বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

স্যার, এই পেশায় আপনাকে মানায় না !


বেসিনে মুখে পানির ঝাপটা দিতে দিতে সিক্তার মন  উড়ে গেল সেই সুদুর অষ্ট্রেলিয়ায়  মোনাশ  ইউনিভার্সিটিতে! ...স্যার, কতো দিন আপনাকে দেখি না! মানুষ এভাবে হারিয়ে যায়?! আজব!... হঠাৎ করেই মিনিটখানেকের জন্যে বিষন্নতা ঘিরে ধরলো সিক্তাকে। ওর মধ্যে একধরনের পাগলামী আছে। জীবনে শিক্ষকতা পেশায় যাবে এটা ওর কল্পনাতেও ছিল না। সিক্তার কাছে শিক্ষকতা পেশা হলো চরম স্লো একটা পেশা। মানুষ এ পেশায় এলে অথর্ব হয়ে যায়। মানুষের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হয়ে যায়। এসব ধারণাই ও পোষণ করতো বরাবর।
ছোট বেলায় কাজিনকে দেখেছে ইডেন কলেজের ইতিহাসের প্রফেসর ছিল। নার্গিস আপাকে আত্নীয় স্বজনরা সবাই বেশ দাম দিত। সরকারী কলেজের অধ্যাপক বলেই কি না জানি না। কিন্তু সেই তুলনায় নিজাম ভাইজান যে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্টে পড়েছে তাকে কেউ পাত্তাই দিতো না! অবশ্য ডাক্তারী পড়া কাজিন হেলাল ভাইকেও কেও গনায় ধরতো না।তবে নার্গিস আপা মেয়ে বলেই নিশ্চয় আলাদা দাম পেত। ছোট বেলায় সিক্তা খেয়াল করতো যখন নার্গিস আপা বাসায় আসতো বেশ একটা আনন্দ ঝলমল ভাব দেখতো মায়ের চেহারায়। মাযের সাথে নার্গিস আপার হেব্বি খাতির দেখে সিক্তারও খুব ইচ্ছে করতো মায়ের বয়সের কাছাকছি কাজিনের সাথে ভাব জমাতে। সেজন্যেই সে প্রফেসর নার্গিসকে আপার সাথে "তুমি"টা বেশ জোর দিয়ে ডাকতো। কিন্তু নার্গিস আপার পেশাগত কোন বিশেষত্ব সিক্তার চোখে পড়েনি! শিক্ষকতা পেশা যে নিজের জীবনে গ্রহণ করা যায় তা নার্গিস আপার কোন আচরণে অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো ছিল না। এমনকি হুমায়ুন ভাই যখন বাসায় এসে তার চাকুরীর প্রথম দিনের গল্প বেশ মজা করে বলতো যে ... জানিস আমার স্টুডেন্টরাতো আমার চেয়েও বয়সে বড়!... এসব শুনে সিক্তা আরো অবাক হয়ে যেত। এটা কেমন করে সম্ভব! সেই বয়সে বুঝতো না যে অনার্স শেষ করেই সিভিল সার্ভিসে ঢোকা সম্ভব। তাতে স্টুডেন্টদের বয়সের কাছেই টিচারের বয়স হতে পারে।
পছন্দের আর কোন সাবজেক্ট না থাকায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে সিক্তা এমনিতেই বিরক্ত ছিল। তাদের মধ্যে আবার  সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা হারুন স্যার বা জাহাঙ্গীর নগর থেকে পাশ করা রিপন স্যারও কোন প্রভাব ফেলতে পারে নি। বরং আশফাক স্যারের আচরণে, পড়ানোর ঢঙয়ে এই পেশার প্রতি আরও বিরক্ত ছিল।

দ্বিতীয়বার মাস্টার্স করতে যেয়ে নাজমুল স্যারের ক্লাসে একদিন স্যার সবার সাথে পিচ্চি এক বালককে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সাইদ নিয়াজ , মাত্র দুদিন আগে দেশে ফিরেছেন আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে সেকেন্ড মাস্টার্স করে। উনি নাকি রিসার্চের কোর্সটা নিবেন! সিক্তাতো পুরোই আতঙ্কিত! ...ক্লাসমেট হাবিবকে কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো ..আমার পক্ষে এমন বালকের ক্লাস করা সম্ভব না! সাইদ নিয়াজ এরপর থেকে নাজমুল স্যারের সাথে নিয়মিত ক্লাসে এসে একটা পাশে চুপচাপ বসে ক্লাস দেখতেন। তৃতীয় দিন স্যার ক্লাসে আসার আগেই সিক্তা সাইদ নিয়াজ স্যারের সেই নির্দিষ্ট সিটটি দখল নিয়ে বসলো। সাইদ স্যার চুপচাপ পেছনের একটা সিটে চলে গেলেন। মিচকা হাসি দিয়ে হাবিবের দৃষ্টি আকর্ষন করলো, দেখে হাবিবও শয়তানী হাসি দিয়েই স্যারের পেছনে যাওয়া দেখছে।

রিসার্চের ক্লাসের প্রথম দিনতো সিক্তা সাইদ স্যারের দিকে তাকাতেই পারছে না! মনে পড়ে যাচ্ছে কাজিন হুমায়ুন ভাইয়ের কথা! বয়সে বড় স্টুডেন্ট :( সেই কথা মনে হতেই ঢোক গিললো! সাইদ স্যারও নিশ্চয়ই বাসায় যেয়ে হাসাহাসি করবে! অদ্ভুত! প্রথম দিনই স্যার খুব প্রফেশনাল আচরণ না করলেও অনেক আন্তরিক ছিলেন। দুই তিনটা ক্লাস পার হতেই সিক্তা মন খারাপ করে খেয়াল করলো স্যারকে ওর মনে ধরে যাচ্ছে! ঠিক স্যার হিসেবে নয়! কেমন যেন মায়া লাগছে! এমন স্পীড আছে যার চরিত্রে সে কেন এমন ভেন্দামার্কা একটা পেশায় আসবে!? কয়েকদিন পর স্যারের রুমে গেল রেফারেন্স-এর কথা জিজ্ঞেস করতে। কথায় কথায় সিক্তা মুখ খুলে বলেই ফেললো
:স্যার, এই পেশায় আপনাকে মানায় না! :(
সাইদ স্যার খুব সহজ একটা হাসি দিলো
...কেন? আমাকে কি টিচার মনে হয় না?
: ঠিক তা না স্যার,
ঠোটের কোনে হাসি ঝুলিয়েই বললো
...তবে?

:আপনাকে দেখে যতোটা স্পীডি মনে হয়, এই পেশার সাথে তা যায় না। টিচিং প্রফেশন এতো স্লো! একেবারে কচ্ছপের মতো! 
সিক্তার এই কথা শুনে স্যার সশব্দে হেসে উঠলেন।

এভাবেই সাইদ স্যারের কাছে সিক্তার যাতায়াত বাড়তে থাকে। যখনই স্যারের রুমে যায় সবসময়ই স্যার মগ্ন হয়ে পিসিতে কাজ করছেন! আবার অদ্ভুত অদ্ভুত চায়নিজ গানও শুনেন! পেনড্রাইভের ব্যবহার প্রথমে সাইদ স্যারের কল্যানেই শিখে। অথচ নিজের ঘরেই আরিফ আরো আগে থেকেই অফিসে পেনড্রাইভ ব্যবহার করলেও সিক্তার কোন ধারণা ছিল না। পড়ে ছিল মান্ধাতার আমলের ফ্লপি ডিস্কে। ইউএসবি পোর্ট বলে যে কিছু আছে তা স্যারের কাছ থেকে শুনে বাসায় এসে আরিফকে জিজ্ঞেস করলে আরিফ দেখিয়ে দেয়। অথচ আরিফ উদ্যোগি হয়ে কখনো কিছু সিক্তাকে শিখায় না। আরিফের দর্শন হচ্ছে সিক্তা নিজের আগ্রহে সব শিখবে তবেই তাতে গুরুত্ব থাকবে।
ঈদ, নতুন বছর এসবে সিক্তা বেশ উৎসব করেই স্যারকে কার্ড গিফ্ট করে। এর মধ্যেই মাত্র কয়েকমাস পার হয়েছে। একদিন স্যার হাসতে হাসতে সিক্তাকে একটি ইংরেজিতে লেখা Action Research নামের একটি বই ধরিয়ে দেয়। সিক্তা অবাক হয়ে দেখে বইয়ের কভার পেজে লেখকের নামের জায়গায় সাইদ নিয়াজ নাম লেখা। উচ্ছসিত হয়ে স্যারের অটোগ্রাফ চায় ...কিন্তু সেদিন সাইদ স্যার কোনভাবেই সিক্তাকে অটোগ্রাফ দেয়নি। বেশ রাগ লেগেছিলো স্যারের উপর, কিন্তু করার কিছু নেই। পরে সিক্তা খেয়াল করলো স্যার শুধূ ক্লাসের সবার মাঝে ওকেই সৌজন্য কপি দিয়েছে। এমনকি কলিগ কায়সার আহমেদকেও দেয়নি। কায়সার আহমেদ অবশ্য এ নিয়ে সিক্তাকে খোঁচা দিতে ছাড়ে নি। আর কায়সার আহমেদ স্যারকে দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। উনাকে কখনো পড়তে বা পিসির সামনে সিক্তা দেখেনি। বরং স্টুডেন্টদের সাথে টাঙ্কি মারতেই কায়সার স্যার ব্যস্ত সর্বদা। অনার্সের মেয়েগুলিকে কায়সার স্যারের রুমে ঢোকার আগে নিজেদের কপালের টিপ ঠিক আছে কি না তা আয়না দিয়ে চেক করে নিতেও দেখেছে।
সিক্তার মাঝে সাইদ স্যারকে নিয়ে একটা পাগলামী চলে এসেছে। ডিপার্টমেন্টে এসে স্যারের রুমে আলো না দেখলে যেন ওর নিজের মনের ঘরটাই অন্ধকার হয়ে যায়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে স্যার একসময় সিক্তাকে সন্দেহ করা শুরু করলো। এক বাচ্চার মা সিক্তা স্যারের প্রেমে পড়েছে একথা হাবিব মনে প্রাণে বিশ্বাস করে সিক্তাকে নিয়মিত বলা শুরু করলো স্যার নির্ঘাত সিক্তাকে নিয়ে পালিয়ে যাবে! কিন্তু সিক্তা স্যারকে এতো বেশিই পছন্দ আর শ্রদ্ধা করে যে এসব কথা শুনে কেমন অসহায় বোধ করে। বিবাহিত হওয়ার কারণেই শরীরের চাহিদা সম্পর্কে সিক্তার খুব টনটনে জ্ঞান থাকলেও কোনদিনই স্যারকে নিয়ে শরীর সম্পর্কিত কোন বাজে চিন্তা মাথায় আসে নি। একথা স্যারকে ও কেমন করে বোঝায় যখন স্যার ফোন করে ওকে চেপে ধরে জেরা করে!
স্যারের বিয়েতে শাহবাগ থেকে ফুল দিয়ে পুরো বাসা সাজিয়ে দিবে, এমন পরিকল্পনার কথা স্যারকে জানিয়ে দিলেও স্যার যে কবে বিয়ে করবে তার নিশ্চয়তা নেই। এদিকে স্যার যে বিয়ে করে ফেলেছে সেকথা লুকিয়ে রাখে। বেশ কয়েকমাস পরে যখন আরিফ -সিক্তার সম্মতিতেই সিক্তা দ্বিতীয় বাচ্চার মা হতে চলেছে তখন  হাবিব খবর দেয় স্যার আরো আগেই বিয়ে করে ফেলেছে। হিসেব করে বের করে স্যার হয় তার ব্যক্তিগত জীবনকে পেশার সাথে আনতে চায়নি অথবা সিক্তাকে ভয় পেয়ে জানায় নি। সিক্তা বরং খুশিই হয় বেশ। আবরার হওয়ার মাস খানেক আগে একদিন হঠাৎ করেই স্যার সিক্তাকে ফোন করে। তার স্ত্রীর বাবু হয়েছে খবরটা দিতে। সাথে এটাও জানায় এ খবরটা সে ইউনিভার্সিটির তেমন কাউকে জানায় নি। সেদিন প্রথম সিক্তা নিজের গুরুত্ব স্যারের কাছে বুঝতে পারে। এর আগেও সিক্তার টেকি ব্যাপারে, নেটের ব্যাপারে অসীম আগ্রহ আর পড়ায় সিরিয়াসনেসের জন্যে স্যার ওকে বেশ পছন্দ করতেন। পাওয়ার পয়েন্টে রিপোর্ট প্রেজেন্ট করার পর স্যার মুগ্ধ হয়ে সেদিনই ডিক্লেয়ার দিয়েছিল সিক্তা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে খুব ভালো করবে। শ্বশুরবাড়ির কষ্টের সময়গুলো এভাবেই স্যারের অনুপ্রেরণায় কেটে যাচ্ছিল। জীবনটা এতো কষ্টের মাঝেও স্যারের অনুপ্রেরণায় কেমন যেন বর্ণময় মনে হয়। শেষের দিকে  সিক্তার শরীর ভারী হয়ে যাওয়ায় আর কন্টিনিউ করতে না পেরে সেই সময়ের দুইটা কোর্স ড্রপ করে। ছয়মাস পর সিক্তা আবার ক্লাস করা শুরু করে।  সিক্তার সাথে মাঝে মাঝে স্যার কেমন নিস্পিৃহ আচরণ করেন। কষ্টের বোঝা চেপে সিক্তা তবুও স্যারের সাথে দেখা করতে যায়।
এর মধ্যে স্যার চলে গেলেন আবার ইউরোপে আরেকটা মাস্টার্স করতে। সিক্তা যেন ডিপার্টমেন্টে এতিম হয়ে গেল।  অনেক যুদ্ধ করে আগস্টে কম্প্রিহেনসিভ শেষ করে এক সপ্তাহের মধ্যেই কলেজে চাকুরী হয়ে গেল। রেজাল্ট কি হবে জানে না তবে আগের সব সেমিস্টারের রেজাল্টে এখনও ফার্স্ট ক্লাস সহ ব্যাচের আর সবার চেয়ে এগিয়ে আছে।শুধ কমপ্রিহেনসিভে ফেল করলেই সব স্বপ্ন ধুলিস্যাত হয়ে যাবে। স্যারের কোন খোঁজ নেই। এর মধ্যে কলেজের টিচার্স রুমে একা বসে ক্লাসের জন্যে অপেক্ষা করছে, হঠাৎ করেই অপরিচিত ফোন,
:হ্যালো, কে বলছেন প্লিজ
...আমি সাইদ নিয়াজ
এই ফোনের কথাটা মনে করে এতোগুলো বছর পরেও সিক্তা কেমন যেন আবেগাক্রান্ত হয়ে যায়।

সিক্তা চিৎকার করে উঠে আনন্দে...
:স্যার, আমারতো একটা কলেজে চাকরী হযে গেছে!
সাইদ স্যার যে এতো খুশি হয়েছে তা স্যারের কন্ঠ শুনেই বোঝা গেল।
সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ স্যারের নাম্বারে এমনিতেই ফোন দিল, স্যার নিজে ফোন রিসিভ করাতে সিক্তা চমকে উঠলো!  স্যার ফিরে এসেছেন, নতুন কোর্সের ক্লাস নেওয়া শুরু করেছেন। স্যারের সাথে যখন দেখা করতে এলো, পূর্ব পরিচিত নিশাত ছিল স্যারের রুমে বসা। স্যারের আবার সেই নিস্পৃহ আচরণ!
আরিফ বলেছিল বাংলা একাডেমির মেম্বার হতে, সিক্তা খেয়াল করলো প্রকাশনা থাকলে মেম্বার হতে সুবিধে হয়। এদিকে কলেজে নতুন কোর্সের ক্লাস নেওয়া শুরু করতে যেয়ে পড়াতে পারে না বইয়ের সহজলভ্যতা না থাকায়। শেষে নিজেই নেট ঘেটে, কাজ শেষ করে বাচ্চাদের ঘুম পারিয়ে রাত জেগে কাজ করে খেটে খুটে একটা বইয়ের কাজ করে ফেললো। আরিফ একবারও প্রুফ পর্যন্ত দেখে দেয়নি। কিন্তু বইয়ের আনকোড়া একটা কপি হাতে পেয়ে সিক্তাকে জরিয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল সিক্তার সাফল্যে।
সাইদ স্যারকে যখন বইয়ের দুই কপি দিল তখন স্যারের উচ্ছসিত প্রশংসার বানে যেন সিক্তা ভেসে যাচ্ছিল। সিক্তার সব কষ্টই সার্থক। তার শ্রদ্ধেয় প্রিয় মানুষ দুজনের কাছেই সে চুড়ান্ত প্রশংসা পেয়েছে। কাজের গতি বেড়ে গেছে অনেকগুন। নতুন করে রিসার্চের কাজ শুরু করলো। জানে স্যার কাজ পাগল মানুষ। স্যারের কাছে কাজ ছাড়া লুতুপুতু ঢং করে কোন লাভ নেই।
ভয়ংকর খবরটা এরপরেই শুনলো...স্যার চলে যাচ্ছেন মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি করতে। সাথে বউ, বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছেন। শুনেই স্যারের সামনে সিক্তা চোখের পানি আটকাতে পারে নি। হু হু করে কেঁদে ফেলেছিল।

সেদিন সিক্তা বলতে বাধ্য হয়েছিল ...স্যার, টিচিং প্রফেশনে আপনার মতো মানুষই প্রয়োজন , যারা শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাবে এবং তা বাস্তবে রুপ দিতেও সহায়তা করবে।

আজকে সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ। টিচার্স ডে। দুই বাচ্চার স্কুলের ক্লাস টিচারদেরকেই আর কোন গিফ্ট দিতে না পেরে হোটেল স্টার থেকে স্পেশাল নান, কাবাব, চিকেন টিক্কা কিনে জোর করে দিয়ে এলো। ছলো ছলো চোখে বেসিনের সামনে সিক্তার বড্ড বেশিই সাইদ স্যারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে...



অনুপ্রেরণাদায়ী সকল শিক্ষককে শ্রদ্ধার সঙ্গে জানাই  Happy Teachers' Day .

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites