি... এগিয়ে যাও । কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে ইতস্তত আমি ভাবনায় পড়ে যাই, পিছলে যাব তো ! পাশেই দেখি ভরসার হাসি মুখ, নিরবে দাঁড়িয়ে আমি এগিয়ে যাই, জানি আড়ালে থেকেও নিরব থেকেও ভরসার হাতটি বাড়িয়ে আছে । পাশেই আছে 'সে' ।। ২. শুধু একবার চেয়ে দেখো, আমি ঠিক আকাশের বুক চিড়ে ওই সূর্যটাকে এনে দিতে পারবো তোমার হাতের মুঠোয়, ওই পাড়ে থাকা তোমার জন্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিতে এতোটুকু দ্বিধা করবো না । পুলিশের রিমান্ড পেরিয়ে ঠিক আমি সারাদিন তোমার সাথে চষে বেড়াতে পারবো নগর থেকে বন্দরে আমার সেই ক্ষমতা আছে, আমার সেই মনের জোর আছে... চাইতেও জোর থাকা চাই...

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

বই প্রকাশ

লেখাকে যারা পেশা হিসেবে নিতে চান তারাতো বটেই লেখা যাদের নেশা তারাও হয়তো কখনো চান তাদের লেখাটিকে প্রিন্টেড আকারে কাগজের পাতায় মুদ্রিত দেখতে । নিজের একটি প্রকাশিত বই একজন লেখকের কাছে তার সন্তানের মতোই আপন । বর্তমান সময়গুলোতে ফেসবুক, গুগল প্লাস, নিজস্ব ব্লগ সাইট সহ কমিউনিটি ব্লগগুলোর কল্যাণে মানুষ আগের ডায়েরির পাতায় লেখার বদলে এখন এসব ডিজিটাল ডায়েরি ব্যবহার করে থাকেন নিজেদের লেখালেখির মাধ্যম হিসেবে । তাতে লেখকের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে কাগুজে বই প্রকাশিত কমই হচ্ছে । প্রকাশকরা লগ্নিকৃত অর্থের লোকসানের ভয়ে সাধারণত নতুন লেখকদের বই প্রকাশ করতে ভরসা পাননা খুব একটা । কিন্তু তারপরও নিজের একটি বই... এতো দরদ দিয়ে লেখাগুলি বইয়ের পাতায় ছাপানো...

বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩

প্রকৃতির কোলে এক দুপুর

...

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

বিরহী স্মৃতি...

সেতো অতীতের পানে না চাহিয়া ভুলেছে অতীতেরে... আমি কেমনে ভুলি, অতীতের স্মৃতি বিরহী ব্যাথায় লোনা জলে হাহাকারে...

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিবেকের সামনে দাঁড়াও !

wallpapersfly.com বাইরে ঝুম বৃষ্টি ! দু'হাত ছড়িয়ে বৃষ্টি বিলাসের আনন্দটাকে গলাটিপে ধরতে হলো । তোমার পুরুষতান্ত্রিক রক্তচোখের কথা ভেবে ! তোমাদের কামাতুর তৃষ্ণাভরা চোখের ভয়ে ! ওই যে মেরুন রংয়ের সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়েটা তার শিশুটিকে বর্ষাতি পরিয়ে... নিজে ভিজে ভিজে পথ চলছে ! আশপাশ থেকে তোমাদের চোখগুলো যেন ওর বৃষ্টিভেজা পোষাক ভেদ করে শরীরটাকেই দেখছে ! এই যাহ ! রন'র বোনটা ! এতো বৃষ্টিতে ভিজে কোথায় যাচ্ছে !? একটু আগেই তো রনকে দেখলাম বাচ্চাটার ছবি তোলার ছলে সেই ভেজা শরীরের মায়ের ফটোটাই তুলতে !...

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৩

হারিয়ে যাওয়া কেউ !

এনালগ, উৎসব মুখর সেই দিনে, হঠাৎ করেই তোমাকে দেখলাম ! এতো জোরে ডাকলাম, শুনতে পাও নি ! ? দ্বিতীয়বার ডাকতে বড্ড সংকোচ হচ্ছিল ! তাই আর ডাকা হয় নি । তোমার ঠিকানায় একটা চিঠি লিখেছিলাম । ডাকপিয়ন পৌঁছায়নি সম্ভবত । অথবা বাসার লেটার বক্সটি অনেকদিন চেক করো না ! ডিজিটাল, ঈদের দিন , তোমার নাম্বারটা এতোদিন পর খোলা পেলাম সংকোচ, অসংকোচে ফোন করেই ফেললাম, মিস কলটি বুঝি তোমার চোখ এড়িয়ে গেছে ! কলব্যাক করলে না যে ! মেইল যদি চেকই না করো তবে আমায় মেইল এড্রেস দিয়েছিলে কেন বলতো ! তোমার মেইলে একটা লেখা পাঠিয়েছি ।  পাওনি বুঝি ? ! অথবা মেইল অনেকদিন চেকই করো না...

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

বানান সতর্কতাঃ "হ্রস্ব ইকার এবং দীর্ঘ ঈকার"

সাম্প্রতিক সময়ে  আবিষ্কার করলাম বানানে বড্ড ভুল করছি । এর কী কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ভাবতে যেয়ে প্রথমেই যে বিষয়গুলো মনে এলো ১. মাতৃভাষা হওয়াতে "পারিই তো " এই ধরণের মনোভাব, ২. তাড়াহুড়ো  করে কি-বোর্ড চালানোঃ এতে অন্যের ব্লগে মন্তব্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর আর তা শুদ্ধ করার কোন ব্যবস্থা না থাকা, ৩. শুদ্ধভাষায় মন্তব্য করার চেয়ে কৌতুক করে মন্তব্য করার সংখ্যা বেশি পরিমাণে হলে তখন শুদ্ধভাষার চর্চা তুলনামুলকভাবে কমে যায়, ফলে বানান ভুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে । ৪. নিয়মিত শুদ্ধভাবে লিখতে চেষ্টা না করা । আরো কারণ থাকতে পারে ।  হ্রস্ব ইকার নিয়ে কিছু  কথা ... অভ্র কি-বোর্ড একবার ফনেটিকে লেখার সময় বানান নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলাম । কিছুতেই সব বানান শুদ্ধভাবে লিখতে পারছিলাম না ! যদিও অনেকেই হয়তো পারেন । কিন্তু আমি পারছিলাম না । সে সময়টাতে  নাফিস ইফতেখার-এর সহযোগিতা ভুলিনি...

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

বন্ধু

বিশ্ববিদ্যালয় হলে থাকাবস্থায় গলায় গলায় ভাব, খুব ভরসার, বিশ্বস্ত এক বান্ধবী ছিল... আমি বুঝতাম ও আমায় অনেক পছন্দ করতো আর যে কোন বান্ধবীর চেয়ে... আমি কাজে কর্মে বিশেষ করে রান্নায় একটু ফাঁকিবাজ ছিলাম বলে ওর উপর দিয়েই সব ঝামেলা যেত । কিন্তু কারণে অকারণে বড্ড অপমান করতো, কষ্ট দিয়ে কথা বলতো । একটা সময় আমার রুম বদলের সুযোগ এলো...

ডায়েরি থেকে

২০ এপ্রিল ১১.৩৯ সকাল গত দুইদিনে দুই জেলার দুই কবরস্থানে যেয়ে মৃতের কবর সংরক্ষণের প্রতি (কবর বাঁধাই) আগ্রহ দেখে আমাকে আমারই এক আত্নীয়া প্রশ্ন করলো, কবর সংরক্ষণ করাটাকি একধরণের পূঁজার মধ্যে পড়ছে না?! ...এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করা হলে বললো শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধর্মান্ধরা শহিদ মিনারে পুঁজা হচ্ছে বলে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে বিভিন্ন সময়। সাথে এও বললো শহিদ মিনারে যদি পূঁজা হয়, তবে কি কবর সংরক্ষণ করাটা পূজা হচ্ছে না? কারণ মৃতের জন্যে দোয়া যে কোন স্থান থেকেই করা যায়। আর আমরা কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্যেও দোয়া করি তার কবরের সামনে না যেয়েই। আর নবী করিম (সাঃ) কবরের কোন চিহ্ন রাখারও অনুমতি নেই। কথাটা ভেবে দেখার মতো... আর এতো কবর বাঁধাই করা দেখে আমার মাথায়ও একটা প্রশ্ন এলো... জমি সীমিত কিন্তু মানুষ মরছেই। এ অবস্থায় টাকা দিয়ে...

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

আকুলতা !

?? !! আমার কোন কিছুতেই কি তোমার কিছুই আসে যায় না ?! কিভাবে পারো এতো উপেক্ষা করতে !? এই ?! এইই ?! আররে ! বেশি বললেই তো আবার ধমক লাগাবা ! ! তাহলে শুরুতেই একটু হু, হা করো ! আমার বুঝি তোমার কথা শুনতে ইচ্ছে করে না ! ! ................................................... কতো দিন তুমি অফিস থেকেই কাজে ভীড়ে আমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করেছো ! তোমার সাথে কথা বলতে যেয়ে কতোবার ভাত নরম করে ফেলেছি ! কতোরাত তুমি আমার আমার পাশে বসে কথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে স্বপ্নময় করে রাখতে আমার স্বাপ্নিক রাতগুলোকে ! ! আজ তুমি আমায় একটুও মিস করো না ?! তাকাওতো আমার দিকে... কি হলো ! তাকাও ! চোখ গরম করছে যে বড্ড ! এ জন্যেই তো তোমার সাথে বেশি কথা বলতেও এখন ভয় লাগে ! যদি ক্ষেকিয়ে উঠো ! তুমি বোঝ কতোটা কষ্ট হয় আমার !? তোমার কথা, তোমার ভাষা, তোমার কন্ঠ শোনার আকুলতা... তুমি কি একটুও বুঝতে পারো না ! তোমার সাথে কথা বলতে না পেরে...

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্ন ভাঙার দিন, সব হারানোর দিন ।

সময়গুলো বড্ড অসময় হয়ে যায়... খুব তারাতারিই ! ১৩ তারিখকে আমি আনলাকি মানিনি কখনো, আমার জীবনের আঙ্গুলে গোনা একাধিক প্রিয় মানুষের জন্ম কোন কোন মাসের ১৩ তারিখ । কিন্তু আগস্টের ১৩ তারিখকে কিভাবে বিশেষায়িত করবো ?! বরং বলতে হবে ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া একটা স্বপ্নের দিন ! মধ্যবিত্ত বাঙালীদের সুস্থধারার সিনেমা দেখাতে হলমুখি করেছিলেন যে মানুষটা , সেই প্রিয়, শ্রদ্ধেয় তারেক মাসুদ যে স্বপ্ন ভাঙ্গা ঝড়ের তান্ডবে হারিয়ে গেল সাথে আরেক প্রিয় মুখ মিশুক মুনীরকে নিয়ে ...এই ক্ষতি আদৌ পূরণ হবার নয় । আমি সিনেমাখোর বলতে যা বোঝায় তা নই , সেই সময় বা সুযোগও আমার হয় না । তারপরও চাই বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে সুস্থধারার সিনেমার জয়গান গাইতে । স্বপ্ন দেখি সেই সুসময়ের ... অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাই এই অসাধারণ মেধাবী প্রিয় মানুষ দু'জনের জন্যে ...

অনুভবে

"এমন জানলে বিয়ে করলে কেন ?" কাউন্সেলর-এর এই কথার কোন জবাব দিতে পারে নি মেয়েটি । কি জবাব দিবে ! ও তো ভাবতেই পারে না, ছেলেটিকে ছেড়ে থাকার কথা ! ছেলেটি ডিভোর্স করতে চায় নি কখনো । কিন্তু সবসময়ই মেয়েটিকে দূরে ঠেলে রেখেছে । সুযোগ পেলেই, একটু কথা কাটাকাটি হলেই বলে দিয়েছে বেড়িয়ে যাও ! কিছু হলেই বলেছে, বাপের বাড়িতে যেয়ে কয়দিন থেকে আস । মেয়েটি ছেলেটির এই আচরণে কষ্টে বোবা হয়ে যায় মাঝে মাঝে ! কিন্তু কখনো কখনো মরা গাঙ্গে বান ডাকার মতো করেই ছেলেটির ভালবাসা মেয়েটিকে সব ভুলিয়ে দেয় ! মেয়েটি চেষ্টা করেও ওর ভালোবাসাকে সরিয়ে নিতে পারে না ছেলেটির উপর থেকে । যখন কষ্টে নীল হয়ে যায়, তখন একরাশ থুথু ছিটিয়ে দেয় ছেলেটির মুখে । ওর ঘৃণার সর্ব্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ ! মেয়েটি নিজেও জানে না, ছেলেটি ওর উপর সবসময়ই আড়াল থেকে নজর রাখে । কিন্তু সামনাসামনি ছেলেটির অবজ্ঞা যেন মেয়েটিকে ছেলেটির প্রতি আরো বেশি আকর্ষণের জেদ...

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

অভিশাপ

নাজুর বেশ ক'দিন থেকেই জ্বর । একেবারেই খাওয়া দা্ওয়ার রুচি নেই। ভাইরাস জ্বর ভেবে মুক্তা নাপা চালাচ্ছে তিন বেলা । জ্বরের প্রকোপে নাজুর বমিও হচ্ছে । চারদিনের দিন জ্বর কমে গেলেও শরীর দুর্বল থাকায় প্রায়ই বমি হচ্ছে । নাজু ইদানিং খেতেই পাচ্ছে না । বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর মুক্তা বাধ্য হলো  নাজুকে ডাক্তারের কাছে নিতে। ডাক্তার বেশ কিছু প্রশ্ন  করার ফাঁকে কিছু মেয়েলী প্রশ্ন্ও উঠে আসায় নাজুকে ইউরিন টেস্ট করতে দিল । রিপোর্ট পেয়ে মুক্তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো ! এই অবস্থায় কি করা উচিত কিছুই বুঝে উঠতে পাচ্ছে না । সুমিতকে ঘটনা জানানোর পর  রাসেলকে ডাকা হলো...রাসেল পুরোপুরি সব অস্বীকার করে তার কাঁধে অপবাদ দেয়া হয়েছে ব্লেইম করে চাকুরী থেকে ইস্তফা চাইল। নাজুকে পুরো পরিস্থিতিটা বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে মুক্তার তবে শেষ পর্যন্ত সে ক্লিনিকে যেতে রাজি হয়েছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখা নাজু বুঝতেও পারে নি-এতো...

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

অনুগল্প: সৃজনশীলতা

শান্তার সাথে ওর স্বামী তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই । এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে ! দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে এসেছে । বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গা পাস করে এদিকেই আসছে। মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জরিয়ে ধরলো ! যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না ! মানবজমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর মানবজমিন ধরিয়ে রিনিকে পড়তে বললো ! রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো...

সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৩

ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর "তিতলি"

হয়তো কারো বুকে মাথা রেখে দীর্ঘশ্বাস হাসি দিয়ে ঢেকে নিরাপত্তার উষ্ণতা নিয়ে থাকবে যন্ত্রণায়.... এই যন্ত্রণা তখনই হয়, যদি পরের এপিসোডটা খুব বেশি রকমের মন কাড়া না হয়। কিন্তু যদি মানুষটা ‪#‎তিতলি‬-র বাবার মতো হয়, তবে কষ্টগুলো, হারানোর ব্যথাগুলো আর তেমন বাজে না। আর সাথে বিশ্বস্ততাও একটা বিষয়। বিশ্বাসযোগ্য থাকার চেষ্টা করাও একটা বিষয়। তাই দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী যদি দু'জনের প্রতি খুবই আন্তরিক হয়, বিশ্বস্ত হয় তবে জীবনটা অনেক সুন্দর হয়ে যায়। কৈশোরের প্রেম অনেক রঙিন হলেও তাতে অনেকই ভুল থাকে। এই সময়টাতে বাবা-মাকে খুব সাবধানী হতে হয় সন্তানের আবেগের দিকে দৃষ্টি রাখতে। ‪#‎ঋতুপর্ণ_ঘোষ‬ এর #তিতলি তে অনেকই মুগ্ধতা.... দারুণ একটা গান- মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়, ব্যাকুল হলে তিস্তা। মন খারাপের খবর আসে মন খারাপের খবর আসে বন পাহাড়ের দেশে চৌকোনো সব বাক্সে যেথায়...

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৩

ভাবনার জগতকে নাড়িয়ে দেয়া ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমাগুলো

"দহন"ঋতুপর্ণ ঘোষের "দহন" দেখলাম ।  দেখছিলাম আর জ্বলছিলাম...কষ্টে কষ্টে নীল হয়ে যাচ্ছিলাম । জীবনের এতো কাছ থেকে নেয়া বলেই এই ধরনের সিনেমাগুলোকে মনে হয় জীবনধর্মী সিনেমা বলা হয়। যা আমাদেরকে ভাবতে বাধ্য করে। আমাদের মাঝে অতি আপনজনের পর হয়ে উঠা, অপরিচিত হয়ে উঠা...হৃদয়ের রক্তক্ষরণ চারপাশটাকে লালে লাল হয়ে জমাট বেঁধে ফেলা... সত্যিই প্রতিটা মেয়ের কানে কানে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে...নারী... এতো আধুনিকতা, এতো শিক্ষা, ক্ষমতায়ন...তুমি কি সত্যিই তোমার পাশে কাউকে দেখতে পাচ্ছ ?!উইকিপিডিয়ায় "দহন" আইএমডিবি-র রেটিং ৮.১ইউটিউবে "দহন""খেলা "আমি কখনোই সেভাবে সাপোর্ট করি নি, বিদেশী সিনেমা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কোনভাবে প্রভাব ফেলতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে চলুক নিয়মিত। বিশেষ করে ভারতীয় সিনেমাতো নয়ই (আর পাকিস্তানী সিনেমার প্রশ্নই উঠে না)। কিন্তু ঋতুপর্ণ ঘোষের দুদিন আগে দেখা "দহন" আর আজকে...

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

অনুগল্প : "শোধ"- শুরুর পরে/শেষের আগে

ICMAB এর সামনে দিয়ে যখন আসছিল তখন বেশ বাতাস বইছিল। নীলক্ষেত থেকে কাটাবনের দিকে যেতে আইসিএমএবির গেটের উত্তর পাশের বসা লোকটার দৃষ্টি খেয়াল করে মুক্তা দেখলো তার কামিজের কাপড়টা একটু উড়ে গিয়ে উপরে উঠে গেছে। আর হাটুর অল্প উপরে উঠে যাওয়া সালোয়ার-এর উপর দিয়ে সেই লোক কি দেখার চেষ্টা করছে তা সেই জানে ! এক বৃষ্টির সন্ধ্যায় আইইআর এর ক্লাস শেষ করে মহসীন হলের মাঠের পাশ দিয়ে ছাতা মাথায় অন্ধকারে ফেরার পথে সবেগে চলা এক খালি রিক্সার চালক দ্রুততার সাথে ওর গায়ে হাত মেরেছিল ও কষ্ট পাওয়ার চেয়ে অবাক হয়েছিল ! পোশাকের শালীলতায় ওর শত্রুরাও ওকে কোন বাজে কথা শোনানোর কথা ভাবে না। তাহলে এই রিক্সাওয়ালার অন্ধকারে পোশাকে আবৃত এক নারীকে দেখেই তার আদিম প্রবৃত্তি জেগে উঠল ?! "তবে যে ধর্ষনের কারণ হিসেবে মেয়েরা নাকি প্রভোকিং ক্যারেক্টার হিসেবে কাজ করে ?! কিভাবে সেটা?!" মুক্তা আমায় জিজ্ঞেস করেছিল । আমি চুপসে যাওয়া মুখে...

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

অনুগল্প: পরিচয়হীন

বেরিয়ে এলাম, বেশ্যা হলাম কুল করলাম ক্ষয় এখন কি না ভাতার শালা ধমকে কথা কয় ! কথা গুলো চিবিয়ে চিবিয়ে যখন মুক্তা আমায় বলছিল , আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম ! ভার্সিটিতে একই হলে থাকার সুবাদে জানতাম ওর প্রেমের কথা। মাস্টার্স-এর পরীক্ষা যখন শেষের দিকে ওকে আটকানোর জন্যে বাড়ি থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়, যেনো পরীক্ষার পর ও বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হয়। বাড়ির মানুষজন কানাডা প্রবাসী ছেলে ঠিক করে রেখেছে বিয়ে দিতে। মুক্তার মাথায় তখন বিয়ে নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। ওদের প্রেমেও এমন কোন জটিলতা ছিল না যে, সেই সময় বিয়ে করাটা জরুরী ছিল। কিন্তু বড় বোনকেও একই কায়দায় বিয়ে দেওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠে মুক্তা ! জীবনে যাকে বিশ্বাস করে হাতটা ধরেছিল, সেই সুমিতকে অনুরোধ করেছিল...

রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৩

কবিতা : সম্পর্ক

তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই... তুমি আঘাত করতে পারো আমি নই । আমি সম্পর্কের সম্মান রাখতে পারি। সম্পর্কে যদি সম্মাণই না থাকলো তবে কিসের সম্পর্ক?! তুমি কি এতোটাই আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠলে যে, আমি তোমাকে ছেড়ে যাব না?! আমি তো আসলেই তোমাকে ছেড়ে যেতে পারবো না। কি এক অমোঘ টানে, জালে আমি আটকা পড়েছি :( কতোবার যে ছুটতে চেয়েছি :( তোমার বাঁধার ক্ষমতা অসীম :...

অনুগল্প : চেনা-অচেনা

ফোনটা নিয়ে অনেকক্ষণ থেকেই উসখুশ করছে ... কতোদিন রিশাদের সাথে কথা হয় না নিপার ! ভারী, অস্থির কন্ঠটা শুনতে নিপাই অস্থির হয়ে যাচ্ছে... এমন কখনো হয় নি যে, দু'জন পুরো সময়টা ধরেই ঠান্ডা মাথায় কথা বলেছে...বরং দেখা গেছে যতক্ষণ কথা বলতো তার মধ্যে অনেক বেশি সময়ই রাশেদ খুব কঠিন কঠিন কথা শোনাতো নিপাকে... কঠিন কথা শুনতে শুনতে একরকম মোহগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছিল ! রিশাদ ফোন করলে নিপা ফোনটা রিসিভ করে অপরপ্রান্তে চুপ করে থাকতো । তারপর ওই পাশ থেকে রিশাদের ধমক খেয়ে নিপার মুখ থেকে কথা বেরুতো ... শুধু ঝারি খেতেই নিপা অনেক সময় রিশাদকে খেপাতো .... ভাবতে ভাবতে নিপার চোখ ভরে যায় পানি তে ... সমাজে বলার মতো আহামরি কোন সম্পর্কই নেই দু'জনের মধ্যে । শুধুই দু'জনে দু'জনার শুভাকাঙ্খি । কখনো কোন রকম রোমান্টিকতার নায়ে তারা চড়ে বসেনি। কিন্তু তারপরও কেমন অদ্ভুত এক মোহগ্রস্থতা ! রিশাদের ফোন খুব কম সময়ই খোলা পেয়েছে নিপা। কিন্তু...

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৩

♣ ধর্ষণ...! সামাধান কি আসলেই আছে?! ♣

একজন নারী ধর্ষিত হবার প্রথমেই তার মাথায় ধর্ষকের শাস্তির চিন্তা আসে না । হয়তো সে ধর্ষিতা হবার পরপর বার বার করে গোছল করে তার শরীর থেকে অসহ্য ঘৃণা সরিয়ে ফেলতে চায় ! সে তার সব থেকে কাছের মানুষটির/মানুষগুলোর সান্নিধ্য চায় সেই সময়ে । তারপর হয়তো সে চায় ধর্ষকের শাস্তি হোক। কিন্তু ততক্ষণে ধর্ষিতার শরীর থেকে ধর্ষনের আলামত অনেকটাই মুছে যায় । আর আলামত মুছে যাওয়ার কারণে এবং সমাজ জানাজানি, লোক কানাকানি, ধর্ষকের পক্ষ থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষনের মামলা আর আগাতে পারে না। ধর্ষক খালাস পেয়ে যায় । একটি উদাহরণ দেয়া যাক- খুবই সাধারণ একজন চাকুরে মুরাদ এর বড়লোক বন্ধুটি বড়ই রসময় সব রঙ্গতামাশা করতে ওস্তাদ তার বন্ধুপত্নীর সঙ্গে এবং সেটা্ও মুরাদ এর অনুপস্থিতিতে বড্ড অসময়ে, যখন মুরাদ বাড়ির বাইরে থাকে অর্থাঁৎ অফিসে। খুবই সাহায্যকারী মনোভাবাপন্ন বন্ধু শামীমের এই নিয়মিতই অসময়ে উপস্থিতি বন্ধু...

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৩

প্রিয়তমেষু

প্রিয়তমেষু, লাভ এ্যাট ফার্স্ট সাইট বলে একটা কথা আছে না?! ওটা আমি আগে কখনো সেভাবে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু পাড়াত ছোট ভাইয়ের দেয়া ঠিকানায় যেয়ে তোমাকে দেখে প্রথমে বুঝতেই পারি নি, এ আমার কার সাথে পরিচয় হলো। দিন নেই, রাত নেই শুধুই তোমার কথা ভেবেছি। সম্পর্কটা তোমার সাথে আমার আজকে দেখলাম দুই বছর হতে চলল। অনেক ভালোবাসা যেমন পেয়েছি, অনেক সম্মানও যেমন পেয়েছি, তেমনি অনেক অবহেলা, অনেক অবজ্ঞা, অনেক অসম্মানও পেয়েছি। বিশ্বাস করো, আমার এই জীবনে এতো অসম্মান আমি এর আগে আর কোথাও থেকে পাইনি ! কতোদিন ভেবেছি এতো অসম্মানের, এতো অবজ্ঞার এই সম্পর্ক আর রাখবো না। কতোবার তোমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। সে সময়গুলোতে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম! আমি সত্যিই পারিনি তোমাকে ছেড়ে, তোমাকে ভুলে একটাদিনও থাকতে। কতো পাড়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারছি কোথায় বল। সম্পর্কে জড়িয়ে রাখার ক্ষমতা তোমার সত্যিই অদ্ভুত! কি যাদু...

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

কবিতা : অক্সিজেন

কোন এক শেষ বিকেলে সে আমার হাতটা ধরে বলেছিল ... আমার সাথে থাকবা না? হ্যাঁ, আমি কথা দেই নি। কিন্তু কথাটা না দিয়েও রেখেছিলাম। সেইই বরং কথা রাখতে পারে নি। সাথেই আছি... আমি ছেড়ে যেতে পারি নি। সেই হারিয়ে গেছে.. হারিয়ে গিয়ে নিজেই হেরে বসে আছে ! আমি কিন্তু জিতেই গেছি ! আমি জিতেই আছি ! আজও আমার ভালোবাসার সবটা জুরে সে আছে । একটা সময় আবিষ্কার করেছিলাম আমার শ্বাস কষ্টের রোগ হয়ে যাচ্ছে। ইনহেলারের প্রয়োজনটা বড্ড বেড়ে গেছে ! হ্যাঁ, ইনহেলার সেই-ই ছিল । কিন্তু সে বুঝতে পারে নি, আমি আমার শ্বাসকষ্টের রোগটা থেকে নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারবো । সারিয়ে আমি নিজেকে তুলেছি ঠিকই কিন্তু ... এখনও আমার অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায়... অক্সিজেনের ঘাটতি পরে যায় যখন ভাবনায় তুমি এসে ভীড় করো । তুমি আমার জীবনে যে অক্সিজেন হয়েই আছো !...

লাইসেন্স

বিশাল মোটা মোটা পিলারগুলোকে পাশ কাটিয়ে চার তলার উপর থেকে খুব সফলভাবেই গাড়ি নামাতে পারল রিন্তা। সিকিউরিটি গার্ড হর্ন শুনেও গেটটা খুলতে দেরী করলো ! গেট পার হতে যেয়ে সাপের মতো ঠান্ডা চোখে একবার গার্ডটাকে দেখে নিল সে। গেটের বাইরে যখন বেরিয়ে এলো ততক্ষণে বিকেলের পড়ন্তু সূর্য কমলা আলো ছড়াচ্ছে পশ্চিমাকাশে । মিনিটখানেকের জন্যে বাম হাতে স্টিয়ারিংটা ধরে তাকিয়ে থাকল লাইসেন্সটার দিকে। গতকালই পেয়েছে। সাত হাজার টাকা ঘুষও দিতে হয়েছে এর জন্যে । রিন্তা কতোদিন কল্পনার সাগরে ভেসেছে যে, প্রচন্ড মন খারাপ থাকা অবস্থায় ধুমধারাক্কা গাড়ি চালিয়ে কোন একটা দেয়ালে সজোরে গাড়ি লাগিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকবে। তারপর হুশ ফিরে এলে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করবে বরের বাহু বন্দি অবস্থায় । ছলছল চোখে বর বলবে "কেনো এমন পাগলামি করো রিন্তা?" ইফতারির এখনো মিনিট ত্রিশেক দেরী আছে। আজকে চাঁদ...

শনিবার, ৮ জুন, ২০১৩

বইয়ের খোঁজে

অনেকেই অনেক সময় ঠিক কোথায় কোন ধরনের বই পাওয়া যাবে এটা জানা না থাকার কারণে প্রয়োজনীয় বইটি খুজেঁ পেতে অনে সময় ব্যয় করে ফেলেন। কেউ কেউ কখনো কখনো ব্লগে দুই তিন লাইনের পোস্ট দিয়ে থাকেন যে, কোথায় খুজেঁ পাবেন তার আকাঙ্খিত বইটি। এটা তেমনই একটা বইয়ের প্রাপ্তি স্থান যেখানে খুবই সুলভমূল্যে বই পাওয়া যায়। খুঁজলে আপনার কাজে লেগে যেতে পারে এমন বইও পেয়ে যেতে পারেন।   এই স্থান থেকে বই কেনার একটা সমস্যা হলো কখনো কখনো বইয়ের পাতা মিসিং থাকে। সেক্ষেত্রে বই কেনার সময় একটু সময় নিয়ে হলেও পৃষ্ঠাগুলি উল্টেপাল্টে দেখা দরকার যে তা ঠিকমতো আছে কি না...

শনিবার, ১১ মে, ২০১৩

প্রীতিলতাঃস্বদেশের জন্যে উৎসর্গীকৃত এক অনুপ্রেরণাদায়ী প্রাণ

বৃটিশ পুলিশদের থেকে রেল শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনের টাকা স্বদেশীরা যখন ছিনিয়ে নিল বড়দা মধুসূদনের কাছ থেকে সেই খবর শুনে প্রীতিলতা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। সময়টা ছিল ১৯২৪ সালের। ৫ মে ২০১৩ ইংরেজি। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের প্রথম নারী আত্মদানকারী বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের (৫মে ১৯১১ – ২৩সেপ্টেম্বর ১৯৩২) ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। প্রীতিলতার নাম নতুন করে বলার কিছু না থাকলেও খুব অল্পজনই জানে তাঁর সম্পর্কে। অন্তর্মুখী, লাজুক এবং মুখচোরা স্বভাবের এই বীরকন্যার জন্ম ১৯১১ সালে ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে। বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভা অফিসের প্রধান কেরানী। মাতা প্রতিভাদেবী ওয়াদ্দেদার ছিলেন গৃহিণী। আদর...

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

শুভ জন্মদিন জননী। সালাম রইল তোমায়।।

ক্লাস নাইনে পড়ি তখন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া প্রতিযোগিতার ফলাফল কি হয়েছিল জানতে পারিনি বাসার বাড়াবাড়ি রকমের শৃংখলের কারণে। একদিন প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম ডাকালেন তার রুমে। আমিতো ভয়েই অস্থির। না জানি কপালে কি আছে! যেয়ে দেখি উনার রুমে বসে আছেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দের বই পড়া প্রতিযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত দু'জন সিনিয়র । প্রিন্সিপ্যাল ম্যাডাম দেখে হেসে দিলেন, উনাদের হাত থেকে পুরষ্কার হিসেবে নিলাম অনেকগুলো অসাধারণ বই, আসমানী রঙের ফিতা দিয়ে বাঁধাই করা। সেই বইগুলোরই একটা ছিল "একাত্তরের দিনগুলি"। শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমামের সাথে আমার পরিচয় তখন থেকে। আমি ওই বইটা যে কতো বার পড়েছি হিসেবে নেই। সেই থেকে শহীদ রুমীর প্রতি আগ্রহ। প্রথমার প্রকাশিত শহীদ...

বুধবার, ১ মে, ২০১৩

স্বীকারোক্তি

নিজেকে কখনো অত্যাচারিতের ভুমিকায় দেখতে চাইনি। কিন্তু তাই বলে অত্যাচারির ভুমিকাও গ্রহণ করতে চাইনি কখনো। বেশ ক'দিন থেকেই বাচ্চাটা অসুস্থ থাকায় গতদিন যখন ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরছিলাম, তখন বাচ্চার আবদার ফেলতে না পেরেই যেতে হয়েছিল ধানমন্ডির পিজ্জা হাটে। কারণ সে ওখানে পিজ্জা খাওয়ার নামে খেলবে। যখন গন্তব্যে পৌঁছে গেছি, গাড়ি থেকে নামবো, তখনই সামনে পড়লো দুই গার্মেন্টস নারী শ্রমিক। চলে গেল। থেমে গেলাম আমি। আমার ভ্রুটা কি বিরক্তিতে একমুহুর্তের জন্যে কুচকে উঠেছিল? হ্যাঁ, অসুস্থ বাচ্চার জন্যে আমি অস্থির আছি। তা ওই মেয়ে কেন সেকেন্ডের জন্যেই বা আমার গাড়ির দরজায় আসলো! মনে হলো যেন এক অদৃশ্য চপেটাঘাত খেলাম। সেই দু'জনের একজন শাহিনা, যেন পাশ দিয়েই চলে গেল,...

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৩

হারানো সুর

 .....মৃত্যুটা সবচেয়ে কঠিন....  চাইলেই মরা যায়না, কিন্তু না চাইতেই মরতে পার যখন তখন আমি মরে যেয়ে যদি দেখতে পেতাম আমার জন্যে কে কে আসলেই কষ্ট পাচ্ছে  শুধু দুজন মানুষ :(  আগামীকাল রাতে কতো যত্ন করে একটা বৃষ্টি নামাতে যাচ্ছে প্রকৃতি .......তার আগেই মরে গেলে চলবে কিভাবে শওয়ারে যদি পানির ফ্লো অনেক বেশি থাকতো তবে শওয়ার ছেড়ে ভিজতে ভিজতে চিৎকার করে কাঁদতাম কতোক্ষণ ! মাঝে মাঝে এই শবদেহকে আর টানতে পারি না :(  এভাবে মরে যাবো কখনোই ভাবি নি।  কিন্তু আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম  আমার সেই চাওয়া মূল্যহীন হয়ে গেছে  মিথ্যে এই জগত সংসার  মিথ্যে মানুষের অনুভুতি প্রতিটি রাতেই মরে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্বেও সকালে আবার বাঁচার স্বপন্ দেখতে হয় অনেককে....

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৩

জেন্ডার ...অল্প কথা

আগে সব জায়গায় লেখা হত women's affair কিন্তু এখন লেখা হয় gender issue তার কারণ হল- নারী সমস্যা বলে আলাদা ভাবে কিছু নেই। নারী সমস্যা সমাজের তৈরী। বলা ভাল- পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তৈরী। ফলে ফেমিনিজম এর চেয়ে জেন্ডার শব্দ হিসেবে বেশী গ্রহণযোগ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে উইমেন'স স্টাডিজ বিভাগ ছিল। সেটার নাম পাল্টে উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ করা হয়েছে। এর কারণও তাই। ফেমিনিজম বললে মনে হয় 'নারী'ই একমাত্র আলোচনার বিষয়। আদতে তা সত্য নয়। আর সংজ্ঞা কোন স্থির বিষয় নয়। ফেমিনিজম শব্দটা ব্যবহার করে এটাতে আটকে থাকার চেয়ে জেন্ডার ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়া ভাল।কোথায়ও কোথায়ও ফেমিনিস্টদেরও এখন জেন্ডার এক্সপার্ট বলা হয়। তবে হ্যাঁ - জেন্ডার এর সংজ্ঞা আসলে বাংলা করলে দাড়ায় 'সামাজিক লিঙ্গ'। সেক্স যেমন প্রাকৃতিক লিঙ্গ।জেন্ডার বলতে বৈষম্যহীনতা বোঝালেও জেন্ডার শব্দটা এখন আর ঐ সঙগায় আটকে নেই। জেন্ডার এখন শুধুই বৈষম্যহীনতাকেই...

মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০১৩

ফটোগ্রাফি: পাচঁমিশালী

                                                   ...

Page 1 of 26123Next

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites