মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

অনুগল্প: সৃজনশীলতা

শান্তার সাথে ওর স্বামী তাসিরের প্রেম দেখলে ঈর্ষা করতে বাধ্য হবে যে কোন দম্পতিই ।
এতো প্রেম আসে কোথ্থেকে !
দেশে এসে বান্ধবীর সাথে সময় কাটাতে যেয়ে তাসিরকে যে কতোবার ফোন দিচ্ছে, আবার ও ফোন না দিলে তাসির দিচ্ছে ওকে ফোন...সে এক মহা যন্ত্রণার বিষয় ! অথচ তারা দু'জন কিন্তু একসাথেই দেশে এসেছে ।

বাংলা মোটরের কাছে যখন গাড়ি জ্যামে আটকে আছে তখন জানা গেল তাসির হোটেল সোনার গা পাস করে এদিকেই আসছে।
মোড়ে তাদের দু'জনেরই গাড়ি থামাতে হলো ... ওররে বাপস ! গাড়ি থামিয়ে রাস্তায়ই দু'জন দু'জনকে জরিয়ে ধরলো !
যে কেউ দেখলে আর কিছু ভাবতে পারে ! স্বামী-স্ত্রী অন্তত ভাববে বলেতো মনে হয় না !

মানবজমিন পত্রিকাটার কোয়ালিটি কেমন সে ব্যাপারে রিনির সন্দেহ আছে বরাবরই... একদিন অফিস থেকে ফিরে রিনির বর মানবজমিন ধরিয়ে রিনিকে পড়তে বললো !

রিনি প্রথমে কিছু বুঝতে পারে নি। পাতা উল্টাতেই তাসিরের সাথে আরেক মেয়ের ছবি দেখে আঁতকে উঠলো !
খবরে প্রকাশ, তাসিরের স্ত্রী একজন প্রতারক... ইত্যাদি !

কিন্তু রিনির হিসাব মিলছে না ! কারণ তাসিরের স্ত্রীর যেই ছবি পত্রিকায় দেয়া তা শান্তার নয় !

একদিন রিনি বে-তে জুতার মাপ দিচ্ছে সেই সময় দেশের বাইরে থেকে শান্তার ফোন !
আকুল হয়ে কথা বলতে চাচ্ছে !

রিনির বর ইশারায় বলছে পরে ফোন করতে...রিনি ফোন চেপে হিসহিস করে উঠলো...দেশের বাইরে থেকে বেচারী ফোন দিয়ে তার কষ্টের কথা বলছে আর রিনি কেমন করে তাকে পরে ফোন করতে বলবে !

বাসায় ফিরে ফ্রি হয়ে শান্তাকে টেক্সট করলো ... ডিএ্যাকটিভেট করা আইডি আবার এ্যাকটিভ করে রিনির সাথে এখন শান্তার নিয়মিত চ্যাট হয় ।

একাকিত্ব মানুষকে পাগল করে দেয়। বুঝতে পেরে রিনিই শান্তাকে ডায়েরী লিখতে বলেছিল। তবে কাগজে নয়...ফেসবুকেই ।

এখন শান্তা অনেকটাই ধাতস্ত ! একসময়ের দারুণ লিখিয়ে শান্তা আবার পুরোদমে লিখছে !

হাসতে হাসতে শান্তাই রিনিকে বললো ....
জানিস রিনি "ছ্যাঁকার মধ্যে সৃজনশীলতা নিহিত থাকে"

3 মন্তব্য(গুলি):

বেশ লাগলো আপু। তবে ছ্যাকার মাঝেও সৃজনশীলতা আছে কথাটা সত্য :3

@Tselim Rezaa, প্রথমেই অনেক ধন্যবাদ জানাই, এভাবে ব্লগসাইটে এসে এতো আন্তরিকতার সাথে মন্তব্য করার জন্যে।
তবে কথাটা সত্যিই কিন্তু ;)

এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সোশ্যাল নেটওয়ার্ক

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites