সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

ডায়েরি থেকে



২০ এপ্রিল ১১.৩৯ সকাল
গত দুইদিনে দুই জেলার দুই কবরস্থানে যেয়ে মৃতের কবর সংরক্ষণের প্রতি (কবর বাঁধাই) আগ্রহ দেখে আমাকে আমারই এক আত্নীয়া প্রশ্ন করলো,

কবর সংরক্ষণ করাটাকি একধরণের পূঁজার মধ্যে পড়ছে না?! ...এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করা হলে বললো শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি সম্মান জানাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ধর্মান্ধরা শহিদ মিনারে পুঁজা হচ্ছে বলে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে বিভিন্ন সময়।
সাথে এও বললো শহিদ মিনারে যদি পূঁজা হয়, তবে কি কবর সংরক্ষণ করাটা পূজা হচ্ছে না? কারণ মৃতের জন্যে দোয়া যে কোন স্থান থেকেই করা যায়। আর আমরা কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্যেও দোয়া করি তার কবরের সামনে না যেয়েই। আর নবী করিম (সাঃ) কবরের কোন চিহ্ন রাখারও অনুমতি নেই।

কথাটা ভেবে দেখার মতো... আর এতো কবর বাঁধাই করা দেখে আমার মাথায়ও একটা প্রশ্ন এলো...

জমি সীমিত কিন্তু মানুষ মরছেই। এ অবস্থায় টাকা দিয়ে যদি এভাবে কবর সংরক্ষণের প্রতিযোগিতা চলতে থাকে তবে এক সময় কবরস্থানগুলিতে জায়গার সংকুলানতো হবে না। এমতাবস্থায় মৃতদের কবর দেয়ার জন্যে কি আবাদী জমিগুলিকে ব্যবহার করা হবে?

এপ্রিল ১৩, ৪.১৯ মিনিট বিকেল
২টা ফুল প্লেট ভাত, ২টা হাফ প্লেট ভাত, ১টা শুটকি মাছের ভর্তা, ১টা টাকি মাছের ভর্তা, ১ বাটি করল্লা ভর্তা, ১ বাটি পুঁইশাক, ১টা বেগুন ভাজা, ১ বাটি (ও পরে আবার দিসে) গরুর গোশত, ১ টা বিশাল সাইজের ইলিশ পিস সহ তরকারী মাত্র ২০০ টাকা (কেডা কয় ইলিশের এতো দাম?!) ......জয়তু আজিজ সুপার মার্কেট

এপ্রিল ১৩, ১০.১৭ মিনিট সকাল
গ্রামীন ফোনের নেট নিয়ে এর মধ্যে বেশ কয়েকবার কানে ধরছি যে আর গ্রামীন ফোনের নেট চালাবো না। কিন্তু আজকে হঠাৎ খেয়াল করলাম, আমি কথার কথা বলছি এতোদিন। যদি আসলেই নিজের কান টেনে বলতাম যে "কানে ধরসি, গ্রামীন নেট আর চালাবো না", তবে হয়তো ঠিকই মনে থাকতো

এপ্রিল ৯,  দুপুর ১২.৫২মিনিট
আমাদের এক বৌদ্ধ প্রতিবেশীর মেয়ের বিয়ের কথা চলছে। ওদের ধর্মে মেয়েদের উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই! স্বামীর সম্পত্তিতে কোন অধিকার নেই!(ওদের ভাষ্যমতে) বাবা বা স্বামী ইচ্ছে হলে যদি কিছু দেয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ার অপরাধে যদি কোন বৌদ্ধ পিতা তার কন্যাদের স্বনির্ভর করতে সাহায্য, সহযোগিতা না করে তবে এই মেয়েরা কি এভাবেই বংশপরম্পরায় অবহেলিত থেকে যাবে?!!

বি.দ্র: ইহা কোন ধর্মকে আঘাত করামুলক কোন স্ট্যাটাস নহে।সীমাবদ্ধ জ্ঞানের একজন মানুষের শুধুই জানতে চাওয়া...




এপ্রিল ৪, ৩.৫ মিনিট বিকেল

আমার সহব্লগাররা গ্রেফতার হইছে, তাতে আমি খুশি হইসি না ব্যজার হইসি তা কিন্তু আমি জনে জনে বইলা বেড়াই নাই। কাজেই আমার মনে কি আছে তা যদি আপনে নিজে থেইক্কা আবিষ্কার করেন, প্লিজ তা নিজের কাছেই রাখেন আমারে এইসব নিয়া ত্যাক্ত করতে আইসেন না।আপনেরে সময় দেওয়ার চেয়ে আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের সময় দেয়াটা আমার কাছে বেশি জরুরী। আমি হাত জোর করতাছি, দয়া কইরা নিজেরা যা ইচ্ছা করেন, আমারে হুদাই টানাটানি কইরেন না।



ফেব্রুয়ারী ১৫
জামাত-শিবিরের নামে যেন কোন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হেনস্থা না হয়, অনুরোধ রইল সকলের প্রতি।তরুণ প্রজন্মের শাহবাগ আন্দোলন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে নয়, বরং ধর্মের লেবাস পরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের হোতাদের বিরুদ্ধেই।


জানুয়ারী ২০ ২০১৩

ধানমন্ডি লেকের পার দিয়ে এমনিতেই মুরুব্বী বা বুঝদার শিশুদের নিয়ে স্বস্তি নিয়ে হাঁটা যায় না। হংসমিথুনদের কলকাকলীতে মুখর থাকে নিয়মিতই। তবুও সমস্যা থাকে না, আজকে যখন সকাল বেলা বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে হাঁটছিলাম লেকের পার ধরেই, তখন আমাদের সাথেরই আরেকজন নিতান্তই কমবয়সী অভিভাবক ফোন দিল-
"পনি আপা, আপনি কৈ?" (বেচারীর কন্ঠ কাপছিল, কান্না কান্না স্বর)
কোনপাশে আছি তাকে সেটা বললাম-
"একটু আসতে পারবেন, একটা সমস্যা হইছে..."
ওকে শর্টকাট রাস্তার নির্দেশনা দিয়ে দাড়াতে বলে জোরে হাঁটা দিলাম, কি হয়েছে দেখতে।
যখন ওর কাছে পৌছলাম তখন ও কাঁদছে!
এক লোক নাকি লেকের পাশে নির্জন রাস্তা পেয়ে ওর পাশাপাশি হেঁটেছে আর বলেছে তার ধারণ ক্ষমতা ৪৫ মিনিটের চেয়ে কম নয় , সাইজ যা বললো (তা সেন্সর যোগ্য) আরো এমন সব কথাবার্তা!
সেই মেয়ে যতো জোরে হাঁটে , সেই লোকও নাকি পাল্লা দিয়ে ততজোরে হাঁটে, শেষে সেই মেয়ে আমাকে ফোন দেবার পর সেই লোক থেমে গেছে।

এখন কথা হচ্ছে, এ ধরণের ইভটিজিং, যা পুরোপুরিই যৌন হয়রানী....আর কতোদিন চলবে?!
আইন করে তো এই ধরনের টিজিং বন্ধ করা সম্ভব না, এর জন্যে সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা কাম্য জরুরী ভাবেই ।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites