ম্যুভি রিভিউ- "দ্য স্পীড"

অনেকদিন পর বলাকায় গেলাম বাঙলা সিনেমা অনন্ত জলীল অভিনিত ম্যুভি "দ্য স্পীড" দেখতে। সিনেমা শুরুর আগে পর্দা সরে গেল সিনেমা হলের এবং স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় সংগীত মিউজিকে পরিবেশন । কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম প্রায় ৩০% দর্শক সে সময় বসা থেকে উঠার নাম পর্যন্ত করেনি এই কয়েক মিনিট দাড়িয়ে জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শণ করতে। সিনেমার শুরুই হলো বেশ দারুন সাউন্ডের ইফেক্ট দিয়ে। "দ্য স্পীড" নামটিকে সার্থক করতেই হয়তো।

১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসের কোন একদিন

মানুষের জীবনে বোধ সঞ্চারের এক নির্ভেজাল উপাদানের নাম কবিতা। কবিতা কখনো মানুষের মনকে রাঙিয়ে দেয়, কখনো বদনার কালো রঙ ঢেলে উপলব্ধিগুলোকে সতেজ করে তোলে; জীবন দর্শনের পথকে করে প্রশস্ত।

নারী-পুরুষ নিয়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলি

'জেন্ডার' শব্দটি মুলত নারী ও পুরুষ উভয়কেই বোঝায়, বোঝায় নারী-পুরুষকে নিয়ে বৈষম্যহীণ সমাজের, রাষ্ট্রের কথা। সংস্কৃতি ও সমাজ নারী ও পুরুষ সম্পর্কে যে সব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ গড়ে তোলে, ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করতে শেখায়, কিংবা ভুমিকা পালন করতে বলে, সেসবই হচ্ছে জেন্ডার।

সৌদি নারী...অতঃপর রোকেয়া

যদি আজ থেকে প্রায় একশ বছর পেছনে তাকাই বেগম রোকেয়ার (রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন১৮৮০-১৯৩২) জীবনে যিনি সৌদি নারীদের মতো প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাননি কিন্তু তার দেখানো আলোতে এখনও আমরা পথ দেখি।

নারী....আর কতোকাল রবে শুধুই অর্কিড হয়ে!

প্রচলিত ধ্যান-ধারণা হচ্ছে নারী হবে নরম-কোমল, সর্বংসহা (মাতা), মনোরঞ্জনকারিনী (বধূ)। তারা থাকবে অন্দরমহলে। আর তাই প্রবাদে শোনা যায়... 'ঝি নষ্ট হয় হাঁটে, বউ নষ্ট হয় ঘাটে'।....অর্থাৎ ঝি কে হাঁটে-বাজারে-মার্কেটে পাঠানো যাবে না আর বউকে পুকুর ঘাটে পাঠানো যাবে না (যদিও গ্রাম এলাকায় পরিবারের পানির যোগান দাতা সাধারণত নারীই)।

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

কথকতা

►কোন সম্পর্কে হিসেব নিকেশ করলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।

►সম্মান অসম্মানের হিসেব করলে সম্পর্ক এমনিতেই দূর্বল হয়ে যায়।

►সত্যিকারের ভালোবাসার রূপ মাঝে মাঝে বড্ড রূঢ়ও হয়ে থাকে।


►কাছের দৃশ্যমান মানুষ কী অদ্ভুতভাবে দূর থেকে দূরে অদৃশ্য হয়ে যায়!

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

ফটোগ্রাফি : বিজয় ভ্রমণ



আমাদের আজকের বিজয় দিবসের ভ্রমণ ছিল ঢাকার সদর ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে মুন্সীগঞ্জ।
লঞ্চের সারেং যে কম্পাস ব্যবহার করেন।

সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

জেনো কাকতালীয় নয়...

কাকতালীয় সবসময় কাকতালীয় নয়
তোমার যখন মন পোড়ায় বুঝে নিও
আমিও পুড়ছি।।

ঘুমোতে চাই...


তোমার ওই বুকের জমিনে
একটি বিছানা পাততে চাই
কতো কাল আমি ঘুমাই না
আমার ঘুমোনোর জায়গাটা রেখো।।

♣বই প্রকাশের আদ্যোপান্ত♣





সুপরিচিত মাধ্যমে নিজের লেখাটি দেখতে সাধারণত সকল লেখকেরই কাম্য হতে পারে । আর সেই লেখাগুলি বই আকারে প্রকাশিত হলে তা লেখকের লেখার উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় অনেকগুণ।

♣সহব্লগারদের যে সব বই পড়লাম♣

ভার্চুয়ালি নিজের লেখাগুলোর উপস্থাপন, মূল্যায়ন একভাবে হলেও প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত কাগুজে বইয়ের গুরুত্বই আলাদা ।একজন লেখকের নিজের সৃষ্টির পরিপূর্ণ আনন্দ পাওয়া সম্ভব প্রকাশিত বইয়ে ।

২০১৪ বইমেলা থেকে বেশ কিছু বই কিনেছি । দু'টি বই সৌজন্য সংখ্যা হিসেবেও পেয়েছি। তার থেকে কিছু বই নিয়ে খুবই অল্পকথায় কিছু বলার চেষ্টায় এই পোস্ট ।

একটু উষ্ণতার জন্যে...

বর্ষা গেছে চলে,
তোমার ব্যাগের ভেতরে লুকানো ছাতি আর চাইবো না ।
শীতের আমেজে একটু উষ্ণতা চাই...
তোমার বুকের ছাতিতে আমায় একটু দিও ঠাঁই ।

"সাক্ষী"- সোনালী অতীতের সিনেমা

শাহনাজ রহমতুল্লাহর কন্ঠে, ববিতা অভিনীত "সাক্ষী" সিনেমার
পারি না ভুলে যেতে, 
স্মৃতিরা মালা গেঁথে
হারানো সেই পৃথিবীতে ডেকে নিয়ে যায়
আমারে কাঁদায়...আমারে কাঁদায়।।

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৪

বই রিভিউ: মোহাম্মদ ইসহাক খান-এর "অদ্ভুত অবসর"

আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তরুণ গল্পকারদের মধ্যে ছোটগল্পে মোহাম্মদ ইসহাক খান নির্দ্বিধায় নিজের জায়গা দখল করে নিবেন এ বেশ জোর দিয়েই বলা যায় । বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়ণরত তরুণ এই লেখক গল্প, অনুগল্প, কবিতা লিখলেও লেখালেখির প্রধান ক্ষেত্র ছোটগল্প। রচিত ছোটগল্পের সংখ্যা ৫২৯ টি (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী) । সহজ, সরল, প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপনা এবং গল্পের প্লট, চরিত্র, ঘটনা, ভাবনা ইত্যাদিতে ক্রমাগত বৈচিত্র্য সৃষ্টির চেষ্টা তাঁর লেখার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাধারণ আটপৌরে স্থান থেকেই তাঁর গল্প মানুষের এবং জীবনের সাদাসিধে গল্প।

 বই নিয়ে কিছু কথা
♦ প্রকাশক এ.বি.এম হেলালের আন্তরিকতার ছোঁয়া রয়েছে প্রকাশনাটিতে।


♦ প্রচ্ছদকার মোস্তাফিজ কারিগর বইয়ের নামকরণের সাথে মিল রেখে দৃষ্টিনন্দন একটি প্রচ্ছদ উপহার দিয়েছেন।

♦ বোর্ড বাঁধাই, পোস্তানী সহযোগে আট ফর্মার বইয়ের বাজারমূল্য ২০০ থেকে ২৪০ টাকা হতে পারে । সেক্ষেত্রে বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে ২০০টাকা পাঠকের জন্যে সহজলভ্য হয়েছে। 

♦ শব্দচয়ণে লেখক যথেষ্ট যত্নবান ছিলেন । তবে বর্তমান সময়ে ইংরেজীর বদলে ইংরেজি এবং ইংরেজি মাসের নামগুলোতে দীর্ঘ ইকার এর ক্ষেত্রে হ্রস্ব ইকার চালু হচ্ছে । আশা করা যায় ভবিষ্যতে লেখক নিজেও নিজের লেখায় এই বর্তমান ধরণটিকে চালু করবেন।

♦ আকর্ষণীয় গল্পগুলোতে কোন সুরসুরি মূলক ভাবাবেগের প্রকাশ ঘটেনি এবং যথেষ্ট শালীন, রুচিশীল শব্দচয়ন যে কোন বয়সী পাঠককেই পড়তে আগ্রহী করে তুলবে।

বইয়ের সংকলিত গল্প গুলো থেকে অল্প কয়েকটা সম্পর্কে নিজের কিছু মতামত এবং পছন্দের কিছু লাইন তুলে ধরলাম ।

২১ টি ছোটগল্প নিয়ে এক অসাধারণ গল্প সংকলন "অদ্ভুত অবসর" ।

"A person who demands perfection in his friends is bound to be friendless."
"...বন্ধুত্ব, সম্পর্ক বিষয়গুলোকে অর্থহীন মনে হয়..."
একা গল্পে এভাবেই একা মানুষের অসহনীয়, অস্বাভাবিক ভাবনা ধরা পড়েছে লেখকের লেখায় ।


দাবাড়ু লেখায় দাবার প্রতি লেখকের আধিপত্যের প্রভাব রয়েছে নিখুঁতভাবে । কখনো বুয়েটের দাবা চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মোহাম্মদ ইসহাক খানের নাম শুনলে অবাক হবো না নিশ্চিত ।
বুয়েটের চার দেয়ালেই লেখক নিজেকে সীমাবদ্ধ করে রাখেন নি । আইন/সম্পর্ক নিয়ে লেখা তাঁর ফাঁসি, ডাক্তারী বিদ্যা নিয়ে লেখা দারুন গল্প  স্মৃতি

উপহার পিতা-পুত্রের সম্পর্ক, প্রত্যাশা নিয়ে ছুঁয়ে যাওয়া একটি লেখা ।

"বিয়ে মানে হলো জীবনের পূর্ণতা" আধুনিক পদ্ধতিতে জীবন সঙ্গিনী অনুসন্ধান-এর মেসেজটি দারুণ লেগেছে।
আমরা দশটা বেছে বিয়ের মতো সম্পর্কের কল্পনা করলেও বাস্তবতা দিয়ে অনেক সময়ই নিজেদের যাচাই করে দেখি না ।

মা'কে খুঁজছি তে "খুশির দিনটিতে কারো উপর রাগ পুষে রাখবেন না" কথাটা পড়ে মনে হয়েছে সবাই যদি এমন হতো কতো ভালোই না হতো ।

জনৈকা মাতাতে একজন পুরুষ হয়ে কথক হিসেবে গল্পকার নারী চরিত্র চিত্রণের দুঃসাহসী রূপটি অসাধারণভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন ।
"স্বামীর কাছে প্রতারিত হবার ব্যাপারটি মেয়েদের খুব আঘাত করে"

"... ... রাগারাগি করতে সাহস লাগে, পায়ের নিচে শক্ত মাটি লাগে"

"দারিদ্র শুধু কষ্ট দেয় না মনটাকে ছোটকরে দেয়"

"সব সুখ একপেশে দুঃখ বৈচিত্রময়"এই সার্থক ছোট গল্পটি পড়তে পড়তে পাঠকের চোখ সহসাই ভিজে উঠবে ।

তৃতীয় ব্যক্তি
তে "নিজেকে প্রকাশ করতে না পারার কষ্ট বড় ভয়ংকর" খুব বাস্তব কথাটাই লেখক তার গল্পের পাত্রের মুখ দিয়ে বের করে এনেছেন।



মৃত মানুষ হয়ে উপস্থাপন করা বিস্মরণ পড়া শেষে বুকের ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে । প্রিয়/অপ্রিয়জনের মাঝে আমরা বেঁচে থাকতে চাই । এই দীর্ঘশ্বাস যেন সেকথাই জানান দেয় ।

ফেসবুক "...মানুষগুলোর অনেকে মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেউ আবার 'আসল নিজেকে' চেনাবার প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছে। হয়তো নিজেকে লুকিয়ে ফেলা সত্যিই সহজ হয়ে গেছে। "

"খোদা না করুন, আমাকে যেন কেউ বুঝে না ফেলে"-মীর্জা গালিব

মারফি'স ল' মোহাম্মদ ইসহাক খানের এক কথায় অসাধারণ এক লেখা । গল্পকারের ভক্ত হওয়ার জন্যে বোধ করি এই এক লেখাই যথেষ্ট । যদিও তার নিয়মিত পাঠকগণ এমন অসাধারণ অনেক লেখারই সন্ধান পেয়ে থাকেন ।

গল্পটি আগে পড়েছিলাম, সত্যি বলতে কি বুকের ভেতর বাস করা এক অবুঝ কিশোরী এই গল্পটির নায়কের প্রেমে পড়েগিয়েছিল তখন থেকেই যখন মুগ্ধ পাঠক এই আমি নিরস প্রেমের গল্পটি পড়েছিলাম । বইটি থেকে বেশ কিছু লেখা পড়ার পর এই লেখাটিই খুঁজতে শুরু করেই পেয়েগেলাম আর মনে মনে গল্পকারকে ধন্যবাদ দিলাম উনার গল্প সংকলনে এই বিশেষ লেখাটিকে স্থান দেবার জন্যে ।
শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' থেকে কোট করা মহান উদ্বৃত্তি " বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না দূরেও ঠেলে দেয় ।"
 আর রয়েছে গল্পকারের নিজস্বতা "প্রেম মিলনে মলিন হয়, বিরহে অমর"

কে? গল্পটিতে অন্তর্জালের পরিচয়, মিলন, বিরহ সম্পর্কে লেখা এই গল্প পুরোটা শেষ করার আগে ধঅরণা করার সম্ভব নয় এর পরিণতি কী হতে যাচ্ছে । গল্পকারের বিশেষ দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায় এই লেখাটিতে ।
এই লেখাটির স্বত্ত আমার থাকলে অন্তর্জালের হারিয়ে যাওয়া প্রিয় বন্ধু 'ডেভিড'কে উৎসর্গ করতাম ।

  বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নাম:  অদ্ভুত অবসর
লেখক : ইসহাক খান
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি  ২০১৪

প্রকাশক: এ.বি.এম. হেলাল
রাঁচী গ্রন্থনিকেতন, ৮২ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫

ISBN: 987-984-90751-6-5
মূল্য: ২০০ টাকা
প্রাপ্তিস্থান: রাঁচী গ্রন্থনিকেতন, ৮২ কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স,
২৫৩-২৫৪ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
 

►রকমারীতে "অদ্ভুত অবসর"

►অদ্ভুত অবসর এর ফেসবুক পেজ

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

এক নজরে প্রিয় নজরুল



১. চির উন্নত মম শির



নজরুলের লেখা আমার খুব প্রিয় একটা কবিতা দিলাম।

চৈতী হাওয়া

১৩৩২ বৈশাখ: কল্লোল
চৈতি হাওয়া

হারিয়ে গেছ অন্ধকারে-পাইনি খুঁজে আর,
আজ্‌কে তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার!

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৪

♣বিবর্তন : আশা জাগানিয়া ফটোগ্রাফি♣

সবাইকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে শুরু করছি । একজন স্বপ্ন দেখতে, আশায় জাগতে ভালোবাসা মানুষের জীবনের ফটোগ্রাফির বিবর্তনের ইতিহাস ।

প্রথমেই বলে রাখি , 'ফটোগ্রাফ' শব্দটা বিদেশী হওয়ায় তাতে 'ফটোগ্রাফী'  যে লেখা হয়, তা ভুল । বরং শুদ্ধ বানান হবে 'ফটোগ্রাফি' ।
সূত্র: বানান সতর্কতাঃ "হ্রস্ব ইকার এবং দীর্ঘ ঈকার"



হেনরি কার্টিয়ের ব্রেসন বলেছেন “আপনার প্রথম ১০,০০০ ছবি হলো আপনার তোলা সবচেয়ে খারাপ ছবি।”

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০১৪

প্রতিদান


সারাবছরে একবার মাত্র আসিস, অথচ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় প্রতি সপ্তাহে আসতিস।মাঝে মাঝে একটু দেখে যেতে পারিস তো!

বাবার পেনশন থেকে মায়ের দিব্যি চলে যাচ্ছে, একা মানুষের খরচ আর কতো? তবুও মা কেন যে আমার কাছে থেকে বাড়তি কিছু আশা করে? সত্যিই অবাক লাগে! মাস শেষ হতেই বাড়ি ভাড়া, ড্রাইভারের বেতন, বাচ্চাদের স্কুলের ফি, বউয়ের হাতখরচ, বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে একটা বাজেট রাখতে হয়

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০১৪

বই রিভিউ- রিদা খানের "বন্ধু আমার"


পেশাগত জীবনে  এমবিএ করা University of Phoenix এর Hawaii Campus-এ করপোরেট লিডারশিপ লেকচারার মেধাবী রিদা খান-এর "বন্ধু আমার" শুরুটা খুব সাধারণ এক গল্পের মতো। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমরা যেভাবে শব্দ প্রয়োগ করি, রিদা খানের গল্পের পাত্র-পাত্রীরা সেভাবেই কথোপকথনে এগিয়ে গেছে। একটা সময় খেয়াল করলাম বইটা অসমাপ্ত রেখে ঘুমাতে যেতে পারছি না।

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০১৪

শখের ফটোগ্রাফি: ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া

সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে

শিখা চিরন্তন-১

বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০১৪

শখের ফটোগ্রাফি: প্রকৃতির কোলে ঈদ

ঈদের ছুটিতে প্র্রকৃতির ঘ্রাণ নিতে ঢাকার খুব কাছেই মুন্সিগঞ্জ থেকে ঘুরে এলাম এক দুপুর। ঢাকা থেকে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে ড্রাইভিং করে ব্রিজের টোল পার (৪০ টাকা) করে, মাঝে থেমে কোন চায়ের দোকানে চা, বিস্কুট খেয়ে  মাত্র এক ঘন্টার পথ।
বর্ষার সময় চলার পথ পানিতে তলিয়ে গেলে পারিবারিক প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হয় নৌকা। 

রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৪

উত্তরাধুনিক কথকতা

১. লোহা যেমন নিত্য ব্যবহার না করলে মরচে পড়ে যায়,

ভালোবাসাও তেমনি যত্ন না পেলে অপরিচিত হয়ে যায়...

২. ভালোবাসার অস্তিত্ত্ব মরে না...পারিপার্শিকতায় শুধু রং বদলায়...

৩. বিবাহের সম্বন্ধে পাত্রের যোগ্যতা লাগে পেশা আর অর্থনৈতিক অবস্থা (যা সে অর্জন করেছে)
পাত্রীর যোগ্যতা লাগে গায়ের রং, চেহারা আর পরিবার ...(যা তার নিজের অর্জিত নয়)

৪.প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করলেই যে, আদর্শ শিক্ষক/প্রশিক্ষক হতে পারবে, কথাটি পুরোপুরি সত্য নয় ।
বরং একজন আদর্শ শিক্ষক তার শিক্ষা জীবনের কোন পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হতেও পারেন ।

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

শৈশবের ইদ


শৈশবের ইদ সম্পর্কিত সকল পরিকল্পনা হতো দাদার পুকুরপাড়ে। এই পুকুরপাড় ঘিরেই আছে আমাদের অনেক অনেক স্মৃতি, সেকথা না হয় আর কখনো বলবো।

আমি তখন প্রথম অথবা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। সেবার ইদ করেছিলাম নানাবাড়িতে।

সময়: সকালের পর/দুপুরের আগে
রিমা (বড় খালার ভাড়াটিয়ার মেয়ে, আমার চেয়ে দুই/তিন বছরের বড়) : খালাম্মা, পনিরে নিয়া ঘুরতে যাই ?
আম্মা: রিমা,তাড়াতাড়ি আইয়া পড়িস কিন্তু।

বাইরে প্রচন্ড রোদ। রিমা আপার সাথে হাঁটছিতো হাঁটছিই। অনেকক্ষণ হাঁটার পর-
রিমা: পনি, সিদ্ধ ডিম খাইবা ?
পনি: রিমা আপা, পানি দেও।
রিমা: আগে ডিম খাও, পরে ডিমওয়ালার কাছ থেইক্কা পানি নিয়া দিতাছি

ডিম খেয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম আমরা।
কোথায় বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে জানি না। কতোক্ষণ হেঁটেছি জানি না, তবে এক দেড় ঘন্টা পর রিমা আপা এক বাড়ির সামনে দাড়াল যেখানে মাংস বিলি করছে। ভাবলাম ওই বাসায় বেড়াতে যাবে। কিন্তু কিসের কী !
ও তো মাংস চাইতে দাড়িয়েছে ওই বাসার গেটের কাছে ! আমি লজ্জায় পাশের দেয়ালে সেটে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছি। বাড়ি ফেরার পথও চিনি না যে একা ফিরে আসবো।

এর পর থেকে ওর সাথে আর মেশার স্মৃতি আমার মস্তিষ্কে নেই।
ফেরার পর কী হয়েছিল তাও আর মনে নেই।


ছবি সূত্র:
নিজ এ্যালবাম
নোকিয়া ৭০০
১৯ জুলাই ২০১৪

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়

































শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪

ট্রিবিউট টু সুচিত্রা সেন

Suchitra Sen.jpg



জন্ম: ৬ এপ্রিল ১৯৩১
পাবনা, বাংলাদেশ
মৃত্যু : ১৭ জানুয়ারি ২০১৪

সুচিত্রা সেন অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা
সাড়ে চুয়াত্তর (১৯৫৩)
ওরা থাকে ওধারে (১৯৫৪)
অগ্নিপরীক্ষা (১৯৫৪)
শাপমোচন (১৯৫৫)
সবার উপরে (১৯৫৫)
সাগরিকা (১৯৫৬)
পথে হল দেরি (১৯৫৭)
হারানো সুর (১৯৫৭)
দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯)
সপ্তপদী (১৯৬১)
বিপাশা (১৯৬২)
চাওয়া-পাওয়া
সাত-পাকে বাঁধা (১৯৬৩)
হসপিটাল
শিল্পী (১৯৬৫)
ইন্দ্রাণী (১৯৫৮)
রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত (১৯৫৮)
সূর্য তোরণ (১৯৫৮)
উত্তর ফাল্গুনি (১৯৬৩) (হিন্দিতে পুনঃনির্মিত হয়েছে মমতা নামে)
গৃহদাহ (১৯৬৭)
ফরিয়াদ
দেবী চৌধুরানী (১৯৭৪)
দত্তা (১৯৭৬)
প্রণয় পাশা
প্রিয় বান্ধবী



'মরনের পরে'
উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন





                                                       'রাজলক্ষ্ণী ও শ্রীকান্ত' (১৯৫৮)
                                                          উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন



'সপ্তপদী'
সুচিত্রা সেন- উত্তম কুমার




'বিপাশা'
উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন




'হসপিটাল'
অশোক কুমার-সুচিত্রা সেন





হিন্দি
বোম্বে কা বাবু
সুচিত্রা সেন-দেব আনন্দ


মুসাফির
সুচিত্রা সেন-দিলিপ কুমার - ঊষা কিরণ



'মমতা'
ধর্মেন্দ্র-সুচিত্রা সেন- অশোক কুমার




তালিকার সুত্র : উইকিপিডিয়া

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites