ম্যুভি রিভিউ- "দ্য স্পীড"

অনেকদিন পর বলাকায় গেলাম বাঙলা সিনেমা অনন্ত জলীল অভিনিত ম্যুভি "দ্য স্পীড" দেখতে। সিনেমা শুরুর আগে পর্দা সরে গেল সিনেমা হলের এবং স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংগীত মিউজিকে পরিবেশন । কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় ৩০% দর্শক সে সময় বসা থেকে উঠার নাম পর্যন্ত করেনি এই কয়েক মিনিট দাড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে। সিনেমার শুরুই হলো বেশ দারুন সাউন্ডের ইফেক্ট দিয়ে। "দ্য স্পীড" নামটিকে সার্থক করতেই হয়তো।

১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসের কোন একদিন

মানুষের জীবনে বোধ সঞ্চারের এক নির্ভেজাল উপাদানের নাম কবিতা। কবিতা কখনো মানুষের মনকে রাঙিয়ে দেয়, কখনো বদনার কালো রঙ ঢেলে উপলব্ধিগুলোকে সতেজ করে তোলে; জীবন দর্শনের পথকে করে প্রশস্ত।

নারী-পুরুষ নিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলি

'জেন্ডার' শব্দটি মুলত নারী ও পুরুষ উভয়কেই বোঝায়, বোঝায় নারী-পুরুষকে নিয়ে বৈষম্যহীণ সমাজের, রাষ্ট্রের কথা। সংস্কৃতি ও সমাজ নারী ও পুরুষ সম্পর্কে যে সব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গড়ে তোলে, ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে শেখায়, কিংবা ভুমিকা পালন করতে বলে, সেসবই হচ্ছে জেন্ডার।

সৌদি নারী...অতঃপর রোকেয়া

যদি আজ থেকে প্রায় একশ বছর পেছনে তাকাই বেগম রোকেয়ার (রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন১৮৮০-১৯৩২) জীবনে যিনি সৌদি নারীদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাননি কিন্তু তার দেখানো আলোতে এখনও আমরা পথ দেখি।

নারী....আর কতোকাল রবে শুধুই অর্কিড হয়ে!

প্রচলিত ধ্যান-ধারণা হচ্ছে নারী হবে নরম-কোমল, সর্বংসহা (মাতা), মনোরঞ্জনকারিনী (বধূ)। তারা থাকবে অন্দরমহলে। আর তাই প্রবাদে শোনা যায়... 'ঝি নষ্ট হয় হাঁটে, বউ নষ্ট হয় ঘাটে'।....অর্থাৎ ঝি কে হাঁটে-বাজারে-মার্কেটে পাঠানো যাবে না আর বউকে পুকুর ঘাটে পাঠানো যাবে না (যদিও গ্রাম এলাকায় পরিবারের পানির যোগান দাতা সাধারণত নারীই)।

রবিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৬

ঢাকা শহরের রাস্তা কাদা পানিতে ডুবে থাকার যত্তো সুবিধা

ঢাকা শহরের কোন কোন রাস্তা পানিতে ডুবে থাকে। তাই আপনারা অনেক বিরক্ত...এটা কি ঠিক ?
দেখুন এর কত্তো কত্তো ভালো দিক আছে...

প্রথম ছবিটি দেখুন। যেখানে ঢাকা শহরে পাশের বাড়ির খবরই আমরা রাখি না সেখানে একই ভ্যানে কয়েকজন মিলেমিশে যাওয়ার ফলে মিল মহব্বত বাড়বে । এতে সম্প্রীতি বাড়বে ।

ঢাকা শহরের অনেক রাস্তাতেই প্রয়োজনে রিক্সা, গাড়িকে পানিতে ভেসে চলার উপযুক্ত করে তৈরি করা উচিত ।
প্রথমেই আপনার বাহনকে কাদা পানিতে চলার উপযোগি করে তোলা প্রয়োজন। এতে আপনার লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। দেশেরও লাভ।
কী লাভ দেখুন-

আপনি আপনার ব্যক্তিগত গাড়িটিকে বা রিক্সা মহাজনরা বা বাস মালিকরা যখন তাদের বাহনটিকে কাদা পানিতে চলার উপযুক্ত করার জন্যে যে ব্যবস্থা নিবে তার জন্যে কোন সার্ভিস সেন্টার লাগবে। আর এতে করে ঢাকা শহরে এরকম অনেক সার্ভিস সেন্টারের ব্যবসা চালু হবে। বেকারত্ব কিছুটা হলেও ঘুচবে ।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ভালো অভ্যাস গড়ে উঠবে।

কাদা পানিতে রাস্তা ডুবে থাকলেতো ভালো। ধুলা উড়বে না। গায়ে পানির ঠান্ডা হাওয়া পেতে সুবিধে হবে।
আবার পানিতে ডুবে থাকা কাদা লাগলে নিয়মিত রিক্সা, গাড়ি পরিষ্কারের প্রয়োজন পড়বে।
আপনি কি প্রতিদিন আপনার বাহনটিকে গোসল করান ? নিশ্চয়ই না। অথচ নিয়মিত পরিস্কার রাখাতো স্বাস্থ্যসম্মত ব্যাপার ।
বাথরুমের কমোডে যেই পরিমাণ জীবানু থাকে শুনেছি গাড়িতে তার চেয়ে বেশি পরিমান জীবানু থাকে । (রেফারেন্স খুঁজতে টাইম লাগবে) 
কাজেই নিয়মিত পরিষ্কারের ফলে স্বাস্থ্যসম্মত ভালো একটি অভ্যাস গড়ে উঠবে।

আপনার মনোযোগ, ধৈর্য বৃদ্ধি পাবে।
খানা খন্দে ভরা ডুবো রাস্তায় চলাচলে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে মানুষের মাথা বাজে চিন্তা না করে সতর্ক হওয়ার কাজে ব্যস্ত থাকবে । আর তাতে মনোযোগ বাড়বে। এই ডিজিটাল দুনিয়ায় আপনি যখন টিভিতে কোন অনুষ্ঠানে স্থির হতে পারেন না। ব্লগের কোন পোস্ট পুরোটা না পড়ে (;)) চোখ বুলিয়েই মন্তব্য করে ফেলছেন তখন এই কাদা পানির রাস্তাই আপনার মনোযোগ বাড়াতে দারুণ সহযোগিতা করবে।
আমরা অনেক বেশি ধৈর্যশীল হবো ।

আমিষের যোগান বেড়ে যাবে
মাছের চাষ করতে পারি । এই আইডিয়া আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে।
তাই সোৎসাহে বলেছি, এই সুযোগে মাছের দাম তবু্ও যদি কিছু কমে। আর দাম কমা মানেই মাছে ফরমালিনের ব্যবহার কমে যাবে।
মানুষ ফরমালিন মুক্ত মাছ খাবে।
ভাবছি মৌচাক এলাকার রাস্তার মাগুরের চাষ করা যায় কিনা। 
ওখানে যতদিন যাই ততদিনই কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে থাকে।
এতোদিন ভাঙ্গা রাস্তা, কাদা পানির কারণে বিরক্ত হয়েছি...কিন্তু এখন এই কাদা পানির রাস্তাই শাপে বর হয়েছে।
হ্যাঁ, ইলিশের চাষ করতে পারি। এই ইলিশ লোনা পানির হবে না, হবে কাদা পানির। এতে করে হাজার টাকা দিয়ে ইলিশ কিনে খেতে হবে না। আপনি চাকরী থেকে ফেরার পথে রাস্তায় চাষ করা তাজা ইলিশ সস্তায় কিনে ঘরে ফিরতে পারবেন। পুরুষ হলে আপনার গিন্নি মহা খুশি হবে। এতে আপনার দাম্পত্য জীবনে সুখ বেড়ে যাবে। আর নারী হলে আপনার বাজারের টেনশন কমে যাবে ।

শায়েস্তা খাঁর আমলের দামে চাল

চালের দাম এখন কতো বলুন তো?
কেজিতে ৩৫ থেকে শুরু করে ৪৫, ৫২, ৮০ আরো রকমফের আছে চালের দামের।
অথচ এমন কিন্তু হওয়ার কথা ছিল না।
এই রাস্তায় ধানের চাষ করলে দেশে চালের যোগান বেড়ে যাবে । তাতে চালের মূল্য কমে যাবে। ডিজিটাল আমলে থেকেও আপনি শায়েস্তা খাঁর আমলের দরে চাল কিনতে পারবেন। দারুণ না ? (প্লিজ অধিক সুখে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন না।)

কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে যাবে
মেয়েদের পায়ে দুই ফিতার পাতলা সেন্ডেল বা হিল দেখলে কেমন জানি উসখুশ লাগে আমার :|
মনে হয় এই সেন্ডেলে প্রয়োজনে তো তুমি মেয়ে দৌড়াতেও পারবে না!
নাহ সেই দিন শ্যাষ।
এবার মেয়েদেরকে শক্তপোক্ত সেন্ডেল সু/জুতা পরতে হবে। কাদা পানিতে তো আর পাতলা সেন্ডেল বা হিল পরে চলতে পারবে না। মেয়েদের জুতার ডিজাইনে আসবে রকমফের । আরো অভিনব ডিজাইনে আরো নতুন নতুন জুতার কোম্পানি তাদের নিত্য নতুন জুতার আইডিয়া নিয়ে হাজির হবে। এতে দেশে বেকারত্বরে হার কমে যাবে । আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের থেকে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়ে যাবে ।

ছিনতাইকারীর দৗেড়াত্ব কমে যাবে।
আপনার পায়ে যখন শক্ত পোক্ত বেল্ট ওয়ালা জুতা থাকবে তখন ছিনতাইকারী এলে আপনি খিঁচে দৌড় লাগাতে পারবেন।
এই দৌড়ের দু'টো সুবিধা। 
১. এভাবে নিয়মিত দৌড়াতে পারলে ছিনতাইকারী বাধ্য হয়ে ছিনতাই ছেড়ে রাস্তার পাশে সবজি বিক্রিতে মন দিবে।

এতে সমাজে ছিনতাইকারীর প্রকোপ কমে যাবে। কর্মসংস্থানবৃদ্ধি পাবে। সমাজে সৎ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চুরির সুযোগ না পেলে মানুষ বাধ্য হয়েই সাধু থাকবে।
২. আর নিয়মিত দৌড়ানোর প্র্যাকটিস থাকার কারণে অলিম্পিকে দৌড়ের বিশ্বজোাড়া নাম কামানোর সুযোগ হয়ে যাবে ।

সাহিত্য প্রতিভা বিকশিত হবে

শাড়ির কদর বেড়ে যাবে । সালোয়ারের ডিজাইনে আসবে ভিন্নতা। প্যান্টের নিচের দিকটা হবে বেশি ঢোলা। জরজেট টাইপের কাপরের কদর বেড়ে যাবে ।
শাড়ির কদর বেড়ে যাওয়ার কারণে কবি, সাহিত্যিকদের সাহিত্য প্রতিভা বিকশিত হবে । দেখুন সালোয়ার কামিজ নিয়ে সাধারণত কোন সাহিত্য রচনা হয়না কিন্তু। 

মানুষজন বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়ে উঠবে
আপনার দামী কাপড়ে কাদা পানি লেগে যাবে এমনটি আপনি নিশ্চয়ই চান না। মেয়েরা সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । জরজেট টাইপের কাপরের চাহিদা বেড়ে যাবে । আর এতে করে কাপড় ইস্তিরি করার ধকল কমে যাবে । বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে মানুষজন। ব্যয় কমে যাবে । ইলেকট্রিক বিল কম আসলে সেই বাড়তি টাকা দিয়ে আপনারা জায়া-পতি মিলে সিনেমা হলে গিয়ে পপকর্ন খেতে খেতে "বেলাশেষে" দেখে দু'জনে প্রেমে গদগদ হয়ে ঘরে ফিরবেন। জীবনে সুখ আর সুখ। 

সাঁতার শিখুন জীবন বাঁচান

আপনাকে কারি কারি টাকা খরচ করে আপনার বাচ্চাদের সাঁতার শেখাতে হবে না। আর মহিলা কমপ্লেক্সের বাথরুমের ফুটা দিয়ে ভিডিও হবার দুশ্চিন্তাও করতে হবে না। আপনার বাসার কাছের রাস্তাতে জমে থাকা পানিতে বাচ্চাদের সাঁতারের ব্যবস্থা করুন ।
এতে করে আপনি যখন ইদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তখন উপচে পড়া মানুষের লঞ্চ ডুবে গেলেও নো টেনশন। আপনি আর আপনার পরিবারের প্রিয় মানুষগুলো সাঁতরে ঠিকই জীবন বাঁচাতে পারবে। ওয়াও ...এর আগে কখনো এভাবে ভেবে দেখেছেন? সময় এসেছে ভাববার। সামনেই কিন্তু বর্ষাকাল...রাস্তা ডুবে আরো পানি জমবে। এখনই বসে যান পরিকল্পনা করতে। 

বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

♣বিজ্ঞাপনে নারী : সেন্টিমেন্ট বাণিজ্য♣




কথায় আছে প্রচারেই প্রসার । আর প্রচার করার জন্যে বিজ্ঞাপনের বিকল্প নেই । কোন পণ্যের খবর ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর জন্যে বিজ্ঞাপনের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর বিজ্ঞাপন এমনই হওয়া উচিত তা যেনো মানুষকে আর যে কোন কিছু থেকে আলাদা করে ভাবতে বাধ্য করে ।
আজকাল হরেক পদের বিজ্ঞাপনের ভীড়ে ভোক্তাদের জানতে বাকী থাকছেনা কোন পণ্যটি বাজারে সহজলভ্য ।
বিজ্ঞাপন অনেক ধরনের হয়ে থাকে । তবে মূলত তাকে চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
শ্রবণ সম্পর্কিত : রেডিওতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন, মোবাইল ফোনে ভয়েস কলের মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন ।
দর্শন সম্পর্কিত : সাধারণত পোস্টার, বিলবোর্ডে, বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং
সাময়িকীতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন এবং বর্তমান সময়ে অতি অবশ্যই সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচারিত বিজ্ঞাপন ।
শ্রবণ এবং দর্শন : এটি মূলত টিভি চ্যানেলে প্রচারিত এবং সিনেমা হলে বা বিভিন্ন ভিডিওতে প্রচারিত ।

বিজ্ঞাপনের হরেক রকম নিয়ে বলা যেতে পারে অনেক কথাই । আজ টিভিতে প্রচারিত নাম জানা, না জানা (নাম মনে নেই) কিছু বিজ্ঞাপন নিয়ে লিখবো । আমি নারীবাদী বা জেন্ডার কর্মী হিসেবে নয় একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ভালো লাগা, মন্দ লাগা জানাতে লিখতে বসেছি ।

যে বিজ্ঞাপনটি আমাকে বিশেষভাবে ভাবাচ্ছে...
সুপার মম ডায়াপার । আহা এতো দারুণ, হৃদয় স্পর্শি বিজ্ঞাপন প্রচারে বিজ্ঞাপন দাতাকে সাধুবাদ দিতেই হয় । আপনারা কি বিজ্ঞাপনটি খেয়াল করেছেন ? বউমা, বাবুর র‌্যাশ উঠেছে...বাচ্চার বাবা বিছানা থেকে উঠতে চাইলে বাচ্চার মা তাকে নিরুৎসাহিত করছে । একজন আর্কিটেকচার মা বাচ্চা পালনের তো ট্রেনিং নেয়নি তবে ?

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী একজন নারী সন্তান ধারণ করতে পারবেন, স্তন্য দান করতে পারবেন। এই দু'টো কাজ পুরুষদের দ্বারা সম্ভব নয় । কিন্তু আর বাকী কাজ ? বাচ্চার মা যদি আর্কিটেকচার হয়ে পেশাগত কাজ করেও বাচ্চার জন্যে সময় দিতে পারে তবে বাবা নয় কেন ? বাস্তবে অনেক বাবারাও সময় দেয় কিন্তু । আমাদের মিডিয়াগুলো কি বাস্তবের সেই বাবাদের উদাহরণ তুলে আনতে পারেনা ? নাকি পুরুষ ক্ষেপিয়ে কাজ নেই বাবা... সারাদিন অফিস করে আবার রাতে বাচ্চার ন্যাপি বদলাবো ! এমন বিজ্ঞাপনের গুষ্ঠি কিলাই !

নাহ, বিজ্ঞাপন দাতারা সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেললেও নারীদের পক্ষেও বিজ্ঞাপন যাচ্ছে কিন্তু ।
সেনোরা ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনটি বর্তমান সময়ের তেমনই একটি দারুণ আঘাত । ১৮ বছরের আগে ৭৩% মেয়েরই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে । আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি মেধাবী মেয়ের বিয়ে দেবার সময় কথা থাকে পড়াবে...১৮বছরে বিয়ে তো দুরে থাক বেচারী বাচ্চার মা বনে গেছে ! কাজের আমগর মেয়ে দুনিয়া দেখবো...অবশ্যই দেখবে। অন্যান্য ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপনের চেয়ে এই বিজ্ঞাপনটিকে আমার কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরনাদায়ী মনে হয়েছে । খেলুক সেন্টিমেন্টে নিয়ে...কিন্তু এসব খেলাতেও যদি কিছু মানুষ সচেতন হয় ।

আচ্ছা পুরুষরা কি গায়ে সাবান মাখে না ? নাকি গায়ের গন্ধ দূর করতে শুধু নারীকে কাছে টানা (বহুগামী মন) পারফিউম বা বডি স্প্রেই মাখে ? প্রশ্নটা করলাম এই কারণে যে পুরুষদের দ্বারা সাবানের বিজ্ঞাপন তেমন চোখেই পড়ে না । এই মুহুর্তে শুধু "কুল" (সম্ভবত) নামক সাবানের কথাই মনে পড়ছে যাতে পুরুষের সম্পৃক্ততা সরাসরি দেখিয়েছে ।

লুকিয়ে ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী মাখলেও মুখে মুখে গুষ্ঠি উদ্ধার করেছি বর্ণবাদের বিজ্ঞাপন বলে । কিন্তু আপনি পুরুষ, আপনার মা নারী তো বিয়ের পাত্রি খুঁজতে ফর্সা মেয়েরই সন্ধান আগে করে ! তুমি মেয়ে তোমার ভাইয়ের জন্যে ফর্সা পাত্রীই কেন অগ্রাধীকার পায় ? আপনি পুরুষ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যমজ দু'বোনের মধ্যে যার গায়ের রং ফর্সা তাকেই আপনি গুরুত্ব বেশি দিবেন না । থাক আপনার হৃদয়ে কুঠারের আঘাত হানার কোন ইচ্ছে নিয়ে এই লেখা লিখতে বসিনি । যে ফেয়ার এ্যান্ড লাভলীর বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ আনলাম...নারী অধিকার...সমঅধিকারের কথা আমরা যতই বলি না কেন বিয়ের সময় পকেটের টাকা সাধারণত ছেলেরই যাচ্ছে মেয়ের নয়। স্বামীর টাকা স্ত্রীর টাকা বটে কিন্তু স্ত্রীর টাকা স্বামীর টাকা নয় । এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে সমঅধিকারের কথা বলা আর হিপোক্রেসি করা একই কথা । বাস্তবে দেখা যায় কোন মেয়ে ঘরে থাকলে তাকে নিয়ে বাজে কথা উঠছে না, বরং তার পরিচয় গৃহিণী, হাউজ ওয়াইফ বা হোম মেকার কিন্তু কোন কারণে ছেলেটি বিয়ের পর ঘরে থাকলে কিন্তু তাকে শুনতে হচ্ছে অনেক নিন্দনীয় কথা ।
যাকগ ধান ভানতে শীবের গীত না গাই...আপনারা যাই বলুন ফেয়ার এ্যান্ড লাভলীর এই সমঅধিকার নিয়ে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটিকে আমি বাহবা দিবই...এতেও যদি কন্যা তোমার মাথায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে অন্যের কাঁধে চড়ার জন্যে বিয়ের চিন্তা ভর না করে।

মেরিল স্প্লাস...অনেককেই এই বিজ্ঞঅপনের বিরুদ্ধে বহুত কথা বলতে, লিখতে দেখেছি । বিজ্ঞাপনে তিশার মেকাপ নিয়ে কথা বলাটা আমার কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে । কেননা বিজ্ঞাপনের মেসেজটাই আসল । ফর্সা নয় বরং পরিস্কার ত্বক ...এমনই কি হওয়া উচিত নয় ?

বিকাশে টাকা লেনদেনের কথা এখন আমরা লাখো, কোটি মানুষ জানি । কিন্তু বিজ্ঞঅপনটি খেয়াল করেছেন ? কেউ টাকা শোধ করে, কেউ লেনদেন করে, কেউ ফোনে টাকা বিকাশ করে । আর বউ সেজে থাকা নারী ইন্টারেস্ট পায় ! এই ইন্টারেস্ট পাওয়াটাকে কি দেখানো যায় না যে বিয়ের আগে তার কোন কাজের জমানো টাকা থেকে সে ইন্টারেস্ট পায়...

প্লাস্টিকের বিজ্ঞাপন...বেঙ্গল প্লাস্টিক...নারীর ক্ষমতায়ন যতই হোক, শিক্ষায় ক্ষমতায়ন, অর্থনীতিতে ক্ষমতায়ন, রাজনীতিতে ক্ষমতায়ন...কিন্তু সিদ্ধান্তে কি সত্যিই ক্ষমতায়ন হয়েছে ? আমি নিজে পড়াকালীনসময়ে তথ্য জোগার করেছিলাম...যেই লাউ সেই কদু । কাজেই নারীতো প্লাস্টিকের মতোই...কিন্তু না বর্তমানে নারী নিজের সিদ্ধান্তে এগিয়ে যাচ্ছে...বেঙ্গল প্লাস্টিকের মেসেজটি আমার ভালো লেগেছে ।

আচ্ছা মনে করতে পারছিনা আমাদের জনপ্রিয় গায়িকা মমতাজের  কোন  বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন ...সেই বিজ্ঞাপনে বালকটি বালিকাকে ছ্যাঁকা মেরে পগাড় পার...বালিকা তো মনের দুঃখে বনে যায় অবস্থা...মমতাজের দেয়া বিস্কুট খেয়ে বালিকা নতুন প্রেমিকের সন্ধান পেয়ে যায় । কী রে বাব্বা ! ছ্যাকা খেয়ে আবার প্রেমই করতে হবে ?...বিস্কুট খেয়ে মেয়েটি পারতো না নতুন উদ্যমে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশিশ্ট কেউ হয়ে উঠতে ? নাকী পুরুষ বিজ্ঞাপন নির্মাতারা নারীকে সফল দেখতে চাননা ?  

বিজ্ঞাপনে "ভাবী" শব্দটি প্রচার করে নারীর আত্মপরিচয় যে ডুবে যাচ্ছে তা কি নারী নিজেও ভাবে ? ভাবলেতো স্কুলগুলোর সামনে "ভাবী" সম্বোধনের ছড়াছড়ি থাকতো না । আমার বরকে চিনোনা তুমি আবার আমাকে ভাবী ডাকছো কনো গো? আজকাল দেখি ছোট বাচ্চারাও নিজের মাকে ভাবী ডাকছে !
বিজ্ঞাপনে নারী পণ্য এমন কথা বলতে আসিনি... বিজ্ঞাপনগুলো নারীর মেধা, সাফল্য গাঁথাকে তুলে ধরুক...হ্যাঁ উঠে আসছেও অনেক ভালো মেসেজ তবে অনেক কম...নারীর পিছে পিছে গান করেনারীকে পটানোর নামে ইভটিজিংকে উৎসাহিত না করে আরো অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব ।

মিডিয়া ওয়ালারা আপনাদের দায়িত্ব অনেক...সেন্টিমেন্ট দিয়ে আমাদের বশ করুন...তবে তা যেনো আমাদেরকে প্রতারিত না করে বরং ভালো কাজে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে । 

সোমবার, ২২ জুন, ২০১৫

ঘুরে এলাম পাহাড় ঘেরা গজনী!

ডাইনোসরের সাইজেই বানানো এই বিশালাকার ডাইনোসরটি !
সাইট ভিউ টাওয়ার থেকে ক্যামেরার চোখে...বাস্তবে তা আরো নয়ন জুড়ানো !

অনেক উঁচু থেকে ক্যামেরার চোখে এর প্রকৃত সৌন্দর্যের তেমন কিছুই ধরতে পারিনি ।



চারদিকে ইট, কাঠ, পাথর নয় বরং সবুজ আর সবুজ !

চাইলে এই টাওয়ারে উঠার পথের দোতলাতেই দূরবীন ভাড়া করতে পারেন নাম মাত্র খরচে ।

এই বাণী পড়ে কতজন মানেন জানিনা ।

কাছ থেকে দেখে মনে হয়েছে গাছ কেটে তার মধ্যে এই নেমপ্লেট লাগানো হয়েছে ।

কাউকে খুঁজে না পেয়ে জানা হয়নি এর সম্পর্কে বিস্তারিত

শ্রদ্ধা নিবেদনের স্থান

বাহ ! প্রিয় নজরুলকেও সেখানে খুঁজে পেলাম ।

কল্পনার বিস্তারে মৎস্য কন্যাও হাজির !

বাণী চিরন্তণ

পাহারা পার হয়ে বাস্তবিকই বিনা টিকেটে উঠা সম্ভব না !

জিরিয়ে নেয়া যেতে পারে এই দ্বীপটিতে

ম্যাপ দেখে বুঝে নিন কোথায় আছেন ...

পথ খুব অল্প ! কিন্তু অন্ধকার যে সত্যিই ভয়ঙ্কর তা এই পাতালপুরীতে না ঢুকলে বোঝার উপায় নেই !
গজনী ! বৃহত্তর ময়মনসিংহের শেরপুরের প্রান্তে পাহাড় ঘেষা অপরূপ এলাকা এই গজনী। যার পাশেই রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত ।  বলে রাখা ভালো যে যারা পরবর্তীতে যাবেন তারা চেষ্টা করবেন নিজেদের সাথে খাবার নিয়ে যেতে । যদিও ভ্রমণে গেলে ভ্রমণের মানসিকতা নিয়ে যাওয়াই ভালো ।
১২ জুন ২০১৫

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০১৫

Sleeping Beauty


না, এ কোন রূপকথার ঘুমন্ত রাজকন্যা নয়। তেতো বাস্তবেরই এক সুন্দরী। যাকে জীবনের প্রয়োজনে করতে হয় বেশ কিছু অড জব।
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান সিনেমা Sleeping Beauty ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া লুসি যে কফি শপে কাজ করে, ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল ল্যাবের রিসার্চ সাবজেক্ট এবং বারের আগতদের কারো কারো সেক্স পার্টনার হিসেবে পুরো সিনেমা জুড়ে শান্ত, চুপচাপ, নির্বিকার একটি চরিত্রকে দেখানো হয়েছে । কিন্তু যখন সে তার শয্যাপাশে একজন মৃত বুড়োকে দেখতে পায় তখনই কেবল তাকে ইমোশনাল হতে দেখা যায় বিশেষভাবে। যা ঘুমন্ত সুন্দরীকে জাগিয়ে
তোলার রূপক হিসেবে কাজ করেছে।

বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫

Sleeping with the enemy

শুচিবায়ুগ্রস্থ অবসেসিভ কমপালসিভ পারসোনালি ডিজঅর্ডারে ভোগা মার্টিনকে সুখি করা সত্যি খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার বেচারী লরার জন্যে। মানসিক অত্যাচারতো বটেই আকর্ষনীয় প্রতিবেশীর প্রতি স্ত্রীর আকর্ষণের মিথ্যে সন্দেহে শারীরিক অত্যাচার একজন দাসের স্বাধীনতাকেও হার মানায় ।

স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে
কে বাচিতেঁ চায়?



আর তাই নতুন জীবন পেতেই লরা নিজেকে হারিয়ে ফেলে।
স্বামী মার্টিনের কাছে মৃত লরা নতুন জীবন গ্রহণ করে "সারা" নামে এবং নতুন পরিবেশে নতুন প্রতিবেশী বেন এর সাহচর্যে নতুন জীবনের স্বাদে যখন সুখের মুখ দেখতে শুরু করলো ততদিনে মার্টিন জেনে গেছে তার স্ত্রী লরা জীবিত।

We will always be one. Nothing can keep us apart.
মার্টিনের যতই ভালোবাসা থাকুক লরার প্রতি কিন্তু বেশি চিপলে লেবু তেতো হয়ে যায়...তেমনি লরাও  স্বামী মার্টিনের অত্যাচারে ভালোবাসাকে তুচ্ছ করতে পেরেছিল।

I can't live without you. And I won't let you live without me.
মার্টিন কথাটা ভালোবাসা থেকে বললেও আদতে পৃথিবীতে অত্যাচারীরা শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনা।  ভোগা স্বামী মার্টিনও পারেনি। টিকে থাকে শান্তি প্রিয়রাই।

অতঃপর তাহার সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল...
কাহারা ?
লরা মানে সারা এবং বেন ।

Sleeping with the enemy  থেকে নেয়া স্থির চিত্র।
-----------------------------------
এই হলিউড সিনেমাটি ১৯৯১ সালে মুক্তি পায়। পরবর্তীতে একই ঘটনার একটা বলিউড সিনেমা মুক্তি পায় "অগ্নিসাক্ষী" নামে । যা নানা পাটেকর, মণিষা কেরালা এবং জ্যাকিশ্রফ অভিনীত।
-----------------------------------
সিনেমার নাম Sleeping with the enemy-ই কেন রাখা হলো ? এমন প্রশ্ন যখন মাথায় ঘুরছিল তখন একটা ইমেজ চোখে পড়লো যার ক্যাপশনে লেখাছিল Marriage is the only war, during which you sleep with your enemy ...বাহ বেশ জবাব তো !

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

মে দিবসের ভ্রমণ ২০১৫











রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫

অবদমিত অভিমান: পরের কথা


ইদানিং অনেক কথাই মনে আসে কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারছি না ।
সেই আগের মতো অবস্থা হয়েছে। চোখের সামনে, মনের ভেতর পুরো কাহিনী সিনেমা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমি গুছিয়ে লিখতে পারছি না !
আমি গুছিয়ে লিখতে পারছি না শাহানা এসেছিল। প্রতিরাতেই সে আসতো মায়ার কাছে। ওর নির্ঘুম রাতগুলিতে মায়ার বুকই ছিল ওর ঘুমের আশ্রয়স্থল। অষ্টাদশী এক অবুঝ কিশোরীর মতো মায়ার বুক খামচে ধরে অবলীলায় ও ঘুমিয়ে পড়তো ।
ভাবছেন ও মায়ার বুকে ঘুমিয়ে পড়তো আর মায়ার বাসার কেউই দেখতো না !
কী জানি ব্যাপারটা গোলমেলে আমার কাছেও।
মায়া কখনো আমায় বলেনি শাহানার কথা । কিন্তু শাহানার ডায়েরিটা আমি পেয়েছিলাম, সেখানে শাহানার সুখভরা স্বপ্নগুলোর কথা লেখা থাকতো । লেখা থাকতো ভালোবাসার সুখের সাগরে ওর ভেসে বেড়ানোর গল্প।
মায়া খুব পড়ুয়া ছিল। সবসময়ই কিছু না কিছু করতো । হয় পড়ছে তো পড়া শেষ করে টিভি দেখছে, নতুবা পিসিতে ম্যুভি দেখছে। অথবা গেমস খেলছে অথবা গল্পের বই পড়ছে নয়তো জিআরই-র পড়া পড়ছে। শাহানা ওর কোন কাজেই ব্যাঘাত ঘটায় নি। ও শুধু বিড়ালের মতো মায়ার সাথে ঘুরে বেড়াতো । রাত বাড়তে থাকলে শাহানা ঘুমে ঢুলতে থাকতো । মায়াই তখন ওকে বুকে নিয়ে "সফট কিটি ওয়ার্ম কিটি" গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিত। ভাবছেন বুকে নিয়ে ঘুম পাড়াতো শুধু আর কিছু করতো না ? আর কিছু হতো না ওদের মাঝে ?
হতো তো ... মায়া গান গেয়ে কপালে চুমু দিয়ে দিত । আর বিড়ালের মতো আহলাদ করে শাহানা ঘুমিয়ে পড়তো ।
ওদের মনের ভেতর কী ছিল জানি না। তবে শাহানার ডায়েরিতে এর বেশি কিছু লেখা থাকতো না।
ডায়েরির পাতা উল্টাতে উল্টাতে এক জায়গায় লেখা ছিল (তারিখ দেয়া ছিল না) " আজ মায়ার আলাভোলা, নিষ্পাপ, মায়ায় জড়ানো হাতটা আমার হাতে নিলাম। হ্যাঁ, ভরসা দিতেই, আমি আছি তোমার পাশে..."
এই কথা পড়ার পর ওদের দু'জনের কোন নিষিদ্ধ সম্পর্কের কথা মনে আসে নি। যে হাত নিয়ে শাহানা নিষ্পাপ অনুভবের কথা বলেছে সেই হাতের মানুষটির সাথে ওর পাপহীন সম্পর্কটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছিল ।
মাঝে মাঝে শাহানা চটুল দুষ্টুমিতে মেতে উঠতো, হয়তো মায়াকে বিব্রত করতেই। কিন্তু বিব্রত হতে থাকা মায়াই যে একসময় এই বিব্রতবোধ থেকে মুক্তি চাইবে, বা নিজে থেকেই মুক্তির পথ খুঁজে নেবে, কে জানতো ?
ডায়েরিতে পাতার পর পাতা শাহানার হাহাকারে ভরা ছিল। চোখের পানিতে অনেক লেখাই অস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ।
মায়া ওর রুমে যেতে শাহানাকে বারণ করেছিল । শাহানা ওর দরজার পাশে রাতের পর রাত দাড়িয়ে ঢুলতো আর ভোর হলে চলে আসতো। এভাবেই রাতের পর রাত চলতে থাকার কোন এক ভোরে চলে আসার আগে মায়াদের বাসার ডোর বেল বেজে উঠলো। ফিরে আসার মুখে শাহানা বেল শুনে চমকে উঠলো ।
এর পর শাহানার ডায়েরিতে আর এ বিষয়ে লেখা পাইনি।
শুধু পরের দিনে লেখা ছিল, "মায়া, এই জীবনে আমায় যে মানুষটি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা দিয়েছিলো সে তুমি। আমাকে এমন করে এর আগে আর কেউ ভালোবাসে নি। এমন সোহাগ করে কেউ বুকে জড়িয়ে গান গেয়ে, কপালে চুমু দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয় নি। সেই আমি কেমন করে আর কাউকে তোমার ভাগ দেই বলো?"
মায়ার কাছে আমি জিজ্ঞেস করতে পারিনি কিছুই, কী ঘটেছিল সেই দিন।
কিন্তু ...শাহানা আত্মহত্যা করেছিল ২০শে ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে!
আমি খুব অবাক হয়েছিলাম! এমন একটা সুইডাইডাল কেস কোন দৈনিকের শিরোনাম হলো না কেন ?
কিন্তু আমার বিস্ময়ের বাকী ছিল !
শাহানা আত্মহত্যা করেছিল ২০০০ সালে! তখন দৈনিক সংবাদ পত্রে শাহানার লেখা চিঠিও ছাপা হয়েছিল।
তাহলে এতোদিন পরে ?!
মায়ার কাছে......... ...?

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites