নাজুর বেশ ক'দিন থেকেই জ্বর । একেবারেই খাওয়া দা্ওয়ার রুচি নেই। ভাইরাস জ্বর ভেবে মুক্তা নাপা চালাচ্ছে তিন বেলা । জ্বরের প্রকোপে নাজুর বমিও হচ্ছে ।
চারদিনের দিন জ্বর কমে গেলেও শরীর দুর্বল থাকায় প্রায়ই বমি হচ্ছে ।
নাজু ইদানিং খেতেই পাচ্ছে না ।
বেশ কিছুদিন এভাবে চলার পর মুক্তা বাধ্য হলো নাজুকে ডাক্তারের কাছে নিতে।
ডাক্তার বেশ কিছু প্রশ্ন করার ফাঁকে কিছু মেয়েলী প্রশ্ন্ও উঠে আসায় নাজুকে ইউরিন টেস্ট করতে দিল ।
রিপোর্ট পেয়ে মুক্তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো !
এই অবস্থায় কি করা উচিত কিছুই বুঝে উঠতে পাচ্ছে না । সুমিতকে ঘটনা জানানোর পর রাসেলকে ডাকা হলো...রাসেল পুরোপুরি সব অস্বীকার করে তার কাঁধে অপবাদ দেয়া হয়েছে ব্লেইম করে চাকুরী থেকে ইস্তফা চাইল।
নাজুকে পুরো পরিস্থিতিটা বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে মুক্তার তবে শেষ পর্যন্ত সে ক্লিনিকে যেতে রাজি হয়েছে।
কিন্তু স্বপ্ন দেখা নাজু বুঝতেও পারে নি-এতো ভালোবাসা, আন্তরিকতা যে তার জীবনে অভিশাপ হয়ে আসবে !
রাসেল ক'দিন থেকেই তার বউকে অকথ্য শারীরিক অত্যাচার করছে গরীব বাবার কাছ থেকে সিএনজি কেনার টাকা এনে দিতে ! না হলে রাসেলের পক্ষে হাতি পোষা আর সম্ভব নয় বলেও হুমকি দিয়েছে ।
রাসেলের বউ বেশ ক'দিন থেকেই বাবার বাড়িতে । ছোট বাচ্চাটি জানে না তার কি অপরাধ ! কেন সে বাবাকে ছাড়া নানার বাড়িতে আছে ! এক অনিশ্চিত জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এক গরীব পিতার কন্যা আর তার নাতীর জীবন !
Facebook comments for blogger brought to you by AllBlogTools.com
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন